কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

প্রতীকী ছবি

সালাম দিয়ে সর্বনাশ!

জনি রায়হান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২২:০৬
আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২২:০৬

(প্রিয়.কম) রাস্তা দিয়ে একা হেঁটে যাচ্ছেন। চারপাশে মানুষও কম নয়। এমন সময় কেউ একজন আপনাকে সালাম দিল। আপনি হয়তো থেমে, তাকে চেনার চেষ্টা করলেন। সেই ব্যক্তিও কাছে এসে আপনার সঙ্গে হাত মেলানোর মতো করে হাতটা ধরে জিজ্ঞেস করল, ‘কেমন আছেন, আমাকে চিনতে পারছেন না?’ এরই মধ্যে আরও কয়েকজন আপনার পাশে এসে গেছে। এরপর অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আপনার সঙ্গে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে চম্পট দেবে!

সম্প্রতি অভিনব এমন ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েই চলছে। এই ধরনের ছিনতাইকারীদের বলা হচ্ছে ‘সালাম পার্টি’। ধর্মীয় আদবের বিষয়টিকে তারা ছিনতাইয়ের নতুন কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছে। কিছুদিন আগেও রাজধানীতে এই চক্রের বেশ কয়েকজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। 

১৭ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার এই ‘সালাম পার্টি’র কবল থেকে রক্ষা পেয়েছেন নাট্যকর্মী এহসানুর রহমান।

ঘটনাটির বর্ণনা দিয়ে এহসানুর রহমান প্রিয়.কমকে বলেন, ‘ওই দিন অভিনেতা শফিউল আলম বাবুকে পঙ্গু হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার কথা ছিল আমার। এরপর ডিরেক্টরস গিল্ডের আসন্ন নির্বাচনী প্রচারণা আড্ডায় রাতে মগবাজার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে আমার ছোট মেয়ের জন্য কিছু কেনাকাটা করতে মগবাজার মোড়ে যাই।’

‘যাওয়ার সময় দেখলাম একটি পুলিশ ভ্যান পুলিশসহ সেখানে দাঁড়িয়ে আছে। জনগণের নিরাপত্তা বা রাস্তার শৃঙ্খলা রক্ষার জন্যই তারা দায়িত্বরত অবস্থায় আছেন। যেহেতু হাতে সময় কম ছিল, তাই কেনাকাটা শেষে বাড়ি ফেরার জন্য স্বল্প দূরত্ব হলেও রাত ৯টার দিকে একটি রিকশায় উঠে পড়ি। রিকশাটি মাত্র ৫০ গজের মতো দূরত্ব অতিক্রম করতেই পাশের রিকশা থেকে একজন জোরে সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করলো-ভাই ভালো আছেন? আমি প্রত্যুত্তর দিতে দিতেই তার রিকশাটা এগিয়ে গিয়ে আমার রিকশাটিকে আড়াআড়িভাবে আটকে দাঁড়িয়ে গেলো। দ্রুতই লোকটি রিকশা থেকে নেমে এগিয়ে এসে হাত মিলানোর ভঙ্গিতে আমার হাত চেপে ধরে বলতে শুরু করলো-আমাকে চিনছেন? আমি শুভ্র ভাইয়ের ছোট ভাই জাহিদ?’

‘আশপাশে অনেক লোক খুবই স্বাভাবিকভাবে যার যার কাজে হেঁটে যাচ্ছে। আমি চেনার চেষ্টা করতে করতে হঠাৎ ডান দিকে তাকিয়ে দেখি আরও দুজন লোক এসে দাঁড়িয়ে গেছে এবং উক্ত জাহিদ এতো শক্তভাবে আমার হাত চেপে ধরেছে যে মুহূর্তেই আমি বুঝে গেলাম-আমি তাকে কোনোভাবেই চিনি না এবং তার এই শুভেচ্ছা বিনিময় কোনোভাবেই শুভ কামনার নয়।’

