কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

জয়া আহসান। ছবি: শামছুল হক রিপন। প্রিয়.কম

‘আমি তো শিল্প বিশ্বাস করি, শিল্পমান বিশ্বাস করি’

মিঠু হালদার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:৪২
আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:৪২

(প্রিয়.কম) দিনভর ‘দেবী’র প্রমোশনের ব্যস্ততা। তাই সরাসরি আলাপের প্রসঙ্গ বাদ দিয়ে ঠিক হলো, মুঠোফোনে হবে কথা। তা-ও হয় হয় করে হচ্ছিল না। অবশেষে ১০ অক্টোবর রাতে ফোনে পাওয়া গেল জয়া আহসানকে। তখন তিনি চট্টগ্রামে। কল রিসিভ করতেই বললেন, ‘এখনই আলাপ সেরে নিতে হবে। পরে আর সরাসরি আলাপের সময় করে উঠা যাবে না হয়তো।’

ব্যস্ত রাস্তা, ট্রাফিক পেরিয়ে শহুরে মানুষগুলোর যখন ঘরে ফেরার কথা, সেই ক্ষণেই কথা শুরু হলো সোজাসাপটা আলাপে পটু জয়ার সঙ্গে।

১৯ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ‘দেবী’। ছবিটি পরিচালনা করেছেন অনম বিশ্বাস। দুই বাংলার জনপ্রিয় তারকা জয়া এই ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি আছেন প্রযোজনায়। এটি তৈরি করেছে তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘সি-তে সিনেমা’। এতে রানু চরিত্রে অভিনয় করছেন জয়া। ছবিতে অভিনয়সহ প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রিয়.কমের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা কথা বলেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী।

প্রিয়.কম: দীর্ঘদিন থেকে আপনি অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত। বাংলাদেশ ছাড়িয়ে টালিউডও মাত করেছেন। হঠাৎ কেন প্রযোজনায় আসলেন?

জয়া: যেকোনো আর্টিস্টেরই একটা জার্নির পরে গিয়ে প্রডিউস করা উচিত। দায়িত্বশীল আর্টিস্টের সেটা একটা জায়গা। আরেকটা জায়গা হলো, এই ছবিতে আমার অভিনয় করার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু কেউ না, প্রযোজনার বিষয়ে এগিয়ে আসছিল না। তাই ভাবলাম, নিজেই ট্রাই করি।

চরিত্রটার প্রতি লোভ ছিল; হুমায়ূন আহমেদের ‘দেবী’র প্রতিও এক ধরনের লোভ ছিল। সেই থেকে ভাবলাম যে, এই ধরনের কাজটা করি আরকি। তারপর সরকারি অনুদান পেলাম। সামনের দিকে হাঁটলাম। তবে এটা ঠিক যদি অনুদান না পেতাম, তাহলে এত তাড়াতাড়ি ফিল্ম প্রডিউস করা শুরু করতাম না।

অনুদান অনেক বড় একটা বিষয়। আর যে ছবিগুলো শুধু ব্যবসার জন্য নয়, শিল্পমানেরও বিষয় থাকে; সে ছবিগুলোও করা প্রয়োজন। সেদিক থেকে গভমেন্টের এ উদ্যোগটা অসাধারণ।

প্রিয়.কম: ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অর্থ বিনিয়োগ মানেই বড় ধরনের ঝুঁকি। আর বাংলাদেশে গত এক দশকে হাতে গোনা কিছু ছবি বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়েছে। যে ধরনের গল্প নিয়ে ‘দেবী’ ছবিটি নির্মিত হয়েছে, ব্যবসায়িকভাবে কতটা সফল হবে বলে মনে করছেন?

