কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বৃহস্পতিবার ‘উন্নয়ন প্রকল্পের দ্বৈততা পরিহার’ শীর্ষক পাইলট প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ছবি: সংগৃহীত

অর্থ সাশ্রয়ের জন্য উন্নয়ন প্রকল্পের দ্বৈততা পরিহার আবশ্যক: মোস্তাফা জব্বার

রাকিবুল হাসান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:০৩
আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:০৩

(প্রিয়.কম) রাষ্ট্রের অর্থ সাশ্রয়ের জন্য উন্নয়ন প্রকল্পের দ্বৈততা পরিহার করা আবশ্যক বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

১৮ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওস্থ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অফিসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

একসেস টু ইনফরমেশনের উদ্যোগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় ‘উন্নয়ন প্রকল্পের দ্বৈততা পরিহার’ শীর্ষক পাইলট প্রকল্প উদ্বোধন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে দ্বৈততা পরিহার করা সম্ভব হয় না। এসব ক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যায়ের উন্নয়ন প্রকল্পের দ্বৈততা যাচাই না করার কারণে উন্নয়ন কাজে বিলম্ব ও অপচয় লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু ডিজিটাল প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে খুব সহজেই নতুন প্রকল্প গ্রহণের সময় দ্বৈততা পরিহার করে কার্যক্রম সম্পাদন করা যাবে এবং এ লক্ষ্যে ব্যবহৃত পুরাতন প্রকল্পসমূহের তথ্য যাচাই করা সম্ভব। এর ফলে জনগণের অর্থ সাশ্রয় হবে এবং দেশ হবে উপকৃত।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশ অতীতের তিনটি বিপ্লবের কোনোটিতেই নেতৃত্ব দিতে পারিনি। ডিজিটাল বিপ্লবে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। বিভিন্ন সূচকে অন্যান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক ওপরে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এবং জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য তা সম্ভব হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব এবিএম আরশাদ হোসেন এবং এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

এই অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে যখনই বাংলাদেশের কোনো উপজেলায় নতুন প্রকল্পের প্রস্তাব উত্থাপিত হবে, সফটওয়্যারটি খুব সহজেই সেটি পুরনো কোনো প্রকল্পের সঙ্গে নতুন প্রকল্পটির দ্বৈততা রয়েছে কি না, তা যাচাই করে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করবে, যা বিদ্যমান পদ্ধতিকে অনেকাংশে সহজ করে তুলবে এবং স্বল্প সময়ে, ন্যূনতম খরচে কাজটি করা সম্ভব হবে।

এটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দুর্নীতি হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি ৪৯২টি উপজেলায় সঠিক ডাটাবেজ ব্যবস্থাপনা এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। এই সিস্টেমের মাধ্যমে উন্নয়ন খাতে সরকারের খরচ প্রতি বছর আনুমানিক ২৪৬ মিলিয়ন ডলার হ্রাস পাবে। এছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসন সরাসরি এই সিস্টেমের মাধ্যমে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে উপকৃত হবে।

প্রিয় প্রযুক্তি/শান্ত