‘যেহেতু আমার নিজ এলাকা তাই বিন্দুমাত্র না ভেবেই রিকশা থেকে লাফ দিয়ে সামনের দিকে নামলাম এবং উক্ত জাহিদের হাত আমিই শক্ত করে ধরার চেষ্টা করতেই এক ঝটকায় ছাড়িয়ে নিয়ে ভো-দৌঁড়। সাথে ওই দুজন লোক এবং তার (জাহিদ) ব্যবহৃত রিকশাটিও একই পথ অনুসরণ করল। ইতোমধ্যেই আশপাশের লোকজন অস্বাভাবিক দৌঁড়াদৌড়ি দেখে এগিয়ে এলো। যেহেতু আমার কোনো দুর্ঘটনা ঘটে নাই তাই আমি স্বাভাবিকভাবেই বাড়ি ফিরে এসে জিনিসপত্র রেখে আমার কাজে বেড়িয়ে পড়েছিলাম।’

‘সালাম পার্টির’ ছিনতাইয়ের হাত থেকে বেঁচে গেছেন নাট্যকর্মী এহসানুর রহমানের ফেসবুক পোস্ট। ছবি: সংগৃহীত

এই ঘটনাটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পোস্টও দিয়েছেন এহসানুর। আর সেই পোস্টে অনেকেই ঘটনাটির জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

ঠিক একইভাবে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি, (বুধবার) দুপুরে রাজধানীর বাড্ডা থানা এলাকায় বেসরকারি টেলিভিশনের নিজস্ব প্রতিবেদক আমিনুল ইসলাম মিঠুও ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছিলেন।

মেরুল বাড্ডার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে গুলশানে যাওয়ার সময় পথের মধ্যে রিকশা থামিয়ে পিস্তল ঠেকিয়ে তার সঙ্গে থাকা যাবতীয় জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

ঘটনার পরে বাড্ডা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন তিনি। অবশ্য ঘটনার কয়েকদিন পরেই পুলিশের তৎপরতায় আমিনুল ইসলামের ছিনতাই হওয়া ফোনটি উদ্ধার করা হয়।  

সেই দিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মিঠু বলেন, ‘বিশেষ কাজে রিকশায় করে গুলশানের দিকে যাওয়ার সময় বাড্ডা থানার উল্টো পাশেই হঠাৎ চালক রিকশা থামায়। থামানোর কারণ জিজ্ঞেস করাতে চালক বলল আপনাকে ডাকে। এরপরই এক যুবক এসে সালাম দিয়ে বলে, কেমন আছি? এরপর আমার কাছে আমার একটি ভিজিটিং কার্ড চাইল। কার্ড নেই বলায় সে হাত বাড়িয়ে দিল হ্যান্ডসেকের জন্য। ভদ্রতার খাতিরে আমিও হাত বাড়িয়ে দিলাম। তখন তিনি হুট করে কাছে এসে পিস্তল ঠেকিয়ে বললেন- চুপ থাকেন, নইলে গুলি করব। পেছনে দেখুন আর দুজন আছে।’

মিঠু পেছনে ফিরে দেখেন দুইজন লোক দাঁড়িয়ে রয়েছে। হুমকির মুখে থাকার ফলে, তার সঙ্গে থাকা স্বল্প পরিমাণ টাকা, মুঠোফোন, হেডফোন দিয়ে দিতে বাধ্য হন। হাতে থাকা ব্যাগে টাকা না থাকায় ব্যাগ ফিরিয়ে দিয়ে রিকশাচালকেকে সামনে এগিয়ে যেতে বলে ছিনতাইকারী। এরপর রিকশাচালকও কৌশলে দ্রুতগতিতে রিকশা নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান। অর্থাৎ ঘটনাটির সাথে রিকশাচালকও যুক্ত ছিল।  

এই বিষয়ে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী জানিয়েছিলেন, ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। একইসঙ্গে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অপরাধীকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। এর কয়েকদিন পরেই সেই ছিনতাই হওয়া ফোনটি উদ্ধার করে আমিনুল ইসলাম মিঠুর হাতে তুলে দেওয়া হয়।

