কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ফরিদপুর টেপাখোলা রিসোর্টটি নির্মাণে ব্যয় হবে ২১১ কোটি টাকা। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বমানের বিনোদন কেন্দ্র হতে যাচ্ছে টেপাখোলা লেক

আয়েশা সিদ্দিকা শিরিন
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ১১:৩৮
আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ১১:৩৮

(ইউএনবি) ফরিদপুরের টেপাখোলা লেককে বিশ্বমানের একটি বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। ২১১ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘ফরিদপুর টেপাখোলা রিসোর্ট’ নামের এই বিনোদন কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ শুরু হবে আগামী বছরের মাঝামাঝিতে।

ফরিদপুর এলজিইডি সূত্র জানায়, সদর আসনের এমপি ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের উদ্যোগে এলজিআইআইপি-৩ প্রকল্পের আওতায় আধুনিক এই টেপাখোলা রিসোর্ট নির্মাণ করা হবে। গত ৪ নভেম্বর একনেক বৈঠকে প্রকল্পটি পাস করা হয়েছে।

টেপাখোলা রিসোর্টটিতে থাকবে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, স্কুল ব্লক, জিমনেসিয়াম, মসজিদ, রিসোর্ট সেন্টার, ভিকটোরি মিউজিয়াম, ভিকটোরি কমপ্লেক্স, ওয়ান্ডার হুইল, ফুড কোড, সিনিয়র সিটিজেন কর্নার, আর্ট অ্যান্ড ক্রাফ্ট সেন্টার, চিল্ড্রেন ওয়াটার গেইম, চিল্ড্রেন সুইমিংপুল, টেপা ক্যাফে ও হল, অ্যামিপথিয়েটার, বোর্ট ল্যান্ডিং ক্যাফে ও বঙ্গবন্ধু ইনডেক্স ফিঙ্গার টাওয়ার।

ফরিদপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নূর হোসেন ভূঞা বলেন, ‘স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশক্রমে তিনজন আর্কিটেক্ট টেপাখোলা লেক রিসোর্টটির বিশ্বমানের একটি ডিজাইন করেছেন। একনেকেও পাস হয়েছে সেটি। এখন স্ট্রাকচারাল ডিজাইন শেষ হলে আগামী ৩/৪ মাসের মধ্যে কাজ শুরু করা যাবে।’

‘বিশাল এই কর্মযজ্ঞের মধ্যে বড় আকর্ষণ এখানে ৩২০ ফিট উচ্চতার বঙ্গবন্ধু ইনডেক্স ফিঙ্গার টাওয়ার করা হবে। যার মধ্যে দুটি লিফট ও বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট থাকবে। ৩ বছরের মধ্যে পুরো কাজটি শেষ করা সম্ভব হবে। প্র্যাকটিক্যালি কাজ শুরু করতে গেলে কিছু সংযোজন বিয়োজন হতে পারে।’

এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মৃধা বলেন, ‘ফরিদপুর জেলাবাসী দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন ছিল এই লেকটিকে আধুনিকায়ন করার। সরকার সেটি করছে। সরকার ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই এমন একটি উদ্যোগ নেওয়ায়।’

ফরিদপুরে চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, এই প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হলে ফরিদপুরের চেহারা আরও আধুনিক হবে।

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. ইমতিয়াজ হাসান রুবেল বলেন, ‘জেলাবাসীর স্বপ্ন ছিল এমন একটি বিনোদন কেন্দ্রের। সেটি হতে যাচ্ছে জেনে জেলাবাসী আনন্দিত।’

প্রিয় সংবাদ/রুহুল