কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

প্রবাস-ফেরত কয়েকজন শ্রমিক। ফাইল ছবি

প্রবাস-ফেরত শ্রমিকরা ‘বেওয়ারিশ’

মোস্তফা ইমরুল কায়েস
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:৪২
আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:৪২

(প্রিয়.কম) নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় বিদেশে কাজের খোঁজে যান অনেকে। কাজ করে খেয়ে-না-খেয়ে টাকা জমিয়ে পাঠান পরিবারের সদস্যদের কাছে। আর প্রবাসীদের পাঠানো কষ্টের টাকায় (রেমিট্যান্স) দেশের অর্থনীতির ভাগ্যও অনেকটা বদলে যায়। দেশের অর্থনীতির চাকা সচলে যারা ভূমিকা রাখছেন, তাদের বিপদে পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের কোনো উদ্যোগও নেই। এ নিয়ে নেই মাথাব্যথাও।

বিভিন্ন কারণে প্রবাসী শ্রমিকরা দেশে ফেরার পর চোখে-মুখে অন্ধকার দেখেন। কয়েক লাখ টাকা ঋণ করে, জায়গা-জমি বিক্রি করে বিদেশ যান তারা। শূন্য হাতে দেশে ফেরার পর কী করবেন, কীভাবে ঋণের টাকা শোধ করবেন, পরিবারের সদস্যদের খরচ যোগাবেন, তা নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন। গ্রামেও ফিরতে পারেন না, আবার ঢাকায়ও কোনো কাজ পান না। সম্প্রতি নির্যাতনের শিকার হয়ে ফেরা নারীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি হয়েছে আরও ভয়াবহ। অনেককে তাদের পরিবার ফিরতে মানা করেছেন, এমনকি বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনাও ঘটেছে। সব মিলিয়ে তাদের ‘বেওয়ারিশ’ জীবনযাপন করতে হচ্ছে।

মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবাসীদের আয়ের অবদান রয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের দিকে গার্মেন্টস খাতের পরেই রেমিট্যান্সের অবস্থান। কিন্তু গার্মেন্টস খাতে যে পরিমাণ সুযোগ-সুযোগ দেওয়া হয়, সেই তুলনায় প্রবাস-ফেরত শ্রমিকদের জন্য কিছুই করা হয় না। বিশ্লেষক ও অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিষয়টি নিয়ে সরকারের দ্রুত ভাবা উচিত। বিদেশ-ফেরত শ্রমিকদের জন্য ঋণ দেওয়া, কাজের ব্যবস্থা করাসহ উদ্যোগ নেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব বলেও মন্তব্য করেছেন তারা।

বিদেশে যাওয়ার পর শ্রমিকদের নানা প্রতিকূলতা মোকাবেলা করেই কাজ করতে হয়। শত কষ্টের মাঝেও মাস শেষে পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফোটাতে তারা টাকা পাঠান। এতে দেশের অর্থনীতির মুখেও হাসি ফোটে। কিন্তু বিদেশে তাদের খোঁজ কেউ রাখে না। এমনকি বিপদে পড়লেও তারা সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশের দূতাবাসের কোনো সহযোগিতা পান না বলে অভিযোগ রয়েছে। অনেক সময় শূন্য হাতে তাদের ফিরতে হয়, কখনো কখনো দিনের পর দিন জেলে থাকতে হয়। দুর্ঘটনার শিকার হলেও তাদের মরদেহটি কোনোরকম স্বজনদের হাতে পৌঁছে দিয়েই কাজ শেষ করে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। প্রবাসে মারা যাওয়া শ্রমিকের পরিবারের কোনো খোঁজখবরও নেয় না কেউ।

শুধু প্রবাসে মারা যাওয়া শ্রমিকরাই নন, সরকারি চুক্তির মাধ্যমে সৌদিতে গৃহকর্মী হিসেবে গিয়ে যারা সৌদি নাগরিকদের মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদের খোঁজ কেউ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন দেশে ফিরে আসা শ্রমিকরা। আবার দেশে ফেরার পরও তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

বেসরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মে মাস থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফিরেছেন এক হাজার ২৫ জন নারী কর্মী। এর মধ্যে মে মাসে ২৬০ জন, জুনে ১৮০ জন, জুলাইয়ে ১৫৩ জন, আগস্টে ১৩২ জন, সেপ্টেম্বরে ১৫৬ জন এবং চলতি মাসের ৩ অক্টোবর ফিরেছেন ১৪৪ জন নারী। সৌদি বা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলােতে গিয়ে কাজ করতে গিয়ে শুধু নির্যাতনই নয়, রয়েছে ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযােগও।

পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরে গৃহকর্মী হিসেবে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন পাঁচজন নারী, এদের মধ্যে গর্ভপাত করেছেন তিনজন। এ ছাড়া মানসিক, শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে দেশে ফিরেছেন ১৬ জন।

সৌদি, লিবিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলােতে নানা কারণে বাংলাদেশি শ্রমিকদের দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। সৌদি পুলিশ ঢালাওভাবে বাংলাদেশিদের অাটক করছে এবং পুরুষ শ্রমিকদের জোর করে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফেরার সময় তাদের কোনো জিনিসপত্র, এমনকি জমানো টাকা পর্যন্ত দেশে অানতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে তাদের শূন্য হাতেই দেশে ফিরতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফেরত আসা শ্রমিকরা। 

বেসরকারি হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শেষের দিক থেকে এখন পর্যন্ত লিবিয়া ও সৌদি থেকে ফিরেছেন ৭৮৪ জন পুরুষ শ্রমিক। এর মধ্যে গত ২৬ অক্টোবর ৮০ জন, ৩ অক্টোবর ১৪৪ জন, ৫ অক্টোবর ৩২০ জন, ৭ অক্টোবর ১১০ জন ও ১০ অক্টোবর ১৩০ জন দেশে ফেরেন। এর বাইরেও অনেকে এসেছেন। তাদের সবাইকেই আটক করে জেলে ভরা হয়েছে, পরে দেশে পাঠানো হয়েছে।

৭ অক্টোবর দেশে ফেরত আসা হাফিজ বলেন, ‘জান নিয়া দেশে ফিরছি এটাই বড় কথা। অনেককে পুলিশ অাটকের পর মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। যদি অাবার কোনো মামলায় সাজা হয় যায়, এ কারণে পরিবারের কথা ভেবে অাগেই চলে অাসলাম।’

নিঃস্ব হয়ে ফেরত আসা বগুড়ার বায়েজীদ বলেন, ‘ঋণ লিয়া আর দোকান বিয়াকা (বেচে) বিদেশ গেছিলাম। কিন্তু সব শ্যাষ হয়া গেল। দ্যাশে ফিরি কী করব কবার পাচ্চি না। দুডা ছাওয়াক (ছেলে) কী করি খাওয়ামো মাথা কাজ করিচ্ছে না।’

মেহেরপুর সদর উপজেলার সৌদি-ফেরত দেলোয়ার হোসেন জানান, তিনি ২০০০ সালে সৌদিতে যান। তার কাজের অনুমতিপত্র (আকামা) ও অন্যান্য কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও আটক করে সৌদি পুলিশ। সেখানে সফর জেলে ১৪ দিন জেল খাটার পর তাকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তাকে আসার সময় কোনো টাকা-পয়সা নিতে দেয়নি পুলিশ। কথাগুলো যখন দেশে ফিরে বিমানবন্দরে বলছিলেন, হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন দেলোয়ার।

নিঃস্ব হয়ে দেশে ফেরা শ্রমিকরা এখন চোখে সরষে ফুল দেখছেন। লাখ লাখ টাকা ঋণ করে বিদেশ গেছেন, এখন শূন্য হাতে ফিরে বিপদে পড়েছেন। কীভাবে চলবেন, পরিবারের সদস্যদের খাওয়া-পরাসহ ঋণের বোঝাও রয়েছে। আর যেসব নারী নির্যাতিত হয়ে দেশে ফিরেছেন, তাদের অনেকের স্বামী স্বাভাবিকভাবে নিচ্ছেন না। অনেকে আর সংসারও করতে চাচ্ছেন না। এমনকি দেশে ফেরার পর বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনাও ঘটেছে। এসব কারণে তারা এখন গ্রামে ফিরতে পারছেন না। অথচ তারা বিদেশ থাকা অবস্থায় মাস শেষে টাকা পাঠাতেন, দেশের অর্থনীতির চাকা সচল হতো, কিন্তু দেশের সরকার তাদের খোঁজ নিচ্ছে না। তাদের নিয়ে কোনো উদ্যোগও নেই।