সালাম পার্টির কয়েকজন সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

বাসায় গিয়ে সালাম দিয়ে লুট করে ‘সালাম পার্টি’     

‘সালাম পার্টি’র খপ্পরে শুধুমাত্র পথচারীরাই ছিনতাইয়ের শিকার হননি। এই চক্রের কিছু নারী সদস্যও রয়েছে, যারা কাজের নামে বিভিন্ন বাসায় গিয়ে দরজা নক করে। আর কেউ দরজা খোলার পর ভদ্রবেশে তাকে ‘সালাম’ দিয়ে বাসার ভেতরে ঢুকে যায়। এরপর কৌশলে মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।

১৯ ফেব্রুয়রি শাহজাহানপুর থানার পুলিশ ওই চক্রের আট সদস্যকে গ্রেফতার করেছিল।

তারা হলেন সেলিম মাহমুদ, আল নোমান, জেসমিন আক্তার, নুরজাহান, হাবিব ওরফে হাবু, ওসমান, সেইল্যা ও বাপ্পি। ওই সময় তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া টাকা, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোনসেট, ঘড়িসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করে পুলিশ।

এ বিষয়ে শাহজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম মোল্লা জানিয়েছিলেন, মানুষের সঙ্গে সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে পথ রোধ করে অস্ত্রের মুখে মূল্যবান জিনিস ছিনিয়ে নিত এই ‘সালাম বাহিনী’। তাদের চক্রের আট সদস্যকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

দামি পোশাক ও স্যুট-টাই পরে ঘুরে বেড়ায় ‘সালাম পার্টি’

‘সালাম পার্টির’ সদস্যরা নিজেদের ভদ্রবেশী দেখাতে বেশির ভাগ সময় দামি পোশাক ও স্যুট পরে ঘুরে বেড়ায় বলে জানিয়েছে একাধিক ভিকটিম ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তাদের দেখলেই মনে হবে বড় অফিসে ভালো পদে চাকরি করেন। অথবা বড় কোনো ব্যবসা করেন। আপনরা দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য প্রথম যখন ‘সালাম’ দিয়ে আপনার পথ রোধ করবে, তাদের চেহারা দেখে কোনোভাবেই তাদের সন্দেহ করতে পারবেন না।      

গত ৩০ মার্চ রাজধানীর পল্টন মডেল থানা এলাকার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে থেকে ‘সালাম পার্টি’ চক্রের পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাদের গ্রেফতারের পর এমন অনেক তথ্য পেয়েছিল পুলিশ।

গ্রেফতাররা হলেন জিতু, মিজান, আকতার হোসেন, রিপন ও পিন্টু মিয়া। ওই সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা টাকাও উদ্ধার করা হয়েছিল।

এই বিষয়ে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হক জানান, গ্রেফতার করা ব্যক্তিরা সালাম দিয়ে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে। ওই সময় তারা এমন একটা ভাব দেখায় যেন পূর্ব পরিচিত কেউ। ‘সালাম’ দেওয়াকে তারা কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে।

গ্রেফতার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছিল, এই চক্রের সদস্যরা বেশির ভাগ সময় দামি শার্ট, প্যান্ট, স্যুট-টাই পরে ঘুরে বেড়ায়। আর এই পোশাকের মধ্যেই তারা বিশেষ কৌশলে চাকু, চাপাতি, অস্ত্র লুকিয়ে রাখে। আর এই কাজের জন্য তারা ঘণ্টার হিসেবে রিকশা ভাড়া নেয়। তাদের এই কাজের সঙ্গে কিছু রিকশাচালকও জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। 

ঢাকার বাইরেও সক্রিয় ‘সালাম পার্টি’

শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকাতেই নয় ঢাকার বাইরেও ‘সালামের’ কৌশলকে কাজে লাগিয়ে ছিনতাই ও সর্বস্ব লুট করছে এই চক্রের সদস্যরা।