জয়া: খুবই অনিরাপদ একটা ছবি। তবে আমি একটা নিরাপদ ছবি বেছে নিতেই পারতাম। কিন্তু আমি তো শিল্প বিশ্বাস করি, শিল্পমান বিশ্বাস করি। যে ছবি নিয়ে আমি এতদিন স্ট্রাগল করেছি, সে ছবির বাইরে গিয়ে প্রডিউস করাটা, আমার মনে হয় এক ধরনের অসততা।

আমি যে ছবি এতদিন বিশ্বাস করি নাই, এখন সে ছবিতে গিয়ে প্রডিউস করলে তো হবে না। আমি যেসব ছবি বিশ্বাস করি, তাতে শিল্পমান আছে, তবে বাণিজ্য বিষয়টাও আছে। আমিও চাই, আমার ছবিটা বাণিজ্য করুক।

এটার সঙ্গে হুমায়ূন আহমেদের নাম আছে। মিসির আলী চরিত্র আছে। এই চরিত্রগুলোর কারণে আমি কখনোই চাইব না, মানুষগুলো অসম্মানিত হোক। তাই আমি ছবিটা কখনো ওই প্যাকেজিংয়ের মতো করে বানাই নাই, মানে বাণিজ্যিক টাইপের। যদিও হুমায়ূন আহমেদ, মিসির আলী-দুজনই ম্যাস পিপলের কাছে পৌঁছাবার বিশাল একটা মাধ্যম। উনাদের নিজেদেরই এক শ্রেণির দর্শকগোষ্ঠী আছে।

আমার মনে হয়, ঠিক আছে বাণিজ্য হলে হবে। হলে খুবই ভালো। কিন্তু আমি তো চাই; অবশ্যই আমি চাই। কিন্তু সেটা এমন নয় যে, তাই বলে আমি আমার ছবিটাকে ওরকমভাবে সো কল্ড বাণিজ্যিকীকরণ করে ফেলব।

জয়া মনে করেন যেকোনো আর্টিস্টেরই একটা জার্নির পরে গিয়ে ছবি প্রডিউস করা উচিত। ছবি: প্রিয়.কম

প্রিয়.কম: হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি চরিত্রের একটি হলো মিসির আলী। যারা হুমায়ূন-ভক্ত কিংবা এই দুই চরিত্রের খুঁটিনাটি জানেন, তাদের কাছে মিসির আলী চরিত্রকে তুলে ধরা অনেক কঠিন কাজ। সেদিক থেকে মিসির আলীকে রূপদান কতটা করা সম্ভব হয়েছে?

জয়া: দেখেন, আপনি যখন সিনেমা বানাবেন, সেটা তখন আপনার মতো হবে। আমি যখন সিনেমা বানাব বা অনম বিশ্বাস যখন বানাবে, তখন অনম কিংবা আমি-যে যেভাবে মিসির আলীকে নিয়ে ভাবব, সে রকমই হবে। সবার মন রক্ষা করে বানাচ্ছি, সেটা নয়। সবচেয়ে বড় কথা, আমি কোনো ইতিহাসও তৈরি করছি না, সাহিত্যও তৈরি করছি না।

সাহিত্য আলাদা, বাট সিনেমাও আলাদা মাধ্যম। ফিল্ম তৈরি করতে গেলে সেটা থেকে দূরে যেতেই হবে; দূরে যাওয়াটা বাঞ্ছনীয়। তবে ক্যারেকটার, গল্প ঠিক রেখে আমি সে রকম করেই কাজটা করার চেষ্টা করেছি।

প্রিয়.কম: মিসির আলী চরিত্রের জন্য কেন চঞ্চল চৌধুরীকে বেছে নিলেন?

জয়া: ওর কোনো কাজ দেখে বা কিছু দেখে, সেটা নয়; ওর কাজের প্রতি সততা দেখে। কারণ ও যখন যে সিনেমা করেছে, সেটাই বিশ্বাসযোগ্য হয়েছে। ও নাটকে অনেক চরিত্র করেছে, সেটা দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেছে; মানুষের কাছে খুব পপুলার হয়েছে।

কিন্তু আপনি একটা বিষয় খেয়াল করলে দেখবেন, ও যে সিনেমাগুলো করেছে, সেখানে কিন্তু ও নিজেকে উচ্চ মানের অভিনেতার জায়গায় নিজেকে পৌঁছাতে পেরেছে। এটা আমি বিশ্বাস করি। চঞ্চল বিশ্বাস করে কি না, আমি জানি না।

