ইসরায়েলে হামলায় হিজবুল্লাহকে কেন যুক্ত করেনি ইরান
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার ‘ইটের বদলে পাটকেল’ মারার সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যকে সর্বাত্মক যুদ্ধের মধ্যে নিয়ে যাবে কি না, সেই উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তবে এ ধরনের একটা পরিস্থিতি তৈরি হবে না বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে ইসরায়েল অথবা ইরান কোনো পক্ষই লাভবান হবে না। ইসরায়েল উসকানি দিলেও, ইরান রক্ষণাত্মক অবস্থানে।
ইরানের প্রধান স্বার্থ হচ্ছে আত্মরক্ষা। ইরান দেশের ভেতরকার পারমাণবিক স্থাপনা এবং মধ্যপ্রাচ্যে তাদের যে সম্পদ আছে, সেগুলো রক্ষা করতে চায়। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে যেসব সশস্ত্র গোষ্ঠীকে তারা সমর্থন দিচ্ছে, তাদের সুরক্ষিত রাখতে চায়। ইরানের সবচেয়ে মূল্যবান প্রক্সি হচ্ছে হিজবুল্লাহ।
ইরানের নেতারা বারবার করে দাবি করে আসছেন, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার নির্দেশনা তাঁরা দেননি, এ হামলার সম্পর্কে তাঁরা কিছু জানতেনও না। এর কারণ হলো, ইরান চায় না ইসরায়েল ও তার মিত্ররা ইরানকে লক্ষ্যবস্তু বানাক, কিংবা এমন ধরনের প্রতিশোধ নিক, যাতে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব ক্ষুণ্ন হয়।