কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ছবি: সংগৃহীত

রাজহাঁস: কবিতাকুঞ্জের আজীবন সদস্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিয়.কম
প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:২১
আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:২১

(প্রিয়.কম) কবি নির্মলেন্দু গুণ ২০০৯ সালে জেমকন সাহিত্য পুরস্কার পান। এর অর্থ মূল্য ছিল দুই লাখ টাকা। এই অর্থ দিয়েই সে সময় একটি পাঠাগার স্থাপন করেন। নাম দিয়েছেন কবিতাকুঞ্জ। এবার সে পাঠাগারে কিছু রাজহাঁসকে আজীবন সদস্য করে নিয়েছেন।

১০ অক্টোবর দুপুরের পর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

ওই স্ট্যাটাসে নির্মলেন্দু গুণ লিখেন,‘ছবির মধ্যে এই যে রাজহাঁসগুলোকে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, আমরা তাঁদের কবিতাকুঞ্জের আজীবন-সদস্য করে নিয়েছি। মানুষের কাছ থেকে টাকা নিলেও, তাদের কাছ থেকে আমরা একটি টাকাও নেইনি।

যদিও আমরা জানি, তাদের টাকার কোনো অভাব নেই। তারা ডিম পারলেই টাকা। আমাদের সিদ্ধান্তের কথা জেনে তাঁরা খুব খুশি হয়েছেন বলে বিশ্বস্তসূত্রে আমরা জানতে পেরেছি। মগরা নদীর নীলজলে সন্তরণ করেই তারা বেশি সময় কাটায়।

সন্ধ্যার দিকে ওঁরা কুঞ্জঘাটের সিঁড়ি বেয়ে জল ছেড়ে স্থলে উঠে আসে এবং কবিতাকুঞ্জের সামনের খোলা মাঠের এক কোণে গোল হয়ে বসে কবিতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করে বলে আমরা বিশ্বস্তসূত্রে জানতে পেরেছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন রাজহাঁস ককুঞ্জের গ্রন্থাগারিককে জানিয়েছেন, মগরা নদীর তীরে অবহেলিত মালনীতে কবিতাকুঞ্জ ও কুঞ্জঘাট তৈরি হওয়ায় তারা খুবই খুশি হয়েছেন।

মগরা নদী, ককুঞ্জ এবং কুঞ্জঘাটের দেখভাল করার জন্য তারা সানন্দে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন বলে আমাদের কথা দিয়েছেন।

তারা এও জানিয়েছেন যে, তারা কবিতাকুঞ্জের পাঠভবনের ভিতরে প্রবেশ করে কবিতার পাঠক এবং গবেষকদের কাজে কখনও বিঘ্ন সৃষ্টি করবেন না। আমরা রাজহাঁসদের ঐরূপ সময়োচিত সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছি।’

১৯৭০ সালে নির্মলেন্দু গুণ রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘প্রেমাংশুর রক্ত চাই’ প্রকাশিত হয়। এরপরই জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। এ-গ্রন্থের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে লেখা হুলিয়া কবিতাটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

১৯৮২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ২০০১ সালে একুশে পদক এবং ২০১৬ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার অর্জন করেন নির্মলেন্দু গুণ।

প্রিয় সাহিত্য/গোরা