চীনে নির্মিত বিশ্বের দীর্ঘতম হংকং-ঝুহাই-ম্যাকাও সেতু। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বের দীর্ঘতম সেতু উন্মুক্ত হচ্ছে বুধবার
আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৮, ১০:৩৭
(প্রিয়.কম) নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার ৯ বছর পর বিশ্বের দীর্ঘতম সেতু আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছে চীন। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২০ বিলিয়ন (দুই হাজার কোটি) ডলার।
২৩ অক্টোবর, মঙ্গলবার হংকং-ঝুহাই-ম্যাকাও সেতুটির উদ্বোধন করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বিবিসি অনলাইন তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।
মূল ভূখণ্ড ঝুহাই শহরের সঙ্গে দক্ষিণ চীনের গুরুত্বপূর্ণ উপকূলীয় শহর হংকং ও ম্যাকাওকে সংযুক্ত করবে ৫৫ কিলোমিটার (৩৪ মাইল) দীর্ঘ এই সেতু। বুধবার জনসাধারণের চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেওয়া হবে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগে ঝুহাই থেকে হংকং যেতে প্রায় চার ঘণ্টা সময় লাগত। এখন লাগবে মাত্র আধা ঘণ্টা। এই সেতুতে কোনো গণপরিবহন থাকবে না। তবে যাত্রী ও পর্যটকদের জন্য শাটল বাস থাকবে।
দিনে প্রায় ৯ হাজার ২০০ যানবাহন এই সেতু দিয়ে চলাচল করবে বলে কর্তৃপক্ষ আশা করছে। যার টোল বাবদ প্রতি বছর আসবে আট কোটি ৬০ লাখ ডলার।
সেতুটির বিশেষত্ব হলো—এটি শক্তিশালী মাত্রার টাইফুন কিংবা ভূমিকম্প প্রতিরোধী। সেতুটি নির্মাণে চার লাখ টন স্টিল ব্যবহার করা হয়েছে, যা দিয়ে ৬০টি আইফেল টাওয়ার নির্মাণ করা সম্ভব।
সেতুর প্রায় ৩০ কিলোমিটার পার্ল নদীর ওপর দিয়ে গেছে আর জাহাজ চলাচল অব্যাহত রাখার সুবিধার্থে ছয় দশমিক সাত কিলোমিটার রাখা হয়েছে সাগরের নিচে টানেলে। দুটি অংশের সংযোগস্থলে তৈরি করা হয়েছে একটি কৃত্রিম দ্বীপ। সেতুটির বাকি অংশ সংযোগ সড়ক, ভায়াডাক্ট আর ভূমিতে টানেল, যা ঝুহাই ও হংকংকে মূল সেতুর সাথে যুক্ত করেছে।
প্রকৌশলী ও স্থাপত্যের দিক থেকে সেতুটি দুর্দান্ত হলেও নির্মাণকাজ চলার সময় ১৮ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। ইতোমধ্যে সমালোচকরা এই সেতুকে ‘শ্বেতহস্তী’ আখ্যায়িত করেছেন।
প্রিয় সংবাদ/আজাদ চৌধুরী