সে জায়গা থেকে আমার মনে হয়েছে যে, ও খুব সাবধানী। যে সাবধানী হয়, সে লোভে পড়ে সিনেমা করে না। যদিও লোভে পড়ে মানুষ অনেক কিছুই করতে পারে। আমি দেখিনি ও কখনো লোভে পড়ে সিনেমাটা নিয়ে মশকরা করেছে। ও ভালো কাজ হলেই করেছে। দায়িত্বশীল মানুষ হলেই করেছে। যে চরিত্রটার মধ্যে চ্যালেঞ্জ আছে, সেটাই করেছে, যেটা আমি পছন্দ করি। আমি নিজেও করতেও চেষ্টা করি।

ওই জায়গাটা নিয়ে কোনো ডাউট নেই, ও গুণী অভিনেতা। ওর অভিনয় নিয়ে তো কোনো ডাউট নেই। ও ‘আয়নাবাজি’ করেছে, ‘মনপুরা’ করেছে, আমার ধারণা সেগুলো থেকে মিসির আলী করাটা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল। অনেক বেশি কঠিন ডিসিশান ছিল বলে আমার মনে হয়।

প্রিয়.কম: ‘দেবী’ ছবিতে রানু চরিত্রে নিজেকে তৈরি করা কতটা কঠিন ছিল? এ জন্য আপনাকে কতটা পরিশ্রম করতে হয়েছে?

জয়া: আমি অন্য আট-দশটা ছবিতে যেমন অ্যাফোর্ড দিই, এ ছবিতেও তেমন অ্যাফোর্ড দিয়েছি। তবে প্রথম প্রোডাকশন তো! একটু মায়া কাজ করছে। আমি এ ছবিতে এমন কোনো এক্সট্রা অ্যাফোর্ড দিইনি, যেটা আমি অন্য ছবিতে দিয়েছি।

তবে যখন আমি কোনো দায়িত্ব নিই, তখন সেনসিটিভলি কাজটা করি, কাজের প্রতি আন্তরিকতার অভাব থাকে না। নিজের প্রোডাকশন দেখে ভালো করে করলাম, তেমন নয়। আমার মনে হয়, আমি নিজের প্রোডাকশন থেকে অন্যের প্রোডাকশন অনেক মনোযোগ দিয়ে করি।

প্রিয়.কম: বিখ্যাত কোনো লেখকের গল্প কিংবা বিখ্যাত কোনো চরিত্রকে কেন্দ্র করে সিনেমা নির্মাণ করা হলে ওই লেখকের গল্প বা চরিত্রের দিকেই সবার আকর্ষণ থাকে। তবে অভিনয়ের গুণে সেটাকে ছাড়িয়েও যায় কখনো কখনো। সেদিক থেকে মিসির আলী ও রানু চরিত্র থেকে জয়া বা চঞ্চল কতটুকু বের হতে পারবে বলে মনে করছেন?

জয়া: এটা আমি কী করে বলব, এটা তো দর্শকের প্রশ্ন। এই প্রশ্ন আমাকে করে কোনো লাভ আছে? তবে আমাদের কাছে আমাদের চিন্তা মিসির আলী ২০১৮ সালে হলে কেমন হতো, ১৯৭৭-এ না কিন্তু। যেমন: ধরেন ‘জানালা দিয়ে শিউলি ফুলের ঘ্রাণ ভেসে আসছে, এটা কী অশরীরি আত্মার গন্ধ নাকি বাগান থেকে ভেসে আসা সত্যিই ফুলের ঘ্রাণ’-এ লাইনগুলো বইয়ে লেখা সহজ।

এটা আপনি ভিজ্যুয়াল কী করে দেখাবেন, বলেন তো? বইয়ে অনেক কিছু লিখা যায়। সাহিত্য ডিফারেন্ট একটা মাধ্যম। ফিল্ম করতে গেলে এ রকম অনেক কিছুই অনেকভাবে ফেইল হয়ে যায়। তাই আমরা কাজটা করতে গিয়ে কিছু চেঞ্জেস এনেছি।

