কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মৃত্যুর মিছিল ঠেকাবে কে

www.ajkerpatrika.com চিররঞ্জন সরকার প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৪

একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। এই কান্নাই বর্তমানে আমাদের দেশে নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। বিষাদে রূপ নিচ্ছে ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবের ছুটির আনন্দ। সড়কে রোজ ঝরছে প্রাণ। অন্যান্য সপ্তাহের তুলনায় ঈদের সপ্তাহে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে।


যেখানে হাসিমাখা মুখ প্রিয়জনের হৃদয় জুড়িয়ে দেওয়ার কথা, সেখানে বাড়ির উঠানে আসছে নিথর দেহ। পৃথিবীর প্রতিটি জনপদেই উৎসব উদ্‌যাপিত হয়। কিন্তু কোনো নাশকতা ছাড়া শুধু সড়ক দুর্ঘটনায় এত মানুষ হতাহতের নজির বোধ হয় অন্য কোথাও নেই। এবারের ঈদযাত্রায়ও সড়ক দুর্ঘটনার খবর গণমাধ্যমে এসেছে প্রতিদিনই।


শুধু ঈদের দিনই সারা দেশে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিআরটিএ জানিয়েছে, ৪ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ১৭ দিনে সারা দেশে ২৮৬টি সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩২০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৪৬২ জন আহত হয়েছে; যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ১৯ শতাংশ বেশি।অন্যদিকে যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য বলছে, ঈদযাত্রা শুরুর দিন (৪ এপ্রিল) থেকে ১৮ এপ্রিল কর্মস্থলে ফেরা পর্যন্ত ১৫ দিনে সড়কে ৩৯৯টি দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ও ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছে। এই সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত ও ২১ জন আহত হয়েছে। নৌপথে ২টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছে। সব মিলিয়ে সড়ক, রেল ও নৌপথে ৪১৯টি দুর্ঘটনায় ৪৩৮ জন নিহত ও ১ হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছে।


গত বছর ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল। গত বছরের তুলনায় এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ ও আহত ১৪৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়েছে। আর এসব দুর্ঘটনায় যথারীতি মোটরসাইকেলই শীর্ষে রয়েছে। এবারের ঈদে ১৯৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ২৪০ জন আহত হয়েছে; যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৯ দশমিক ৬২ শতাংশ, নিহতের ৪০ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং আহতের ৩০ দশমিক ৩৭ শতাংশ প্রায়।


যদিও সব দুর্ঘটনার খবর গণমাধ্যমে আসে না। তাই প্রকৃত দুর্ঘটনার সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতির পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আট বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোট ৬০ হাজার ৮৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় ৩ হাজার ৮৬২ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ৪ হাজার ৪৭৫ জনের; অর্থাৎ কেবল ঈদের মৌসুমেই সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।


স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগব্যবস্থায় বৈপ্লবিক উন্নয়ন হয়েছে। আর বর্তমান সরকারের সময়ে যে পরিমাণ নতুন রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার হয়েছে তা অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে। ১৯৭১ সালে মাত্র ৩ হাজার ৬০০ কিলোমিটারের সড়ক দিয়ে শুরু করা বাংলাদেশে বর্তমানে ৩ লাখ ৭৫ হাজার কিলোমিটারের সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় ও আঞ্চলিক মিলিয়ে ২২ হাজার কিলোমিটার মহাসড়ক আছে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে এসেছে বিস্ময়কর পরিবর্তন।


এসব সড়ক নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন হাইওয়ে পুলিশের ৭৩টি ইউনিটের প্রায় ৩ হাজার সদস্য। ইতিমধ্যে দেশে অনেক মহাসড়ক, এক্সপ্রেসওয়ে, ফ্লাইওভার, ওভারপাস, আন্ডারপাস, ওভারব্রিজ নির্মিত হয়েছে। দুই লেনের মহাসড়ক চার লেনে পরিণত হয়েছে আর চার লেনগুলো আট লেনে পরিণত হবে। কিন্তু এত সব আয়োজন দুর্ঘটনা কমাতে ন্যূনতম ভূমিকা পালন করতে পারছে না। মানুষ বেঘোরে প্রাণ হারাচ্ছে। কোথাও কোনো প্রতিকার মিলছে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও