কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

দস্যুদের হাতে জিম্মি ৩৩ দিন, 'আর জাহাজে চাকরি করতে চাই না'

ডেইলি স্টার প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৮

প্রায় ৩৩ দিন সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ছিলেন বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ'র কর্মী মোহাম্মদ নূর উদ্দিন। মানসিকভাবে এতটাই ভেঙে পড়েছেন যে তিনি আর ওই জাহাজে করে সাগরপথে দেশে ফিরতে আগ্রহী নন। বরং দুবাইয়ের বন্দরে নেমে সেখান থেকে দ্রুত বিমানে দেশে ফিরতে চান।


শুধু তাই নয়, আপাতত জাহাজের পেশাতেই আর ফিরতে চাইছেন না ২৮ বছর বয়সী নূর উদ্দিন। ওই জাহাজে জেনারেল স্টুয়ার্ট হিসেবে কর্মরত তিনি। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় থাকেন তার মা, স্ত্রী এবং তাদের আড়াই বছরের সন্তান। 


গত শনিবার গভীর রাতে হোয়াটসঅ্যাপে সংক্ষিপ্ত বার্তার মাধ্যমে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা হয় নূর উদ্দিনের। জিম্মি দশা সম্পর্কে জানতে চাইলে ২০১৫ সাল থেকে এ পেশায় থাকা নূর উদ্দিন বলেন, 'এরকম ঘটনা যেন কোনো নাবিকের জীবনে না আসে। আমার শরীর এখন ভালো। তবে মানসিকভাবে আমি একটু দুর্বল হয়ে পড়েছি। যে ভয়ঙ্কর সময়টা পার করে এসেছি, তা যদি আবার ফিরে আসে! এরকম ভয় কাজ করছে।'


তার সঙ্গে যখন বার্তা আদান-প্রদান হচ্ছিল জাহাজটি তখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরের পথে। গতকাল বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৪টায় জাহাজটি আম্বিয়া বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে পৌঁছেছে। এই বন্দরে জাহাজের থাকা কয়লা খালাসের পর এর ২৩ জন নাবিকের ২১ জন জাহাজটিতে করেই সাগরপথে দেশের ফিরবেন বলে জানিয়েছেন মালিক কর্তৃপক্ষ।


তবে বাকি দুজন এই বন্দরে জাহাজ থেকে নেমে যেতে চান। তাদের একজন নূর, অন্যজন জাহাজের দ্বিতীয় কর্মকর্তা মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।


নূর দ্য ডেইলি স্টারকে পাঠানো বার্তায় বলেন, 'আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশে যাওয়ার সাগর পথটাও বিপদসংকুল। আসলে দস্যুরা হাই রিস্ক এরিয়া থেকেও অনেক দূরে গিয়ে জাহাজে আক্রমণ করছে। আমার এখন মনে হচ্ছে জাহাজে চাকরি আর করব না। পরে পরিস্থিতি কী হয় এখনো জানি না। অন্য কোনো কিছু করতে না পারলে হয়তো আবারও ফিরে আসতে হতে পারে এ পেশায়।'

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও