কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

নতুন করে আর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নয়, সৌরবিদ্যুৎই বিকল্প

বণিক বার্তা ড. মইনুল ইসলাম প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৭

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য আমরা ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করছি, সেখান থেকে ২০২৫ সাল নাগাদ আমরা ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পেতে পারি। এখন রূপপুরে দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের জন্য রাশিয়ার রোসাটমের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। অথচ ছাদভিত্তিক সোলার পাওয়ার প্রযুক্তিকে অগ্রাধিকার দিলে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ব্যয় রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের মোট ব্যয়ের অর্ধেকও হতো না। স্মরণ করা প্রয়োজন, সৌরবিদ্যুৎ সবচেয়ে পরিবেশবান্ধব এবং ঝুঁকিমুক্ত প্রযুক্তি। নতুন করে আর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বড় অংকের বিনিয়োগ না করে সৌরবিদ্যুতে বিনিয়োগ ছিল সবচেয়ে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত। আমরা নিরাপদ ও সাশ্রয়ী সৌরবিদ্যুতের ওপর কবে জোর দেব?  


চলতি বছরের শুরুতে জাতীয় সংসদে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা চলাচল বন্ধ করা সংক্রান্ত সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ মন্তব্য করেছিলেন, ‘এই ৪০ লাখ থ্রি হুইলারকে আমি বলি বাংলার টেসলা’। টেসলা হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় বৈদ্যুতিক গাড়ি, যার ওপর ভিত্তি করে পশ্চিমা বিশ্ব অতিদ্রুত জীবাশ্ম জ্বালানিচালিত যানবাহন ব্যবহার থেকে মুক্তি পাওয়ার আন্দোলনে শরিক হয়েছে। টেসলা গাড়ি কেনার ব্যাপারটি এখন মার্কিনদের ‘ফ্যাশন ক্রেজে’ পরিণত হয়েছে। প্রধানত এ গাড়ি কোম্পানির দ্রুতবর্ধনশীল মুনাফার জোয়ারে ভর করে ইলোন মাস্ক বিশ্বের সবচেয়ে ধনাঢ্য ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আরো জানিয়েছেন, ‘কত দ্রুত ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমকে ইলেকট্রিকে নিয়ে যাওয়া যায়, সেজন্য সারা বিশ্বে একটা বিপ্লব চলছে। তেলচালিত গাড়ির ইঞ্জিনের দক্ষতার মাত্রা ২০ শতাংশ। আর ইলেকট্রিক যন্ত্রের দক্ষতার মাত্রা ৮০ শতাংশ’। তিনি আরো বলেছেন, ‘আমরা তাদের কোনো বাধা দিচ্ছি না। যান্ত্রিকভাবে এতে ত্রুটি থাকতে পারে। কিন্তু বিদ্যুৎ যেটা ব্যবহার করছে তার রিটার্ন অনেক বেশি। এক্ষেত্রে লেড ব্যাটারি থেকে তারা যেন লিথিয়াম ব্যাটারিতে চলে আসে। এটা নিয়ে আমরা একটা প্রকল্প করছি। আমরা লেড ব্যাটারি নিয়ে তাদের লিথিয়াম ব্যাটারি প্রদান করব’। নসরুল হামিদ মত প্রকাশ করেছেন, দেশে যত গণপরিবহন আছে সেগুলো দ্রুত বিদ্যুতে নিয়ে আসা উচিত। এতে খরচ কম, পরিবেশবান্ধব। ওপরে উদ্ধৃত প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য এবং মতামত থেকে বোঝা যাচ্ছে, বর্তমানে অবৈধ হলেও ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অটোরিকশাকে উৎসাহিত করার নীতি গ্রহণ করেছে সরকার। এ পরিপ্রেক্ষিতে আমার প্রশ্ন, সরকার যদি ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অটোরিকশাকে দেশে দ্রুত চালু উৎসাহিত করতে চায় তাহলে আজও এগুলোর চলাচলকে ‘আইনগতভাবে অবৈধ’ করে রাখা হয়েছে কার স্বার্থে? সারা দেশে পদে পদে চাঁদা দিয়ে চলাচল করছে এসব যানবাহন। ট্রাফিক পুলিশের ঘুস-দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক চাঁদাবাজদের স্বার্থে কি অবৈধ রাখার অযৌক্তিক আইন বহাল রাখা হচ্ছে?


ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অটোরিকশা দেশে চালু হয়েছে প্রায় এক যুগ আগে। গ্রাম-গঞ্জে, মফস্বল শহর ও ছোটখাটো নগরের সড়কগুলোয় ক্রমেই সাইকেল রিকশাকে হটিয়ে দিয়ে জায়গা দখল করে নিচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাও স্বল্প দূরত্বের গন্তব্যে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সিএনজি অটোরিকশার তুলনায় অনেক ব্যয়সাশ্রয়ীর ফলে এগুলোর ব্যবহারও অনেক বছর ধরে দ্রুতবর্ধনশীল। চট্টগ্রামের প্রবাসীপ্রধান এলাকাগুলোয় এখন সাইকেল রিকশার দেখা মিলছেই না বলা চলে, ব্যাটারিচালিত রিকশা এবং অটোরিকশা এলাকার জনসাধারণের প্রধান যানবাহনে পরিণত হয়ে গেছে বহুদিন আগেই। দেশে উৎপাদিত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার পাশাপাশি এখন চীন থেকে আমদানীকৃত অটোরিকশা ক্রমবর্ধমান হারে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এসব এলাকায়। এটাকে আমার কাছে অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য পরিবর্তন মনে হয়েছে, কারণ রিকশাওয়ালাদের শারীরিক ধকল প্রশমিত করার এ যানবাহনগুলো একদিকে আধুনিকতার প্রতীক, অন্যদিকে পরিবেশবান্ধব। অনেকে এগুলোকে যান্ত্রিকভাবে ত্রুটিপূর্ণ ও বিপজ্জনক আখ্যা দিলেও বড়সড় কোনো দুর্ঘটনা এর ফলে ওইসব এলাকায় বেড়ে যাওয়ার কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। যান্ত্রিক ত্রুটির বিষয়টি অবহেলা করা যায় না, কিন্তু ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ক্ষেত্রে এ অভিযোগ ধর্তব্য মনে হয়নি আমার কাছে। ব্যাটারিচালিত রিকশা হঠাৎ ব্রেক কষলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু বাস্তবে এ ধরনের দুর্ঘটনা খুব বেশি হলে রিকশা ব্যবহারকারীরাই ব্যাটারিচালিত রিকশা ব্যবহারে অনীহ হওয়ার কথা। এ সমস্যা কোথাও গুরুতর আকার ধারণ করার কথা শোনা যায়নি। ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অটোরিকশার গতি যেহেতু শ্লথ সেজন্য সাইকেল রিকশার মতো এগুলোর চলাচলকেও মহাসড়কে বৈধতা দেয়া যাবে না বোধগম্য কারণে। আমরা এজন্য মহাসড়কে এবং বড় বড় নগরী ও মহানগরের প্রধান সড়কগুলোয় এগুলোর চলাচলকে অবৈধ রাখার পক্ষেই অবস্থান গ্রহণ করব। কিন্তু গ্রামগঞ্জে, মফস্বল শহরে এবং নগরী ও মহানগরগুলোর অন্যান্য সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অটোরিকশার চলাচলকে বৈধতা প্রদানকে আমার কাছে খুবই যৌক্তিক মনে হয়। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও