২০৪০ সাল নাগাদ পৃথিবীর মানুষ কতটা সুস্থ থাকবে? ছবি: সংগৃহীত
২০৪০ সাল নাগাদ কমে যেতে পারে মানুষের আয়ু
আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:৫৮
(প্রিয়.কম) ২০৪০ সাল নাগাদ পৃথিবীর মানুষ কতটা সুস্থ থাকবে? পরিস্থিতি যদি এখনকার মতোই থাকে, তাহলে আয়ু বাড়তে পারে গড়ে ৪.৪ বছর। কিন্তু কিছু কিছু কারণে আয়ু বাড়ার বদলে কমেও যেতে পারে ২০৪০ সাল নাগাদ। এই তথ্য পাওয়া যায় সাম্প্রতিক এক গবেষণায়।
দি ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় পৃথিবীর ১৯৫টি দেশের মানুষের স্বাস্থ্য ও আয়ুর বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়। ১৯৯০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এসব এলাকায় মানুষের তথ্য নিয়েই গবেষণাটি করা হয়। এক্ষেত্রে ৭৯টি বৈশিষ্ট্য নিয়ে কাজ করা হয়। যেমন, ধূমপান, বডি মাস ইনডেক্স বা বিএমআই, বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ, স্বাস্থ্যকর পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, আয় ও শিক্ষা। এসব তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তিনটি ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন গবেষকরা, এগুলো হলো ‘মোস্ট লাইকলি’ বা সবচেয়ে সম্ভাব্য পরিস্থিতি, ‘বেটার হেলথ’ বা ভালো পরিস্থিতি, আর ‘ওর্সট হেলথ’ বা খারাপ স্বাস্থ্যের পরিস্থিতি।
সারা বিশ্বে মানুষের স্বাস্থ্যের অবস্থা বর্তমানের মতোই যদি চলতে থাকে, তাহলে ‘মোস্ট লাইকলি’ পরিস্থিতি দেখা যাবে। এক্ষেত্রে ২০৪০ সাল নাগাদ মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ হবে হৃদরোগ, স্ট্রোক, লোয়ার রেস্পিরেটরি ইনফেকশন, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ক্রনিক লিভার ডিজিজ, আলঝেইমার্স, ডায়াবেটিস এবং সড়ক দুর্ঘটনা। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন মাত্রায় আয়ু বাড়তে দেখা যাবে।
তবে এই পরিস্থিতি দেখা যাবে যদি পৃথিবীর অবস্থা একই রকম থাকে। কিন্তু আগে থেকেই তা বলে দেওয়া যায় না। যদি বিভিন্ন দেশের সরকার স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নের চেষ্টা করে, তাহলে ‘বেটার হেলথ’ পরিস্থিতি দেখা যাবে। কিন্তু যদি তারা অবহেলা করে, তাহলে ‘ওর্সট হেলথ’ পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।
‘বেটার হেলথ’ পরিস্থিতিতে পুরুষদের গড় আয়ু ৭.৮ বছর এবং নারীদের গড় আয়ু ৭.২ বছর বড়তে পারে। কিন্তু ‘ওর্সট হেলথ’ পরিস্থিতিতে প্রায় অর্ধেক পরিমাণ দেশে মানুষের আয়ু কমে যাবে। তবে এর চেয়েও আশঙ্কার কথা হলো, এইচআইভি এইডসে মৃত্যুর পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে ১২০ শতাংশ।
এই খারাপ পরিস্থিতিতে পড়তে না চাইলে দেশগুলোকে স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নে জোর দিতে হবে। এছাড়া নাগরিকদের ধূমপান ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস দুরের চেষ্টা করতে হবে। এছাড়াও স্বাস্থ্য খাতে খরচ বাড়াতে হবে।
সূত্র: লাইভ সায়েন্স
প্রিয় লাইফ/ আর বি