এসব বিষয় নিয়ে অভিবাসনে কাজ করা ব্র্যাকের মাইগ্রেশন বিভাগের হেড অব প্রোগ্রাম শরিফুল হাসান প্রিয়.কমকে বলেন, ‘এই মানুষগুলাে যখন রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে, দেশ গড়ছে, তখন তাদের ভূমিকা থাকে এবং সেই সময়ে আমরা অনেক খুশি। কিন্তু এই মানুষগুলো যখন বিপদে পড়ছে, তখন তাদের পাশে থাকা আমাদের দায়িত্ব। আর এ দায়িত্বটা শুধু সরকার বা বেসরকারি সংস্থার একার নয়, সবার। আমাদের সবাইকেই এই দায়িত্বটা নিতে হবে।’

‘এই মানুষগুলো শূন্য হাতে ফিরছে বলেই তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। যারা যখন বিপদে পড়ে দেশে ফেরেন, তখন তাদের পাশে থাকার জন্য, জরুরি সহায়তা থেকে আরম্ভ করে তাদের ঋণ পর্যন্ত দেওয়া উচিত। আমাদের সবার সাহায্য করা উচিত। সবাই এক হয়েই এসব মানুষের পাশে আমরা দাঁড়িতে পারি।’

ফেরত আসা মানুষগুলোর পাশে সরকারের দাঁড়ানো উচিত জানিয়ে শরিফুল হাসান বলেন, ‘তাদের পাশে সরকারের দাঁড়ানো উচিত। প্রধানমন্ত্রীকে এই বিষয়গুলো নিয়ে দেশগুলোর সাথে কথা বলতে হবে। পাশাপাশি দূতাবাস থেকে সুর্নিদিষ্ট করে তাদের কাছে প্রশ্ন করে জবাব উচিত যে, কেন আমাদের এই লোকগুলোকে আপনারা ফেরত পাঠাচ্ছেন? সেটা জেনেই আমাদের পরবর্তী প্রতিক্রিয়া করা উচিত। আমাদের সমাজের কেউ যখন বিদেশ যাচ্ছেন, তখন আমরা আনন্দিত হচ্ছি। কিন্তু যখন তারা ফেরত আসছেন, তখন তাদের ভুলে যাই। তাদের পাশে দাঁড়াই না। এটা একধরনের অমানবিকতা ও অকৃতজ্ঞতার পরিচয়।’

অভিবাসন নিয়ে কাজ করা শ্রমিক নেতা ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগরের সভাপতি আবুল হোসাইন বলেন, ‘যারা ফেরত আসছে তারা নিঃস্ব হয়ে ফিরছে। আর তাদের জন্য সরকারের পক্ষ কোনো ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়াটা খুব দুঃখজনক। সরকারের টাকা আছে, ব্যাংক আছে, প্রবাসীদের জন্য তহবিল আছে। টাকা কোনো সমস্যা নয়। এদের প্রতি মানবিক আচরণ করা ও দায়িত্ববোধ দেখানোই বড় কথা।’

‘রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যে দায়িত্ব নেওয়া দরকার, সেটা না করাই হচ্ছে বড় সমস্যা। তা ছাড়া প্রবাসীদের জন্য তো একটা ব্যাংক আছে। যারা বিভিন্ন সময় গিয়ে বিপদে পড়ে দেশে ফেরত আসছে, তারা তাে এ দেশের নাগরিক। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে সমস্ত মানুষের দেখভাল করা। একজন মানুষ বিপদে পড়লে তাকে উদ্ধার করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে থাকে।’

