এমন সুন্দর সম্পর্কও সময়ের গ্রাসে একদিন অতীত হয়ে যেতে পারে। ছবি : সংগৃহীত
বিবাহ বিচ্ছেদের পর যে কাজগুলো অবশ্যই করা উচিত
আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০১৮, ২৩:৩৭
(প্রিয়.কম) বিয়ে যদি মুদ্রার এক পিঠ হয়, তাহলে অপর পিঠেই আছে বিবাহ বিচ্ছেদ বা ডিভোর্স। কারণ যাই হোক না কেন, একবার তালাক হয়ে যাবার পর আর পেছনের দিকে তাকিয়ে লাভ নেই। সময় এখন সামনে তাকাবার। কিন্তু কতজনে পারেন সেটা? তালাকের পর অধিকাংশ মানুষ হারিয়ে যান বিষণ্ণতায়, লোকের কটু কথায় মুষড়ে পড়েন। কেউ কেউ চটজলদি সমাধান খুঁজতে গিয়ে তাড়াতাড়ি করে ফেলেন দ্বিতীয় বিয়ে, যা কিনা আরও অনেক বড় ভুল। কিন্তু আসলে কী করা উচিত?
থাকছে কিছু পরামর্শ।
১। লোকের কথায় কান দেওয়া বন্ধ করুন
লোকে আপনার জীবন চালায় না, লোকে আপনার জন্যে কিছুই করে না। আপনি যখন কষ্ট পাচ্ছিলেন, কেউ আপনাকে বাঁচাতে আসেনি, ভবিষ্যতেও আসবে না। তাহলে লোকের কোথায় কান দেওয়ার প্রয়োজন কী? তালাকের পর লোকের কথায় কান দিলে বোকার মতো কেবল নিজের কষ্ট বাড়াবেন, অন্যদিকে বাড়তে থাকবে ভুল সিদ্ধান্তের তালিকা।
২। অতীতে কোনো সুখ লুকিয়ে নেই
অতীত নিয়ে নিজের মনে নাড়াচাড়া বন্ধ করুন। যা গেছে তা গেছেই, শত মাথা কুটলেও আর কোনো দিন ফিরবে না। সেগুলো নিয়ে ভাবতে গেলে কেবল কষ্টের বোঝাই ভারী হবে। যতই মধুর স্মৃতি হোক, মনের এক গোপন কুঠুরিতে তালাবন্ধ করেদিন চিরকালের জন্য।
৩। নিজেকে ও তাকে ক্ষমা করুন
যা হওয়ার তা হয়ে গেছে, আপনারা আর একসাথে নেই। হয়তো এটাই নিয়তি ছিল। নিজেকে ক্ষমা করতে চেষ্টা করুন, ক্ষমা করে দিন তাকেও। কেবল তাতেই আপনার অতীতের সাথে শান্তি স্থাপিত হবে।
৪। স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল
শুনতে অদ্ভুত শোনালেও এমন সময়ে নিজের শরীরের খেয়াল রাখা জরুরি। বিষণ্ণতায় নিজেকে অবহেলা করবেন না। স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে গেলে আপনার বিষণ্ণতা ও ঝামেলা বাড়বে বই কমবে না। তাই নিজের দিকে খেয়াল করুন, নিজেকে যত্ন করুন, নিজের দিকে মনোযোগ দিন। মানসিকভাবেও অনেক ভালো অনুভব করবেন।
৫। নতুন সূচনা
একটি অধ্যায় শেষ মানেই অন্য একটি অধ্যায়ের শুরু। সেই শুরুটা করা চাই প্রথম থেকে। জীবন মানে কেবল প্রেম, বিয়ে , সংসার না। জীবনের মানে আরও অনেক বিশাল কিছু। তাই বিয়ের সম্পর্ক ফুরিয়ে গেছে মানেই আপনার জীবন শেষ না। জীবনকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা করুন। সেই পরিকল্পনাই আপনাকে বেঁচে থাকার শক্তি যোগাবে।
৬। অন্যের মাঝে আশ্রয় খুঁজবেন না
তালাক হয়ে গেছে মানেই আপনাকে আর্থিক, মানসিক বা সামাজিকভাবে অন্যের ওপরে নির্ভর করতে হবে–ব্যাপারটা মোটেই তেমন নয়। বিয়ে ভাঙা একটি সিদ্ধান্ত। সেই সিদ্ধান্তকে সম্মান রেখে স্বনির্ভর হয়ে উঠুন। মনে রাখবেন, বিপদের দিনে কেউ আপন না। তাই অন্যকে নিজের দুঃখের কাহিনী শোনাতে যাবেন না। নিজের বাচ্চাদের দায়িত্ব নিজে নিন, নিজের আবেগী দায়িত্বও নিজে নিন। নিজের আর্থিক ও সামাজিক ভবিষ্যৎ নিজেই গড়ে নিতে চেষ্টা করুন।
৭। দ্রুত বিয়েতে না
তালাক মানেই চটজলদি আরেকজন জীবনসঙ্গী খুঁজে নেওয়া? এই ভুল করতে যাবেন না মোটেও। কেননা জীবন আবার একই পথে ফিরে যাবে। দ্বিতীয় বিয়ে করা উচিত অনেক বেশি ভেবে-চিন্তে।
নিজেকে ভালবাসুন, জীবনকে ভালবাসুন। সুখ ফিরে আসবেই।
প্রিয় লাইফ/ আর বি
- ট্যাগ:
- লাইফ
- সম্পর্ক
- জীবন চর্চা
- ডিভোর্স
- সম্পর্ক