কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ফজলে মাহমুদ রাব্বির শুরুটা হয়েছে বিব্রতকর এক রেকর্ড দিয়ে। ছবি: প্রিয়.কম

‘একটা ছেলেকে একটা ম্যাচ দিয়ে জাজ করা কঠিন’

সৌরভ মাহমুদ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:২০
আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:২০

(প্রিয়.কম) সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে স্কোয়াডে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছিলেন ফজলে রাব্বি। স্কোয়াডে ডাক পাওয়ার পর থেকেই জোর গুঞ্জন ছিল এই সিরিজ দিয়েই অভিষেক হচ্ছে তার। সেই গুঞ্জন বাস্তবে পরিণত হয় তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতেই।

১২৯তম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে অভিষেক ঘটে ৩০ বছর বয়সী রাব্বির। যদিও অভিষেক ম্যাচটা রাঙাতে পারেননি এই অলরাউন্ডার। ৪ বল খেলে রানের খাতা খোলার আগে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর বল হাতে ৩ ওভার হাত ঘোরালেও ১৬ রানের খরচায় থাকেন উইকেটশূন্য।

অভিষেক ম্যাচে এমন বিবর্ণ পারফরম্যান্সের পরও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে পাশে পাচ্ছেন রাব্বি। বাংলাদেশ অধিনায়কের মতে, এক ম্যাচ দিয়ে কাউকে বিচার করা কঠিন। শুধু তা-ই নয়, ৩০ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডারকে আবারও  সুযোগ দেওয়া উচিত বলেই মনে করেন মাশরাফি।

এ নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়কের ভাষ্য, ‘আমি মনে করি অবশ্যই তাকে আবারও সুযোগ দেওয়া উচিত। একটা ছেলেকে একটি ম্যাচ দিয়ে জাজ করা কঠিন। তাকে নেওয়া হলো কেন? শুরুতে এটা হয়তো আপনারা বলতে পারতেন। এটা মিসটেক। তবে নেওয়ার পর মনে করি অবশ্যই তাকে সুযোগ দেওয়া উচিত।’

রাব্বিকে আরও সুযোগ দিতে চাওয়ার কথা বললেও বাংলাদেশ অধিনায়ক মাথায় রাখছেন আনুষঙ্গিক ব্যাপারগুলোও। মাশরাফি বলেন, ‘সবার ভিউটাও এখানে ইমপরট্যান্ট। কোচ আছেন, নির্বাচক আছেন। একা দায়িত্ব নিয়ে তো খেলানো যায় না সবসময়। পার্টিকুলারি ও যে বলটায় আউট হয়েছে তাকে দোষ দেওয়া যায় না। আর ক্রিকেট দোষাদোষীর খেলা না।’

‘আমার মতে, ব্যাকআপ আমরা রিসেন্ট পাস্টে সব খেলোয়াড়কেই করেছি। কমবেশি যতটুকু সম্ভব হয়েছে করেছি। আর আমরা ও রকম বিলাসিতা দেখানো টিমও হইনি যে কন্টিনিউয়াসলি সুযোগ দিয়ে যাওয়ার। এটাও মাথায় রাখতে হবে। তারপরও ব্যাকআপ যেহেতু করেছি, আমরা চেষ্টা করব পূর্ণ সহযোগিতা করার’, যোগ করেন মাশরাফি।

ঘরোয়া লিগ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট—একজন খেলোয়াড় কোন প্রতিবন্ধকতাগুলোর মুখোমুখি হয়? এমন প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি বলেন, ‘প্রথমত ক্যামেরা। দ্বিতীয়ত, একটি খেলা যখন দেখা হয় টিভিতে, এটা যখন খেলোয়াড় জানে, তখন পুরো প্রেসারটা অন্য রকম থাকে।’

‘তারপর ঘরের মাঠে খেলা হলে দর্শক একটা ব্যাপার। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, প্রেস আছে। পরিবার, টিমমেট আছে। সব মিলিয়ে অনেক প্রেসার। ঘরোয়াতে এগুলো থাকে না। ঘরোয়ার সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অনেক পার্থক্য। ১৯-২০ নয়, রীতিমতো অনেক বড় পার্থক্য।’

প্রিয় খেলা/আজাদ চৌধুরী