কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

যারা নিয়মিত জিমে যান, তাদের জন্য কলা বেশি উপকারি। ছবি: সংগৃহীত

ব্যায়ামের আগে ও পরে খাবেন যে ফলটি

কে এন দেয়া
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০১৮, ২২:৪৮
আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৮, ২২:৪৮

(প্রিয়.কম) পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ফলটি সম্ভবত কলা। তা শুধু সুস্বাদু নয়, বরং স্বাস্থ্যকরও বটে। কলার ব্যবহার বলে শেশ করা যায় না। বিভিন্ন রকম খাবার ব্যবহার করা যায় এক কলা দিয়ে। ব্যায়ামের আগে ও পরে ওটসের সাথে মিশিয়েও খেতে পারেন কলা। যারা নিয়মিত জিমে যান, তাদের জন্য কলা বেশি উপকারি। মূলত এতে বেশি পরিমাণে ফাইবার ও কম ক্যালোরি থাকে বলে তা ফিট থাকতে কাজে আসে। ব্যায়ামের সময়ে শরীরের যে শ্রম হয় তার জ্বালানি হিসেবে কলায় থাকে স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট। আর এতে যে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে তা বলাই বাহুল্য।

ব্যায়ামের আগে আপনি যাই খান না কেন, তা স্টিমুলেটর হিসেবে কাজ করবে এবং ফ্যাট ঝরাতে কাজে আসবে। হজমে সাহায্য করার মাধ্যমে এক্ষেত্রে কাজে আসে কলা। নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরে গ্লাইকোজেনের মজুদ কমে আসে। কলা পেশীতে গ্লাইকোজেনের সরবরাহ নিশ্চিত করার মাধ্যমে আপনাকে সুস্থ রাখে।

খাওয়া কমাতেও সাহায্য করে কলা। কলায় প্রচুর ফাইবার থাকে। ফলে তা খাওয়ার পর আপনার অনেকটা সময় পেট ভরা থাকে, অতিরিক্ত খাওয়ার সমস্যাটি দূর হয় ও ওজন কমে। কলা খেলে অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ইচ্ছেও কমে।

ব্যায়াম করাটা শরীরের জন্য কষ্টকর। আর তাই ব্যায়ামের পর অনেকেরই প্রচণ্ড ক্ষুধা লাগে। এ সময়ে শরীরের দরকার হয় কারবোহাইড্রেট বা শর্করা, যা অনায়াসেই আপনি কলা থেকে পেতে পারেন। ব্যায়ামের পর পেশীর ক্ষতিপূরণে কাজে আসে এই শর্করা। শুধু তাই নয়, কলার প্রচুর পটাশিয়াম আছে, যা কিনা পেশীর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরী। প্রতিদিন জিমে ব্যায়াম করলে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক অন্তত ৪,৭০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম দরকার। এই পটাশিয়াম পাওয়ার জন্য কলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।

আমেরিকান ডায়েটিক অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, ব্যায়ামের পর পেশীর ক্ষয়পূরণে প্রোটিনও জরুরী। এ কারণে কলার সাথে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। কলা দিয়ে মিল্কশেক তৈরি করতে পারেন অথবা দইয়ের সাথে খেতে পারেন কলা। এতে আমাদের শরীর দ্রুতই ব্যায়ামের ধকল সামলে উঠতে পারে।

সুত্র: এনডিটিভি

প্রিয় লাইফ/ আর বি