কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সুবিধাজনক অবস্থানে মোদি, কিন্তু ৪০০ পার হবে কীভাবে

প্রথম আলো ভারত সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১১

এত নিরুত্তাপ লোকসভা ভোট ভারতে আগে হয়নি। এমনও হয়নি, ভোট শুরুর আগেই সংসদে প্রধানমন্ত্রী আগাম জয় ঘোষণা করছেন। শুধু কি তাই? ৪০০–র বেশি আসনে জিতে এনডিএ জোট ক্ষমতায় আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রতিদিন তা মনেও করিয়ে দিচ্ছেন। বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশে এমন নিশ্চিন্তে এত কঠিন ও বৈচিত্র্যপূর্ণ ভোটের মোকাবিলা আগে কাউকে করতে দেখা যায়নি। ১০ বছর ক্ষমতায় থেকেও নরেন্দ্র মোদি এত নিরুদ্বিগ্ন। 


মোদি নিজেকে এই অবস্থানে নিয়ে যেতে পেরেছেন অনেকগুলো কারণে। এমন প্রশ্নহীন আনুগত্য বিজেপির কেউ কখনো অর্জন করেননি। জনপ্রিয়তা ও ভাবমূর্তিতেও তাঁর কাছাকাছি নেই কেউ। এটা মুদ্রার এক পিঠ হলে অন্য পিঠে রয়েছে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো নেতার অনুপস্থিতি। ক্ষমতার ব্যাপ্তি ঘটানোর পাশাপাশি রাষ্ট্রযন্ত্রকে মুঠোবন্দী করার দক্ষতাতেও তিনি অদ্বিতীয়। গণতন্ত্রের ‘ফোর্থ পিলার’ গণমাধ্যমকেও এভাবে কেউ নিয়ন্ত্রণ করেননি। সাংবিধানিক স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো তাঁর মুখাপেক্ষী। এই অদৃশ্যপূর্ব প্রশাসনিক দক্ষতার সঙ্গে হিন্দুত্ববাদ মিশিয়ে তিনি যে ‘ধর্মীয় রাজনৈতিক ন্যারেটিভ’ তৈরি করেছেন, বিরোধীকুল তার সামনে অসহায়। এবারের নির্বাচন এতটাই একপেশে যে খোদ প্রধানমন্ত্রীই বলেছেন, ‘বিদেশিরাও বলাবলি করছে আয়েগা তো মোদি হি। না হলে তারা এভাবে আমার সফরসূচি তৈরির জন্য পীড়াপীড়ি করত না।’ 



  • ক্ষমতার ব্যাপ্তি ঘটানোর পাশাপাশি রাষ্ট্রযন্ত্রকে মুঠোবন্দী করার দক্ষতাতেও মোদি অদ্বিতীয়।

  • জোট বেঁধে (এনডিএ) ক্ষমতায় এলেও ধীরে ধীরে জোটসঙ্গীদের কোণঠাসা করেছেন মোদি। 

  • হিন্দুত্ববাদের রমরমা হিন্দি বলয়ে বাড়তি দু-চারটি আসন পেলেও মোদির পক্ষে ৪০০ পেরোনো কঠিন। 


একপেশে রাজনৈতিক চিত্র


নরেন্দ্র মোদি দুটি কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে করেছেন। প্রথমত, নিজেকে সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেছেন। দলের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জারদের একে একে নিষ্ক্রিয় করেছেন। গোষ্ঠীতন্ত্রকে মাথাচাড়া দিতে দেননি। দ্বিতীয়ত, রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘকে বশীভূত করে নিজের কর্তৃত্ব স্থাপন করেছেন। বিজেপি ও সংঘের ইতিহাসে এটা বিরল। তৃতীয়ত, বিরোধীদের জোটবদ্ধ হতে দেননি। 


এই কাজটা করেছেন রাষ্ট্রযন্ত্রের নিপুণ ব্যবহারের মধ্য দিয়ে। ইডি, সিবিআই, এনআইএর মতো তদন্তকারী সংস্থার পাশাপাশি ভিজিল্যান্স কমিশন ও আয়কর বিভাগকে তিনি ব্যবহার করেছেন বিরোধীদের ছাড়া ছাড়া রাখতে; সন্ত্রস্ত রাখতে। ফলে এই প্রথম উত্তর প্রদেশের ভোটে বহুজন সমাজ পার্টি এলেবেলে। মায়াবতী রাজনৈতিক অস্তাচলে। অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন হম্বিতম্বিহীন। তেলেঙ্গানায় বিআরএসের মুখে কুলুপ। 


পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিক হয়েও নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত। শীর্ষ নেতাদের জেলযাত্রা ঠেকানোর চিন্তায় মশগুল। মহারাষ্ট্রে শিবসেনা ও এনসিপি ছত্রাখান। আম আদমি পার্টি ও ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার মূল চিন্তা ভোট নয়, অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও হেমন্ত সোরেনের জামিন। কংগ্রেসের অবস্থা নাবিকহীন জাহাজের মতো। অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ও সামাজিক গরিমা হারানো একান্নবর্তী পরিবারের হাল যেমন হয়, ঠিক তেমনই। ফলে বিজেপির সামনে এক ধু ধু ফাঁকা মাঠ। ভোটের চালচিত্রও তাই এত অনুজ্জ্বল। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও