কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বয়সের সাথে স্মৃতিভ্রংশ, চিন্তাভাবনা এবং আচরণে পরিবর্তন আসে এ রোগের কারণে। ছবি: সংগৃহীত

চিনে রাখুন আলঝেইমার্সের প্রাথমিক এই লক্ষণটি

কে এন দেয়া
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০১৮, ২২:১১
আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৮, ২২:১১

(প্রিয়.কম) আলঝেইমার্স কাকে বলে? আলঝেইমার্স মূলত এক ধরণের ডিমেনশিয়া। বয়সের সাথে স্মৃতিভ্রংশ, চিন্তাভাবনা এবং আচরণে পরিবর্তন আসে এ রোগের কারণে। খুব ক্ষুদ্র কিছু লক্ষণ থেকে শুরু করে সময়ের সাথে তা মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে থাকে। এক সময়ে রোগীর দৈনন্দিন জীবনেও তা ব্যাঘাত ঘটাতে থাকে।  আলঝেইমার্সের এমন একটি সূক্ষ্ম লক্ষণ আছে যা অন্যান্য সব লক্ষণের আগেই দেখা দেয়। এ সমস্যাটি আপনার বা আপনার প্রিয়জনের দেখা দিলে সতর্ক হওয়া উচিত।

কী সেই লক্ষণ? তা হলো রাস্তা খুঁজে না পাওয়া। আপনি বা আমি শহরে চলাচল করি কী ভাবে চিন্তা করুন তো? আমরা যখন ভাবি ক জায়গা থেকে খ জায়গায় যেতে হবে, তখন ওই এলাকার একটা মানচিত্র তৈরি করি মাথার ভেতরে, এরপর ভাবি কীভাবে যাওয়া যায়। খুব কম বয়স থেকেই এধরণের একটা মানচিত্র তৈরির ক্ষমতা তৈরি হয় মানুষের মাথার ভেতরে। এই ক্ষমতা যদি চলে যায়, এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় কীভাবে যাবেন তা মনে করতে না পারেন, বা আপনার এলাকার আশেপাশে কী কী এলাকা আছে তা মনে করতে না পারেন তাহলে তা আলঝেইমার্সের প্রাথমিক একটি লক্ষণ হতে পারে।

আলঝেইমার্সের এই লক্ষণের বিষয়ে জানা যায় যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরিতে অবস্থিত ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায়। গবেষণায় তিন ধরণের মানুষ ছিল, সুস্থ মানুষ, যাদের ইতোমধ্যেই আলঝেইমার্স আছে, আর যাদের আলঝেইমার্স হতে যাচ্ছে কিন্তু উপসর্গ এখনো দেখা যায়নি।

গবেষণার জন্য একটি ভার্চুয়াল গোলকধাঁধা তৈরি করা হয় কম্পিউটারে। এরপর অংশগ্রহণকারীদের এই গোলকধাঁধার মধ্য দিয়ে যেতে বলা হয়। দেখা যায়, যাদের ইতোমধ্যেই আলঝেইমার্স আছে তারা সুস্থ মানুষদের তুলনায় খারাপ ফল করেন, অর্থাৎ তারা সহজে পথ খুঁজে পান না। তবে যাদের আলঝেইমার্স আছে অথচ উপসর্গ দেখা যায়নি, তারাও বেশ খারাপ ফল করেন। তার অর্থ হতে পারে ম্যাপ পড়তে না পারা বা মাথার ভেতরে মানচিত্র তৈরি করে পথ চলতে না পারাটা আলঝেইমার্সের বেশ প্রাথমিক পর্যায়ের একটি উপসর্গ।

অনেকেই এ কথা শুনে ভয় পেতে পারেন। ভয় পাওয়ার কিছু নেই, এ বিষয়ে নিশ্চিত হবার আগে আরও বিশদ গবেষণা জরুরী।  আপনার সন্দেহ হলে ডাক্তারের সাথে কথা বলতে পারেন।  এই ক্ষেত্রে চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতি হচ্ছে দ্রুত, আলঝেইমার্সের রোগীরা দ্রুতই আশার মুখ দেখতে পারেন।

সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট

প্রিয় লাইফ/ আর বি