প্রবাসে গিয়ে শ্রমিকরা নির্যাতনের শিকারের পর ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার তিনটি কারণ উল্লেখ করে আবুল হোসাইন বলেন, ‘সে দেশগুলোতে (সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যের) মানবাধিকার নেই। সেখানে রাজতন্ত্র, গণতন্ত্র নেই বললেই বলে। কোনো দেশে থাকলেও পুরোপুরি নেই। দেশগুলােতে ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকারও নেই। ফলে দেশগুলোর স্থানীয় শ্রমিক সংগঠনগুলো যে সমর্থন দেবে, তাও পাওয়া যায় না। কোরিয়া বা মালয়েশিয়ায় আমাদের শ্রমিকরাও তাদের ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য হতে পারে। তাদের সদস্য হলে শ্রমিকের নিরাপত্তাটা তারাই দেখে থাকে।’

‘আমাদের দিক থেকে যে ল্যাক (অভাব) আছে, তা হলো—আমাদের দূতাবাসগুলোর দায়িত্বে থাকা কনসুলারদের দেখভালের ঘাটতি আছে। এ বিষয়ে আমরা বারবার চাপ প্রয়োগ করছি। বিষয়গুলাে জোরদার করা হোক। আর সরকারও তো রাতারাতি সব করতে পারে না। কোনো কোনো দেশে সরকার শুরুও করেছে।’

সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে যাওয়া শ্রমিকদের ফেরত আসা বন্ধে অভিবাসন বিশেষজ্ঞ ও অভিবাসন কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রামের (ওকাপ) চেয়ারম্যান শাকিরুল ইসলাম প্রিয়.কমকে বলেন, ‘সরকারকে অবশ্যই ফ্রি ভিসাটা বন্ধ করতে হবে। এতে যদি অভিবাসনের সংখ্যা কমে যায় তারপরেও তা করতে হবে। গতবার পাঁচ লাখের বেশিও সৌদি গেছেন। তাদের বেশির ভাগই ফ্রি ভিসায়। এখন সৌদি সরকার যদি তাদের একই সাথে ফেরত পাঠায়, তবে তা সরকারের জন্য বোঝা হয়ে যাবে।’

শাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘শ্রমিক ফেরত পাঠানো কীভাবে বন্ধ করা যায় সে জন্য সৌদির সাথে বসে দ্রুত বাংলাদেশ সরকারকে আলোচনায় বসতে হবে। শুধু তা-ই নয়, ভবিষ্যতে শ্রমিকদের হয়রানি এবং ফেরত আসা বন্ধে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাও সরকারকে গ্রহণ করতে হবে।’

মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন প্রিয়.কমকে বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছিল তাদের দেখভালের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। তাদের অন‌্য দেশে পাঠানো এবং তারা যাতে ভালোভাবে চলতে পারেন তার দায়িত্বটা রাষ্ট্রের। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, রাষ্ট্র এ ধরনের দৃশ্যমান কোনো উদ্যােগ গ্রহণ করছে না এবং উদ্যোগের ঢালাও প্রচার হলেও তার বাস্তবায়ন আমরা দেখছি না।’

নূর খান বলেন, ‘আমাদের শ্রমিকরা বিদেশ যাওয়ার পর যখন তাদের কাগজপত্র থাকার পরও বের করে দেওয়া হচ্ছে, এ ক্ষেত্রে কিন্তু আমাদের দূতাবাসগুলোর দায়-দায়িত্ব আছে। তারাও কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দায়-দায়িত্বগুলো যথাযথভাবে পালন করছে না বলে অভিযােগও আমরা শ্রমিকদের কাছ থেকে পাচ্ছি। বিশেষ করে নারী শ্রমিক যারা নির্যাতনের শিকার হয়ে ফিরছে, তাদের ব্যাপারে রাষ্ট্রের যেসব পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, তা রাষ্ট্র করছে না। ওইসব দেশগুলোর সাথে দ্বিপাক্ষিকভাবে আলোচনার জন্য যে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা, তাও আমরা লক্ষ করছি না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রিয়.কমকে বলেন, ‘চলতি মাসেই প্রধানমন্ত্রী সৌদিতে যাবেন এবং তাদের (সৌদি সরকার) সাথে কথা বলবেন।’

ফেরত আসা শ্রমিকদের নিয়ে সরকার এখন পর্যন্ত তেমন কোনো পদক্ষেপ নেননি বলে জানান ওই সচিব।

প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রৌনক জাহানকে একাধিক ফোন করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

প্রিয় সংবাদ/রিমন/আজাদ চৌধুরী