রবিবার সৌদি থেকে দেশে ফিরে আসা শ্রমিকরা। ছবি: প্রিয়.কম
সৌদি থেকে দেশে ফিরলেন আরও ১১০ শ্রমিক
আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:৫৬
(প্রিয়.কম) গত দুই সপ্তাহ থেকে সৌদি থেকে দফায় দফায় দেশে ফিরছেন পুরুষ শ্রমিকরা। পঞ্চম দফায় এবার ফিরলেন ১১০ জন পুরুষ, যারা দেশটিতে বিভিন্ন সময় গিয়েছিলেন।
৭ অক্টোবর, রবিবার দুপুর ২টায় শাহজালাল বিমানবন্দরে সৌদির একটি ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান ওই শ্রমিকরা।
এই ফ্লাইটে সৌদি থেকে ফিরে আসা একজন শ্রমিক মাগুরা জেলা সদরের দেলোয়ার হোসেন।
দেলোয়ার জানান, সৌদিতে কাজ করতে গিয়ে সেখানকার পুলিশের হাতে আটক হন। এরপর ১৮ দিন জেলে থাকার পর তিনি দেশে ফিরলেন। তার সাথে দেড় শতাধিক শ্রমিক দেশে ফিরেছেন।
মাগুড়া সদরের দেলোয়ার অভিযোগ করেন, ‘তারা কোনো কথা শুনছে না। আকামা থাকুক আর না থাকুক ধরতেছে। পরে জেলে নিয়া দেশে পাঠাইতাছে।’
ফেরত আসা শ্রমিকদের ভাষ্য, তাদের কাজের পারমিট (আকামা) ও দেশটির সরকারকে দেওয়া ট্যাক্সের কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও পুলিশ তাদের বিনা কারণে আটক করছে। অনেকের আকামার মেয়াদ থাকলে তার বিষয়ে কোনো কথা শোনেনি সৌদি পুলিশ। ঢালাওভাবে ধরে ধরে তাদের জেলে নেওয়া হয়েছে। সেখানে রাখার পর তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।
ফেরত আসা ব্যক্তিদের অভিযোগ, সৌদিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে তারা আটকের বিষয়ে জানালেও কর্মকর্তারা নীরব ছিলেন। কর্মকর্তারা কোনো প্রতিবাদ করেননি, এমনকি তাদের ছাড়িয়ে নেওয়ারও কোনো ব্যবস্থা করেননি। তবে কারো কারো জন্য দেশটির কফিলরা টাকার বিনিময়ে সুপারিশ করেছিলেন। তাদের কয়েকজন ছাড়াও পান।
ফেরত আসা শ্রমিকরা আরও জানান, দেশটিতে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ধরপাকড় চলছে। সেই সময় থেকে বিভিন্ন জনকে আটকের পর জেলে নেওয়া হচ্ছে। এখনো অনেকেই জেলে আছেন, তাদেরকেও দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
গত দুই সপ্তাহে পাঁচ দফায় মোট ৬৫৪ জন শ্রমিক দেশে ফিরে এলেও বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের হিসাবে এ সংখ্যা মাত্র ১১০ জন।
গত ২৬ অক্টোবর ৮০ জন, ৩ অক্টোবর ১৪৪ জন, ৫ অক্টোবর দুটি ফ্লাইটে ১৫০ ও ১৭০ জন এবং সর্বশেষ ৭ অক্টোবর দেশে ফিরছেন ১১০ জন পুরুষ শ্রমিক।
এ বিষয়টি বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ডেস্কের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান আনসারির সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
প্রিয় সংবাদ/আজাদ/শান্ত