কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি। ছবি: প্রিয়.কম

‘সরকার আইনি প্রক্রিয়ার নামে খালেদা জিয়ার ওপর অত্যাচার করেছে’

মোক্তাদির হোসেন প্রান্তিক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৪ আগস্ট ২০১৮, ১৪:১০
আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০১৮, ১৪:১০

(প্রিয়.কম) আওয়ামী লীগ সরকার আইনি প্রক্রিয়ার নামে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ওপর জুলুম ও অত্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ

১৪ আগস্ট মঙ্গলবার বেলা পৌ‌নে ১২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, ‘কোরবানি ঈদের প্রাক্কালে বেগম জিয়ার মুক্তি মেলেনি। অন্যায় সাজায় তাকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ার নামে সরকারি প্রক্রিয়ায় তার ওপর জুলুম ও অত্যাচার নামিয়ে আনছে আওয়ামী লীগ। অবৈধ সরকার নিজেদের নিরাপদ রাখতেই এ জুলুম ও অত্যাচার করছে।’

আওয়ামী লীগ সরকার বহুদলীয় গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে বিপদ মনে করে বলেও উল্লেখ করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রে স্বীকৃত মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে বয়ে যাওয়া আন্দোলনের আপোষহীন নেত্রীকে নিয়ে তাদের যত ভয় ও আতঙ্ক।আতঙ্ক মুক্ত হতেই তারা বেগম জিয়াকে মুক্ত রাখেনি। তাকে সুচিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ পর্যন্ত নিতে দেওয়া হয়নি। খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রেখে এ দেশে একতরফা নির্বাচন হবে না। শূন্য কেন্দ্রে ভোটারবিহীন ইলেকশনের নামে সিলেকশন হতে দেওয়া হবে না। অবিলম্বে বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার করে ঈদের আগেই দেশনেত্রীকে (খালেদা জিয়া) মুক্তি দিতে হবে।’

সাবেক এই ছাত্র নেতা বলেন, ‘কোটা সংস্কারের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী কোটা বিলুপ্তির ঘোষণা দিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে সে ঘোষণা বাস্তবায়ন করেনি। প্রতারিত হলো কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা। এখন আবার সচিব পর্যায়ের কমিটি প্রায় সর্ব পর্যায়ের কোটা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করেছে।কিন্তু আদালতের রায়ের কথা উল্লেখ করে কোটা সংস্কারের আরও প্রলম্বিত করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। অথচ আদালতের কোনো রায় নেই, পর্যবেক্ষণ আছে। আন্দোলতরত শিক্ষার্থীরা কোটা বাতিল চায় না তারা কোটা সংস্কার চায়।’

রিজভী বলেন, ‘সব ধরনের কোটা বাতিল করার প্রস্তাব মানেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আবারও প্রতারণার কৌশল অবলম্বন। এটিও আরেকটি প্রহসন। আওয়ামী সরকার প্রতারণা-ছলনার ওপর শাসনদণ্ড অবৈধভাবে ধরে রেখেছে।’

নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে সরকার রক্তাক্ত করেছে বলে দাবি করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘রক্তে ভিজিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের স্কুল ড্রেস। আন্দোলন দমাতে নির্বিচারে তাদের গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে অকথ্য নির্যাতন করা হচ্ছে।তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না। অথচ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন শিক্ষার্থীদের আন্দোলন তাদের পথ দেখিয়েছে। একদিকে প্রশংসা, আরেক দিকে বর্বরোচিত দমন-পীড়ন, এক অদ্ভুত দ্বিচারী সরকার। শিশু-কিশোরদের সাথেও প্রতারনা করতেও এরা বেপরোয়া। ঈদের উৎসব থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে।’

সশস্ত্র ছাত্রলীগ-যুবলীগের হেলমেটধারীরা পুলিশের বেস্টনিতে শিশু-কিশোর ও সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ করে রক্তাক্ত করেছে বলে অভিযোগ রিজভীর। তিনি বলেন, ‘অথচ পুলিশের আইজি বলেছেন, গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।কিন্তু তিনি সেই হেলমেটধারীদের ধরার কথা কিছুই বলেননি। পুলিশ ধরছে আহত শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীদের ও সামাজিক গণমাধ্যম ব্যবহারকারীদের। সরকার আহত শিশু-কিশোরাদের অপরাধী বানালো, অথচ যারা গুলি ছুড়ল তারা বীর হিসেবে আখ্যায়িত হলো।’

অবিলম্বে ছাত্রছাত্রীদের গ্রেফতার বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘এ পবিত্র ঈদুল আজহার আগেই আটককৃত সকল শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিতে হবে।’

প্রিয় সংবাদ/শিরিন/রিমন