কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মুকেশ আম্বানি (বাঁয়ে) ও অনিল আম্বানি। ছবি: সংগৃহীত

মুকেশের সঙ্গে ভাই অনিলের সম্পত্তির পার্থক্য ৪১ বিলিয়ন ডলার

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০১৮, ১৩:১১
আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৮, ১৩:১১

(প্রিয়.কম) রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার মুকেশ আম্বানি বর্তমানে এশিয়ার শীর্ষ ধনী ব্যক্তি। সম্পত্তির দিক দিয়ে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জ্যাক মা ও মাইক্রোসফটের সাবেক প্রধান স্টিভ বামারকে। কিন্তু তার ছোট ভাই অনিল আম্বানির জন্য এ বছরটাও বেশি সুবিধার হলো না। বড় ভাইয়ের সঙ্গে সম্পত্তির পার্থক্য গিয়ে দাঁড়াল প্রায় চার হাজার ১০০ কোটি ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় তিন লাখ এক হাজার ৪৫২ কোটি রুপি।

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর মুকেশ আম্বানির ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৩১০ কোটি ডলার।

ধীরুভাই আম্বানির ছোট ছেলে অনিল আম্বানির ব্যবসায়িক ভাগ্য বড় ভাই মুকেশ আম্বানির মতো ওতটা ভালো না। তার ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণ ১১ হাজার ২৮ কোটি রুপি।

অনিল আম্বানির বেশ কয়েকটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে আইনি সমস্যায় রয়েছে। তার কোম্পানির শেয়ারের দামও দ্রুতগতিতে পড়েছে। সব মিলিয়ে বোঝাই যায় বড় ভাই মুকেশ আম্বানির সম্পত্তির চেয়ে দুই বছরের ছোট ভাই অনিল আম্বানি অনেকটাই পিছিয়ে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০২ সালের জুলাই মাসে হঠাৎ করেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান মুকেশ ও অনিলের বাবা ধীরুভাই আম্বানি। তার হাতেই গড়া রিলায়েন্স সাম্রাজ্য। কিন্তু মৃত্যুর আগে দুই ছেলের নামে সম্পত্তি ভাগ করে দিয়ে যেতে পারেননি তিনি। আর তখন থেকেই দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত তাদের মা কোকিলাবেন আম্বানির মধ্যস্থতায় ২০০৫ সালে তাদের মধ্যে সম্পত্তিকে ঘিরে বিরোধের শেষ হয়। বাবার তৈরি করা রিলায়েন্স কোম্পানি ভাগ হয়ে যায় দুই ভাইয়ের মধ্যে।

২০১৭ সাল থেকে মুকেশ আম্বানির উত্থান শুরু হয় বিদ্যুৎ গতিতে। বর্তমানে দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পত্তি পার্থক্য চার হাজার ১০০ কোটি ডলার।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মুকেশ আম্বানি ২০১০ সালে ফোনের বাজারে ঢোকার পরই বদলে যায় তার অবস্থা। রিলায়েন্স জিও ২০১৬ সাল থেকেই লাভ করতে শুরু করে। অন্যদিকে অনিল আম্বানির ব্যবসায়ে পতন হতে থাকে। বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দিতে বিক্রি করতে শুরু করেন তার কোম্পানির শেয়ার। এ ছাড়া অনিলের কোম্পানির শেয়ারের দামও কমতে থাকে।

এশিয়ার সবচেয়ে ধনী হিসেবে যখন নিজেকে প্রতিষ্ঠা করছেন মুকেশ আম্বানি, অপরদিকে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে নেমেছেন অনিল আম্বানি।

প্রিয় সংবাদ/আশরাফ/রুহুল