কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার শোয়েব মালিক ও ভারতের টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা। ছবি: সংগৃহীত

‘ভারত-পাকিস্তানকে এক করতে আমরা বিয়ে করিনি’

সৌরভ মাহমুদ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৩ আগস্ট ২০১৮, ১২:১১
আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০১৮, ১২:১১

(প্রিয়.কম) সীমান্তের উত্তাপ, ধর্ম, সংস্কৃতি, সমাজ সব কিছুর বাধা উপেক্ষা করে ২০১০ সালে ভালোবেসে বিয়ে করে গাটছড়া বেঁধেছিলেন পাকিস্তানি ক্রিকেট তারকা শোয়েব মালিক ও ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা। সে সময় অনেকেই ধারণা করেছিলেন এই বিয়ের মধ্য দিয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্কও ভালো হবে।

যদিও বাস্তবিক তা হয়নি। সীমান্ত সমস্যার কারণে এ দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব সংঘাত লেগেই আছে। এমনকি দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ রয়েছে এশিয়ার এই দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সিরিজও। যা নিয়ে প্রায়শই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে এই জুটিকে।

সানিয়া মির্জার মতে, মানুষের এমন ধারণা নিতান্তই ভুল। দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাতে নয়, বরং তাদের ভালোবাসার পরিণতি দিতেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন সানিয়া-শোয়েব।

এ নিয়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা সানিয়ার ভাষ্য, ‘অনেকেই মনে করেন দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতেই আমরা বিয়ে করেছি। এটা ঠিক নয়। বছরে একবার নিজের শ্বশুরবাড়িতে যাই। ওখানে প্রচুর ভালবাসা পাই। গোটা দেশ আমাকে বউদি বলে ডাকে। ওরা আমাকে সম্মানে মুড়ে দেয়।

প্রত্যেকের জীবনে বিভিন্ন সম্পর্কের বন্ধন থাকে। আমি আমার দেশের হয়ে খেলি। আমাদের উপরে যা দায়িত্ব থাকে, সেই বিষয়ে আমরা সচেতন। তবে এগুলো সিরিয়াসলি নেওয়া উচিত নয়। এটা ভালো কোনো শিরোনাম হতে পারে। কিন্তু আমাদের কাছে এগুলোর কোনো গুরুত্ব নেই।’

অক্টোবরেই শোয়েব-সানিয়ার সংসারে আসছে নতুন অতিথি। অনাগত এই সন্তান জন্মের পর কোন দেশের নাগরিকত্ব পাবে তা নিয়েও বিভিন্ন সময়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এই বিতর্ক নিয়ে সানিয়া সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সম্ভব হলে, তৃতীয় কোনো দেশের নাগরিকত্ব নেবে তাদের সন্তান। শুধু তাই নয়, সানিয়ার চাওয়া, তাদের সন্তান টেনিস খেলোয়াড় কিংবা ক্রিকেটার হিসেবে নয়, সন্তান যেন বড় হয়ে চিকিৎসক হয়।

সূত্র: ক্রিকট্র্যাকার

প্রিয় খেলা/রুহুল