কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

নিয়মিত নেইল পলিশ ব্যবহার করেন এমন যে কারও জন্যই এই গবেষণাটি গুরুত্বপূর্ণ।

‘নন-টক্সিক’ নেইলপলিশও হতে পারে আপনার ক্ষতির কারণ

কে এন দেয়া
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:১৩
আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:১৩

(প্রিয়.কম) নখের সৌন্দর্যে নেইল পলিশ ব্যবহার করেন অনেকেই। কিন্তু এর পুরোটাই রাসায়নিক। এর মাঝে কিছু টক্সিক বা বিষাক্ত রাসায়নিকও থাকে। এমনকি যেসব ব্র্যান্ড ‘নন-টক্সিক’ নেইল পলিশ তৈরি করেছে বলে দাবি করে, তাতেও থাকতে পারে বিষাক্ত উপাদান।

এ সংক্রান্ত গবেষণা প্রকাশিত হয় এনভায়রনমেন্টারল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলজি জার্নালে। গবেষণার লেখক অ্যানা ইয়ং জানান, একটি বিষাক্ত রাসায়নিক পাল্টে সেখানে আরেকটি একই রকমের বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে এসব নেইল পলিশ ব্যবহারের বিপদ কোনো মাত্রায় কমে না।

২০০০ এর শুরুর দিকে অনেক নেইল পলিশ কোম্পানি দাবি করতে থাকে, তাদের পণ্য ‘থ্রি-ফ্রি’। তিনটি বিষাক্ত রাসায়নিক থেকে এসব নেইল পলিশ মুক্ত বলে তারা দাবি করে। এসব রাসায়নিক হলো ডাইবিউটাইল থ্যালেট, টলুইন ও ফর্মালডিহাইড।  এরপর থেকে কোম্পানিগুলো আরও বেশি রাসায়নিক পরিবর্তন করতে থাকে এবং নিজেকের পণ্য ‘টেন-ফ্রি’, ‘থার্টিন-ফ্রি’ এই লেবেলে বাজারজাত করতে থাকে।

এসব নেইল পলিশ আসলেই নির্বিষ কিনা তা বোঝার জন্য অ্যানা ইয়ং ও তার সহকর্মীরা ১২টি ব্র্যান্ডের ৪০টি নেইল পলিশের ওপর গবেষণা করেন।  এসব নেইল পলিশে অনেক ক্ষেত্রেই একটি পরিচিত বিষাক্ত রাসায়নিক বাদ দিয়ে অপরিচিত আরেকটি বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়।

এই গবেষণায় বেশ বিখ্যাত কিছু ব্র্যান্ডের নেইল পলিশ ছিলো।  গবেষকরা মনে করেন, নিয়মিত নেইল পলিশ ব্যবহার করেন এমন যে কারও জন্যই এই গবেষণাটি গুরুত্বপূর্ণ। যদিও এসব রাসায়নিকযুক্ত নেইল পলিশ কতটা ঘন ঘন ব্যবহার করলে মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে তার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় না।  যারা পার্লারে কাজ করেন এবং দৈনিক অন্যের নখে নেইল পলিশ দিয়ে দেন, তাদের বড় ধরণের ক্ষতি করতে পারে এসব রাসায়নিক।  তাদের প্রজননতন্ত্র, থাইরয়েডের সমস্যা, ওবেসিটি এমনকি ক্যান্সারের মতো সমস্যা হতে পারে।

মাঝে মাঝে নেইল পলিশ ব্যবহার করলে তেমন চিন্তিত হবার কিছু নেই। কিন্তু সবার নিরাপত্তার জন্য হলেও নেইল পলিশ উপাদানের এসব তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া উচিত, মনে করেন গবেষক অ্যানা ইয়ং।

সূত্র: টাইম

প্রিয় লাইফ/ আর বি