(প্রিয়.কম) নিজেকে সবাই চায় আকর্ষণীয় করে তুলতে। নিজেকে সুন্দর দেখতে আর সুন্দর হওয়ার আশায় অনেকেই কৃত্রিম সৌন্দর্যবর্ধন পণ্যের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু কৃত্রিম বেশির ভাগ পণ্যেরই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। তাই ওই সব পণ্য ব্যবহারে কিছুটা ঝুঁকি থেকেই যায়। সম্প্রতি ‘বোটক্স থেরাপি’ করাতে গিয়ে যুক্তরাজ্যের এক নারীর ঠোঁট ফুলে ঢোল হয়ে যায়। সেই নারীর একটি ছবি ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। সেই ছবিটি বিশ্বের দরবারে কৃত্রিম সৌন্দর্যবর্ধন পণ্যের ক্ষতিকর দিকটি তুলে ধরেছে। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের লিস্টার সিটির বাসিন্দা র‌্যাচেল ন্যাপিয়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন। সেই পোস্টে দেখা যায়, বোটক্স থেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় তার ঠোঁট ফুলে ভয়ানক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ওই পোস্টে তিনি সৌন্দর্যবর্ধন পণ্যের ভুক্তভোগী হয়ে অন্যদের তা ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, একটি বিউটিফিকেশন ক্লিনিকে যান ওই নারী। নিজের ঠোঁটে থাকা মাংসপিণ্ডকে সমান করতে আশ্রয় নিয়েছিলেন বোটক্স থেরাপির। তার কপালে দেওয়া হয় একটি ইনজেকশন। তাকে জানানো হয় ওই ইনজেকশনেই তার ঠোঁটে থাকা অতিরিক্ত মাংসপিণ্ডের সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে।

ওই বিউটিফিকেশন ক্লিনিক থেকে ইনজেকশন নিয়ে বাড়ি ফেরার পর শুরু হয় প্রচণ্ড যন্ত্রণা। সেই সাথে ফুলতে শুরু করে তার ঠোঁট। ফুলতে ফুলতে একপর্যায়ে বেলুনের মতো আকার ধারণ করে তার ঠোঁট। পরে ওই ক্লিনিকের বিউটিশিয়ান বন্ধুকে ফোন করলে ঠোঁটে বরফ লাগানোর পরামর্শ দেন তিনি। কিন্তু ঠোঁটের ফোলা ও জ্বালাপোড়া না কমায় বাধ্য হয়ে তিনি হাসপাতালে যান। 

ওই ঘটনার পর ওই নারী একটি পিটিশিন ফাইল করেছেন। যেসব বিউটি ক্লিনিকে ডাক্তার ছাড়া অন্যরা ইনজেকশন দেন তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের কাছে পিটিশনের মাধ্যমে আবেদন জানিয়েছেন তিনি। তার ওই আবেদনে বহু মানুষ সায় দিয়েছেন। ওই পিটিশনে সইও করেছেন অনেকে। 

প্রিয় সংবাদ/আশরাফ/আজাদ চৌধুরী