অন্য আট-দশটা ছবিতে জয়া যেমন অ্যাফোর্ড দেন, এ ছবিতেও তেমন অ্যাফোর্ড দিয়েছেন। ছবি: প্রিয়.কম

প্রিয়.কম: আপনার প্রযোজনায় প্রথম ছবি ‘দেবী’। কাজ করতে গিয়ে অভিজ্ঞতা কেমন হলো। হল বুকিং থেকে শুরু করে প্রদর্শক সমিতি, প্রযোজক সমিতির সঙ্গে মিটিং; হল মালিক থেকে শুরু করে ম্যানেজারের সঙ্গে মিটিং। আপনি তো এসব কাজের সঙ্গে অভ্যস্ত ছিলেন না। অভিজ্ঞতাটা যদি বলেন...

জয়া: না, মজাই লাগছে। সব তো আর করতে পারছি না। আমার টিমের লোকজন করছে। আমি এর আগে যে কাজগুলো করেছি, তখন তো শুধু অভিনয় করেছি। অভিনয়টা তো একটা পর্ব। তার পরের কাজগুলো কী হয়, কারা কাজ করে, আমাদের ছবিটা কোথায় যায়, কী করে ছবিটা প্রদর্শন হয়, দর্শক পর্যন্ত পৌঁছায়। এ কাজগুলোর সঙ্গে যে মানুষগুলো আছে, তারাও তো গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে এ বিষয়গুলো জানতাম, তবে জড়াইনি কখনো। তবে এবার এই বিষয়গুলো আমি এক্সপেরিয়েন্স করছি।

প্রিয়.কম: প্রযোজনার কাজ করতে গিয়ে আপনি কোন কোন বিষয়গুলোতে সংকট অনুভব করেছেন?

জয়া: আমি পারসোনালি কোনো ক্রাইসিসে পড়িনি। যেহেতু আমি নতুন বা প্রথম, তাই অনেক কিছুই ডিফিকাল্ট লেগেছে। তবে এ প্রক্রিয়াটা যে জটিল কিংবা অন্য কিছু, সেটা বুঝতে আরও কিছু ছবি করা লাগবে। কেন এই হিসাবগুলো এ রকম, ও রকম নয়, তখন আসলে পুরো বিয়ষটা বুঝতে পারব।

প্রিয়.কম: আপনি কি মনে করেন ‘দেবী’ সব শ্রেণির দর্শক দেখবে। যদি দেখে, তাহলে কেন?

জয়া: দেখেন, সবাই কিন্তু ‘দেবী’ পড়েনি। যারা এখনকার লোকজন কিংবা ইয়ুথ, তারা দেবী কিংবা মিসির আলীর সঙ্গে রিলেট করতে পারে না। কারণ তারা পড়েনি, তারা জানে না। তারা নির্ভেজাল একটা ছবি দেখবে। এই জনরার (ধরন) ছবি তো আমাদের এখানে হয়নি।

এখন যেটা হয়েছে, সেটা তারা দেখবে। আর যারা হুমায়ূন আহমেদ পড়েছে, ‘দেবী’ গল্পটা পড়েছে, তাদের দেবী গল্পের চরিত্রগুলো জ্যান্ত কথাবার্তা বলছে, সেটা ঠিক কেমন হয়েছে, তা দেখার জন্যও তো দেখা উচিত। সবচেয়ে বড় বিষয় এই দুটোই।

প্রিয়.কম: আপনার বা চঞ্চল চৌধুরীর দুজনের সেরা সেরা কাজ আমরা দেখেছি। এই ছবির মাধ্যমে কী আগের সেরাকে ছাড়িয়ে যাওয়া কাজ দেখা যাবে কিংবা এই বিষয়ে আপনি কী মনে করছেন?