গত ৩ এপ্রিল, চট্টগ্রামে ‘সালাম পার্টি’ চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছিল স্থানীয় থানা পুলিশ।

এই বিষয়ে সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন জানিয়েছিলেন, ২ এপ্রিল রাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা নগদ ৩৯ হাজার ৫০০ টাকা, মোবাইল ফোন এবং ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহার করা তিনটি রিকশা জব্দ করা হয়েছিল।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন মো. ইদ্রিস, বদি আলম, আবদুল হামিদ, বাইতুল মামুন ও জামাল হোসেন।

‘সালাম পার্টির’ বর্ণনা দিয়ে ওসি নেজাম উদ্দিন জানান, কোনো ব্যক্তিকে প্রথমে সালাম দিয়ে তার সবকিছু ছিনতাই করে এ চক্রের সদস্যরা। তাই তাদের সালাম পাটি বলা হয়। রিকশায় চড়ে তারা নগরী বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে এসব ছিনতাইয়ের কাজ করে। একটি ছিনতাই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এ চক্রের ব্যাপারে প্রথমে তথ্য পায় পুলিশ। এরপর এই চক্রের একজনকে গ্রেফতারের পরে অপর চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।

তৎপরতা নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর 

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ও অপরাধ বিশ্লেষক তৌহিদুল হক প্রিয়.কমকে বলেন, ‘ছিনতাই একটি কনভেশনাল ক্রাইম অর্থাৎ একটি সমাজ গঠন হওয়ার পর সেখানে কিছু সনাতনী অপরাধ তৈরি হয়ে যায়। ছিনতাইকে আমরা যেভাবেই বলি না কেন, এর পেছনের গল্পটা কিন্তু অনেক বেদনাদায়ক। কারণ মানুষ তার চাহিদা পূরণের জন্যই কিন্তু এই ধরনের অপরাধের দিকে জড়িয়ে যাচ্ছে। চাহিদা আবার দুই ধরনের। একটা হচ্ছে তার কাছে খাবার নাই, পোশাক নাই এই সব। তবে পরবর্তীতে এটা অন্যদিকে ধাবিত হয়েছে, যেমন-তার মাদক কেনার টাকা নাই, সে কারণে ছিনতাই করার দিকে ধাবিত হচ্ছে।’

‘তবে সময়ের ধারাবাহিকতায় ছিনতাইয়ের কৌশল কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। আগে প্রকাশ্যে জোর করে নিত। এখনো জোর করেই নেয় তবে সেটা কিছুটা কৌশলে। যার কাছে থেকে ছিনতাই করে তার আশপাশে ওই সময় এমন একটি পরিবেশ তৈরি করে যে তাকে ধান্দা লাগিয়ে দেয়। ছিনতাইয়ের ধরন হিসেবে এখন ‘‘সালাম পার্টি’’ সালামের কৌশল যুক্ত করেছে।’

‘ছিতাইয়ের চক্রের সঙ্গে এখন নারীরাও যুক্ত হচ্ছে। এর ফলে কিন্তু রাষ্ট্র এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটা দায়ভার রয়েছে। এই দায়ভার তারা এড়াতে পারেন না। কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে, সেটা ওই এলাকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানে না, এটা একেবারে অবিশ্বাস্য। কারণ অনেকবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ছিনতাইকারী চক্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ম্যানেজ করে চলে, এটা অনেক বার দেখা গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি জড়িত হয়, সে ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের কিছু করার থাকে না।’

পুলিশের ভাষ্য

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) এহসানুল ফেরদৌস প্রিয়.কমকে বলেন, ‘আমরা মাস ছয়েক আগে এমন একটি চক্রকে গ্রেফতার করেছিলাম। ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কেউ যদি এমন ঘটনার শিকার হয়ে থাকে, তবে আমাদের কাছে অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

প্রিয় সংবাদ/নোমান/কামরুল