কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। ছবি: সংগৃহীত

নগর স্বাস্থ্য সেবায় ১১ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি

আবু আজাদ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২০:১৭
আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২০:১৭

(বাসস) এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বাড়াতে ৯২১ কোটি টাকার সমমানের ১১ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেবে।

১৯ সেপ্টেম্বর, বুধবার এডিবির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংস্থাটির পরিচালনা পর্ষদ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) আওতায় ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে এডিবির সামাজিক খাত বিশেষজ্ঞ ব্রায়ান চিন বলেন, ‘২০১২ সালে অনুমোদিত সরকারের নেতৃত্বে পরিচালিত “আরবান প্রাইমারি হেলথকেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি” নামের এ প্রকল্পে এডিবির সহায়তা বিশেষ করে দরিদ্রখানাগুলোর মধ্যে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যের সুযোগ বাড়ানোর ফলে শুন্যস্থান পূরণ হচ্ছে।’

নতুন এই অর্থায়ন সেবা প্রদানের ব্যবস্থাকে জোরদার করবে বলে ব্রায়ান চিন আশা প্রকাশ করেন।

‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি’ শীর্ষক ২০১২ সালে নেওয়া এই প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় ইতোমধ্যে একনেকে অনুমোদন পেয়েছে।

এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১ হাজার ১৩৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ২৪০ কোটি টাকা এবং এডিবির ঋণ থেকে ৮৯৬ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শহরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান সম্ভব হবে। পাশাপাশি মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য সম্পর্কিত অপরিহার্য সেবা প্যাকেজের মাধ্যমে দরিদ্রদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যাবে। এর মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে আর্থিক ও ভৌত অভিগম্যতার উন্নয়ন ঘটবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

চলতি বছর থেকে ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ১১টি সিটি করপোরেশন ও ১৪টি পৌরসভার জনগণ বিশেষ করে দরিদ্র জনেগোষ্ঠী নারী ও শিশু অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উন্নত স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ পাবে।

স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯ এবং স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) ২০০৯ আইন অনুসারে নগরবাসীকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলোর দায়িত্ব।

গ্রামাঞ্চলে কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার পরিকল্পনা সেবার শক্তিশালী নেটওয়ার্ক রয়েছে। কিন্তু নগর এলাকায় অনুরুপ স্বাস্থ্যসেবা নেটওয়ার্ক ও কার্যক্রমের অপর্যাপ্ততা রয়েছে। এ অপ্রতুলতার নেতিবাচক প্রভাবে শহরবাসী বিশেষত দরিদ্র মানুষ অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এ প্রেক্ষাপটে অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া কাঠামো আরও উন্নত করে নগরবাসী বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য ১৯৯৮ সাল থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে এ প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

প্রিয় সংবাদ/কামরুল/শান্ত