জয়া: ‘দেবী’ ছবিটা না আমার অন্যান্য ছবিগুলোর সঙ্গে মেলে না; না ‘গেরিলা’, না ‘চোরাবালি’র সঙ্গে মেলাতে পারবেন। এটা ডিফরেন্ট একটা জনরা, যে কারণেই আমি এ ছবিটা বেছে নিয়েছি; না হয় অন্য কোনো ছবি বেছে নিতাম।

আমি চাই, দর্শকদের একটু একটু করে অভ্যস্ত হওয়া দরকার। আমি চাই, সো কল্ড ফিল্মগুলোর ফর্মুলা ভেঙে এই ফিল্মগুলো মানুষ দেখুক। আমার বিশ্বাস, সে জায়গাটা তৈরি হবে। তবে একটু অপেক্ষা করতে হবে, এই আরকি।

জয়া চান সো কল্ড ফিল্মগুলোর ফর্মুলা ভেঙে ‘দেবী’ টাইপের ফিল্মগুলো মানুষ দেখুক। ছবি: প্রিয়.কম

প্রিয়.কম: মিসির আলীর সঙ্গে ঘটা যে ধরনের ঘটনাগুলো আমরা পড়েছি, তেমন কোনো ঘটনা ব্যক্তি জয়ার জীবনে ঘটেছে কি? যেমন: স্বপ্নে দেখলেন হাত কেটে গেছে। ঘুম থেকে উঠে দেখলেন সত্যিই কেটে গিয়েছে...

জয়া: না না, সে রকম কখনো হয়নি। তবে জীবনে তো অদ্ভুত ঘটনা অনেক ঘটেছে, যেটা হয়তো সবার জীবনেই ঘটে। বেশ রহস্যময় ঘটনাও ঘটেছে কখনো কখনো। ঘটনাটা পড়ার পর কেউ কেউ বলবে হয়তো রানুর সঙ্গে মিলিয়ে বলছি। তবে তা নয় কিন্তু।

ছোটবেলায় স্বপ্ন দেখেছি আমার নানা মারা যাবেন, ঠিকই নানা ওই সময়টাতে মারা গেছেন। সে সময় আমি বেশ ছোট ছিলাম। তখন এ রকম আরও স্বপ্ন দেখেছি, সেটার বেশির ভাগ মৃত্যু নিয়েই হতো। এটা বোধ হয় সবারই হয়, শুধু আমার না।

প্রিয়.কম: ছবির নির্মাণকালীন হুমায়ূন আহমেদের মেয়ে অভিনেত্রী শীলা আহমেদ অভিযোগ করেছেন, ছবিটি নির্মাণে লেখকের উত্তরাধিকারীদের সবার কাছ থেকেই অনুমতি নেননি। এরপর বিষয়টা নিয়ে আপনার দিক থেকে কোনো ধরনের মন্তব্য পাওয়া যায়নি?

জয়া: এরপরে কিছুই ঘটেনি। একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। একটা মিস কমিউনিকেশন; নট মিস আন্ডারস্টান্ডিং। আসলে এর বাইরে কিছু না; সব ঠিক আছে। তারা আপত্তি তোলার পর যেহেতু আর কিছু বলছে না, তার মানে আমাদের দিক থেকে সব ঠিক আছে, এই তো।

প্রিয়.কম: আপনার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘সি-তে সিনেমা’র নেক্সট প্রজেক্ট কী?

জয়া: এখনো তো কোনো নেক্সট প্ল্যান ঠিক হয়নি। আছে, কিছু প্ল্যানিং আছে। এটা একটু যাক, শেষ হোক। তারপর বোঝা যাবে, কী অবস্থা। অনেকেই বলছে, আমার প্রতিষ্ঠান থেকে ছবি করার জন্য। এর কারণ হলো, অনেকেরই মনে হয়েছে দেবীর ব্র্যান্ডিং দেখে আমারা ছবির প্রতি সিরিয়াস, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিরিয়াস, যেটা হয়তো অনেকেরই থাকে না। আমরা এভাবেই এগিয়ে যেতে চাই।

প্রিয় বিনোদন/গোরা