কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

প্রতীকী ছবি

আগ্রাসী ভূমিকায় জিও, পাত্তা পাচ্ছে না অন্যরা

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ১৩:৫৮
আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ১৩:৫৮

(প্রিয়.কম) নিজেদের আগ্রাসী ব্যবসানীতির কারণে ভারতের মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কাছে কম সময়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে রিলায়েন্স জিও। এতে দেশটির অন্যান্য অপারেটরদের পিছু হাঁটতে হচ্ছে, গুনতে হচ্ছে লোকসান।

বাণিজ্যবিষয়ক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকুইন্টে সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালের শেষ দিকে যাত্রার শুরুর দুই বছরের মাথায় ভারতের টেলিকম প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে মুকেশ আম্বানির নেত্বত্বাধীন এই প্রতিষ্ঠানটি।

বিনামূল্যে ভয়েস কল ও কম মূল্যে ডাটাসেবা, জিওর এই ধরনের আগ্রাসী ব্যবসানীতির কারণে দেশটির টেলিকম অপারেটরগুলোর মধ্যে তীব্র ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। ফলাফলে দেশটির অন্য অপারেটরদের মুনাফা কমে যাওয়ার পাশাপাশি কিছু অপারেটর টেলিকম ব্যবসা থেকে বিদায় নিয়েছে।

দেশটির মোবাইল অপারেটরগুলোর মার্কেট শেয়ারের দিকে লক্ষ করলে দেখা যায়, ২০১৬ সালের জুলাইয়ে মার্কেট শেয়ারের দিক থেকে এগিয়ে ছিল এয়ারটেল ভারত। এরপর পর্যায়ক্রমে মার্কেট শেয়ার বেশি ছিল ভোডাফোন ও আইডিয়ার।

২০১৭ সালের জুলাইয়ে ফের পর্যায়ক্রমে এগিয়ে ছিল এয়ারটেল ভারত, ভোডাফোন, আইডিয়া, জিওসহ অন্য কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। তবে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে এয়ারটেল ভারত এগিয়ে থাকলেও ছন্দ হারায় অন্যরা। দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নেয় জিও। এর পরের অবস্থান ভোডাফোন, আইডিয়া ও অন্যদের।

গত বুধবার রিলায়েন্স জিওর পক্ষ থেকে জানানো হয়, সেপ্টেম্বর শেষে তাদের গ্রাহক ২৫ কোটি ২৩ লাখে পৌঁছেছে। একই সঙ্গে তাদের রাজস্ব আয় ও মুনাফা বেড়েছে। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে তাদের পরিচালন রাজস্ব এসেছে ৯ হাজার ২৪০ কোটি রুপি, যা প্রথম প্রান্তিকের চেয়ে ১৪ শতাংশ বেশি। একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা বেড়ে ৬৮১ কোটি রুপিতে পৌঁছেছে। এ নিয়ে টানা চার প্রান্তিক ধরে মুনাফা করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। যদিও কার্যক্রম চালুর এক বছরের বেশি সময় পর্যন্ত লোকসানে ছিল জিও।

বিশ্লেষকরা বলছেন, কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই জিও বিনামূল্যের ভয়েস কল ও ডাটাসেবা দিতে শুরু করে। এতে তাদের গ্রাহক দ্রুত বাড়তে থাকে। জিওর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অন্য অপারেটররাও মূল্যছাড় নীতি গ্রহণ করে। এতে অপারেটরগুলো লোকসানে পড়ে।

বিশ্লেষকদের তথ্যমতে, আগামী প্রান্তিকগুলোয় দেশটির তিন বৃহৎ অপারেটরগুলোর লোকসান বাড়তেই থাকবে।

তাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ভারতী এয়ারটেলের নিট লোকসান ৮১০ কোটি রুপিতে পৌঁছতে পারে।

প্রিয় প্রযুক্তি/রুহুল