কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

প্রতীকী ছবি।

কেনিয়ায় নারীবেশে পুরুষদের গোপন জীবন

আয়েশা সিদ্দিকা শিরিন
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৪ আগস্ট ২০১৮, ১১:৩১
আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০১৮, ১১:৩১

(প্রিয়.কম) কেনিয়ায় সমকামবিরোধী আইন অত্যন্ত কড়া। আর সে কারণে সমকামীদের যথেষ্ট কঠিন পরিস্থিতিতেই থাকতে হয়। সামাজিকভাবেও তাদের মাঝেমধ্যেই নিগ্রহের মধ্য পড়তে হয়।

কিন্তু এর পরও দেশটিতে এমন অনেক পুরুষ আছেন যারা নারীর ছদ্মবেশে পুরুষদেরই আনন্দ দিতে পছন্দ করেন। তাদের নিয়ে গোপনে নানা আয়োজনও হয়ে থাকে।

নারী ছদ্মবেশী পুরুষ সম্পর্কে অাগ্রহী একজন বলছিলেন, ‘আমি আসলেই কেনিয়ায় এই রানীদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আমরা সেখানে গিয়েছি এবং তারাও জানে যে আমরা আছি। কিন্তু সমস্যা হলো তাদের স্বীকার করা হয় না।’

এখানে যাদের কথা বলা হচ্ছে তারা হলেন ড্র্যাগ কুইন অর্থাৎ সমকামী পুরুষ। যারা বিপরীত লিঙ্গের পোশাক পরিধান করেন। কেনিয়ায় এমন অনেক তরুণ সমকামী যুবককে নিয়ে গোপনে পার্টির আয়োজন করা হয়। তারা সেখানে মেয়েদের মতো করে হাঁটেন বা তাদের কার্যক্রম হয় অনেকটা মেয়েদের মতো।

দেশটিতে ভিন্ন লিঙ্গের পোশাক পরিধান অবৈধ নয়, কিন্তু সেখানে রয়েছে সমকামবিরোধী কড়া আইন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেকেই এজন্য শাস্তি পেয়েছেন, অনেকের ১৪ বছর পর্যন্ত জেল হয়েছে। এমনকি কেউ যদি বুঝতে পারে যে আপনি পুরুষ হয়ে নারীর পোশাক পড়েছেন তাহলে মারধরও করা হয়।

কেনিয়ায় বেশিরভাগ মানুষ সমকামবিরোধী। সেখানে সমকামী পুরুষ সম্পর্কে বেশির ভাগ মানুষেরই ধারণা, তারা শুধু নিজেকে প্রকাশ করতে চায় কিংবা নিতান্তই যৌনকর্মী। তবে সমকামী পুরুষরা এটিকে তাদের মেধার ও বৈচিত্র্যতার বহিঃপ্রকাশ মনে করেন। যদিও পরিবার ও সমাজে তাদের সহজভাবে নেওয়া হয় না।

সমকামী এক তরুণ বলেন, ‘আসলে আমার সম্পর্কে আমার পরিবার এখনো কিছুই জানে না। আমি যেখানে যাই লোকজন পছন্দ করে, তারা বলে তুমি যা আমরা সেটাকেই সম্মান করি। তুমি এটা বেছে নাওনি বরং এভাবেই জন্ম নিয়েছো’।

তবে বাস্তবতা হলো দেশটিতে এ ধরনের মানুষ চরম বৈষম্য নিগ্রহের শিকার হয়ে থাকে।

নারীবেশে চলাফেরা করেন এমন একজন বলেন, ‘এটা বিবেচ্য নয় যে আমরা কারা, আমরা মানুষ। আর পোশাক দিয়ে আপনি কাউকে সংজ্ঞায়িত করতে পারেন না। আমরা চাই যে সাধারণ মানুষ এমনভাবে দেখুক যে এরা একটি ভিন্ন এবং বিশেষভাবেই জন্মগ্রহণ করেছে। আর সেজন্যই আমাদের প্রতি বৈষম্য বন্ধ হওয়া উচিত।’

কেনিয়ার নারীবেশী পুরুষরা মনে করেন যৌন আচরণ দ্বারাও কাউকে চিহ্নিত করা উচিত নয়। তাদের বিশ্বাস এটি নিশ্চিত হলেই মানুষ হিসেবে তাদের অধিকার যেমন প্রতিষ্ঠিত হবে তেমনি দূর হবে সামাজিক সমস্যাগুলোও।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

প্রিয় সংবাদ/রুহুল