কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় সাইকিয়াট্রিস্ট বা সাইকোলজিস্টের সাহায্য নিতে হয়। ছবি: প্রিয়.কম

সাইকোলজিস্ট আর সাইকিয়াট্রিস্টের পার্থক্য কী?

কে এন দেয়া
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০১৮, ২৩:০৫
আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৮, ২৩:০৫

(প্রিয়.কম) মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আমাদের দেশে এখনো বেশিরভাগ মানুষ সচেতন নয়।  কোনো সমস্যায় মানসিক রোগের চিকিৎসকের কাছে যেতে এখনো দ্বিধা ও সংকোচে ভোগেন তারা। এমনকি অনেকেরই ধারণা, সাইকোলজিস্ট ও সাইকিয়াট্রিস্ট দুটো একই পেশা। আসলে কিন্তু তা নয়! যখন আপনার সাইকোলজিস্ট দরকার, তখন সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে গেলে বিশেষ উপকার পাবেন না। দেখে নিন সাইকোলজিস্ট ও সাইকিয়াট্রিস্টের মাঝে কী কী পার্থক্য রয়েছে-

১) আলাদা ডিগ্রী

সাইকিয়াট্রিস্ট হতে হলে অন্যান্য ডাক্তারদের মতোই মেডিকেল কলেজ পাশ করে আসতে হয়। এ কারণে সব সাইকিয়াট্রিস্টই রোগীকে ওষুধ লিখে দিতে পারেন। মানসিক সমস্যার তীব্রতা বেশি হলে ওষুধ লাগতে পারে, তাই সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে যাওয়াই ভালো। বাইপোলার ডিজঅর্ডার, সিজোফ্রেনিয়া ও ডিপ্রেসিভ ডিজঅর্ডারের ক্ষেত্রে সাইকিয়াট্রিস্ট দেখানো ও ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হয়।  মাদকাসক্তি নিরাময়ের জন্যেও সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে যাওয়া যায়।

অন্যদিকে, সাইকোলজিস্ট হতে হবে ফিলোসফি বা সাইকোলজিতে পিএইচডি করতে হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তিনিও ওষুধের পরামর্শ দিতে পারেন।

২) শারীরিক ও মানসিক

সাইকিয়াট্রিস্টরা মূলত মানসিক সমস্যার শারীরিক দিকটা নিয়ে কাজ করেন। মস্তিষ্কের যেসব সমস্যার কারণে মানসিক সমস্যা দেখা দেয়, সেগুলো নিরাময়ের বিষয়ে জ্বর দেন তারা। অন্যদিকে সাইকোলজিস্টরা আপনার চিন্তাভাবনা ও অনুভূতির পরিবর্তন আনার মাধ্যমে মানসিক সমস্যার সুরাহা করেন। এর জন্য তারা থেরাপি দিয়ে থাকেন।

৩) আলাদা চিকিৎসা পদ্ধতি

সাইকোলজিস্ট ও সাইকিয়াট্রিস্ট দুজনেই মানসিক সমস্যা শনাক্ত ও নিরাময় করেন। সাইকিয়াট্রিস্ট অনেক সময়ে শুরু করেন ওষুধ দিয়ে। অন্যদিকে সাইকোলজিস্ট কথা বলা ও থেরাপি দিয়ে কাজ শুরু করেন। অনেক সময়ে একজন রোগীর সমস্যা নিরাময়ে সাইকোলজিস্ট ও সাইকিয়াট্রিস্ট দুজনেরই সাহায্য প্রয়োজন হতে পারে।

৪) আপনি কার কাছে যাবেন?

রোগীর মানসিক সমস্যার উপসর্গ যদি হয় আত্মহত্যার চিন্তা, মাদকাসক্তি বা জীবনধারণে সমস্যা তৈরি করে এমন সব আচরণ, তাহলে তার সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে যাওয়া উচিত। সাইকিয়াট্রিস্ট তাকে ওষুধ দিতে পারেন। অন্যদিকে মানসিক অবস্থা, চিন্তাধারায় পরিবর্তনের জন্য তাকে সাইকোলজিস্টের কাছেও যেতে হতে পারে।

৫) রোগী দেখার ধরণ

ডাক্তাররা যেমন সিরিয়াল নিয়ে রোগী দেখেন, একেক রোগীর পেছনে ১০ মিনিট থেকে সর্বোচ্চ আধা ঘণ্টা সময় ব্যয় করেন, তেমনিভাবেই রোগী দেখেন সাইকিয়াট্রিস্টরা।  মূলত এ সমস্যা রোগীর সমস্যা সমাধানে ওষুধ দেওয়া হয় এবং এক মাস পর পর রোগীকে দেখা করতে বলা হয়।

অন্যদিকে সাইকোলজিস্টরা অন্তত ৪৫ মিনিট ব্যয় করেন একেক রোগীর জন্য, তারা সপ্তাহে অন্তত এক বা দুইবার দেখা করতে বলেন। রোগীকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে ৬ থেকে ১২ বার দেখা করতে বলা হয়ে থাকে।

আপনি যদি বুঝতে না পারেন আপনার কার কাছে যাওয়া উচিত, সাইকোলজিস্ট নাকি সাইকিয়াট্রিস্ট- তাহলে প্রথমে নিজের সাধারণ ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। তিনিই আপনাকে বলবেন কোন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট

প্রিয় লাইফ/ আর বি