কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির চিত্রকর্ম ‘সালভাটর মুন্ডি’। ছবি: সংগৃহীত

লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি কী ট্যারা ছিলেন?

কে এন দেয়া
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:৪৭
আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:৪৭

(প্রিয়.কম) বিশ্বখ্যাত চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি তার অন্যরকম অঙ্কন পদ্ধতির জন্যই এখনো প্রচুর মানুষের মাঝে জনপ্রিয়। কিন্তু তার এই প্রতিভার পেছনে কারণটা কী? এক গবেষক দাবি করছেন, লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি ট্যারা ছিলেন। পৃথিবীকে অন্য দৃষ্টিতে দেখতেন তিনি। এ কারণেই তার চিত্রকর্ম অনন্য।

লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির ছয়টি পোরট্রেইট এবং সেলফ পোরট্রেইট পরীক্ষা করে এই সিদ্ধানে আসেন যুক্তরাজ্যের গবেষক ক্রিস্টোফার টাইলার। তিনি দাবি করেন, দ্যা ভিঞ্চির চোখে সম্ভবত স্ট্রাবিসমাস সমস্যাটি ছিলো, যাকে আমরা ‘ট্যারা’ বলে চিনি।  ট্যারা হওয়ার কারণে তার দৃষ্টিশক্তি সাধারণ মানুষের মতো ছিলো না। তার দৃষ্টি ছিলো ‘মনোকুলার’। এই দৃষ্টির বদৌলতেই তিনি অসামান্য এক শিল্পী ছিলেন।

অতীতের কিছু গবেষণায় দেখা যায়, চোখে কিছু সমস্যা আছে এমন মানুষ সাধারণত শিল্পী হয়ে থাকেন, যেমন চিত্রশিল্পী বা ভাস্কর। এমনকি বিখ্যাত কিছু শিল্পী ট্যারা ছিলেন বলেও জানা যায়, যেমন পাবলো পিকাসো ও রেমব্র্যান্ডট ভ্যান রাইন।  তাদের ব্যাপারে এসব তথ্য জানা যায় তাদের সেলফ পোরট্রেইট থেকে। কিন্তু লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির তেমন কোনো সেলফ পোরট্রেইট নেই, এ কারণে তিনি ট্যারা কিনা তা অজানাই ছিল।

নতুন এই গবেষণায় যেসব শিল্পকর্ম ব্যবহার করা হয়, সেগুলো দ্যা ভিঞ্চির সেলফ পোরট্রেইট বলে ধারণা করা হয় বা মনে করা হয় তার পরিচিত কোনো শিল্পী এগুলো এঁকেছিল বা তৈরি করেছিল।

উদাহরণস্বরূপ দ্যা ভিঞ্চির গুরু আন্দ্রে দেল ভেরোচ্চিওর ভাস্কর্য ‘ডেভিড’ ও ‘ইয়ং ওয়ারিয়র’ এই দুইটি দ্যা ভিঞ্চির অবয়বে তৈরি করা হয়েছে বলে ধরা হয়।  আবার ‘ইয়ং জন দ্যা ব্যাপ্টিস্ট, ‘সালভাটর মুন্ডি’ এবং ‘ভিট্রুভিয়ান ম্যান’ এই তিনটি চিত্রকর্ম লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি আঁকেন নিজেকে মডেল করেই।  

এসব শিল্পকর্মের চোখের অবস্থান পরীক্ষা করে টাইলার দেখেন, এসব চোখে ‘এক্সোট্রোপিয়া’ বৈশিষ্ট্য প্রবল। এক্সোট্রোপিয়া এক ধরণের ট্যারা, যেখানে একটি বা দুইটি চোখের মণি চোখের বাইরের কোণার দিকে সরে থাকে।

তবে এই পুরো গবেষণাটাই তাত্ত্বিক, এবং লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি আসলেই ট্যারা ছিলেন কিনা, তা প্রমাণ করার কোনো উপায় নেই।

সূত্র: লাইভ সায়েন্স

প্রিয় বিজ্ঞান/ আর বি