কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন : এসো মুগ্ধ মুদিত দু নয়ানে

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এলে আমরা ‘মুগ্ধ মুদিত দু নয়ানে’ তাঁকে প্রত্যক্ষ করি। যেমনটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর গানে উল্লেখ করেছেন। বঙ্গবন্ধু এমনই বিস্ময় যে, জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই এটি নির্ধারিত হয়ে যায়– তিনি স্বাধীন বাংলাদেশ নামে একটি দেশ অর্জন করবেন। বঙ্গবন্ধুর শৈশব, কৈশোর, তারুণ্য, যৌবন যেভাবে তিনি কাটিয়েছেন এবং যেভাবে তিনি ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে গেছেন, সে সময়ই মনে হয়েছিল এই মানুষটি মহান কিছু অর্জন করবেন।

বঙ্গবন্ধু তখন গোপালগঞ্জের মিশনারি স্কুলে লেখাপড়া করছিলেন, সে সময়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক তাঁর স্কুলে আসেন। সঙ্গে ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তারা যখন স্কুল পরিদর্শন করে চলে যাচ্ছিলেন তখন তাদের দিকে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী শেখ মুজিবুর রহমান এগিয়ে গিয়ে বললেন, আমাদের স্কুলে টিনের চাল দিয়ে পানি পড়ে। ঠিক করলে আমাদের পড়াশোনার সুবিধে হয়। অষ্টম শ্রেণির ছাত্র হিসেবে তিনি যেভাবে কথা বললেন, তাতে সবাই বিস্মিত হয়। স্কুলের স্বার্থে তিনি যে সাহসিকতার সঙ্গে কথা বলেন, তাতেই আমরা তাঁর নেতৃত্বের গুণাবলি অবলোকন করি। মর্নিং শোজ দ্য ডে অর্থাৎ দিনটা কেমন যাবে তা যেমন সকালেই বোঝা যায়, বঙ্গবন্ধুর ক্ষেত্রেও সেটা দেখা যায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ছাত্র থাকাকালে বঙ্গবন্ধু বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার আন্দোলনে যুক্ত হন এবং এ জন্য পাকিস্তানের কারাগারেও তাঁকে যেতে হয়। বঙ্গবন্ধুর প্রথম কারাগারের অভিজ্ঞতা অবশ্য ব্রিটিশ আমলেই শুরু হয়েছিল। ওই সময় একটি ঘটনায় বঙ্গবন্ধু চেষ্টা করছিলেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার, অথচ তখনই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। যাহোক, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার সংগ্রাম তিনি শুরু করলেন বাঙালির মাতৃভাষা নিশ্চিতের আন্দোলন দিয়ে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার মাত্র কয়েক মাস পরই তিনি এ কারণে কারাগারে যান। পাকিস্তানিরা যেহেতু অন্য ভাষা চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল, তার বিরুদ্ধে যখন বঙ্গবন্ধু দাঁড়ান, তার মানে তিনি বাঙালির বন্ধু এবং পাকিস্তানের শত্রু। সে জন্যই পাকিস্তানিরা তাঁকে কারাগারে পাঠায়। ১৯৪৮ সালের ১১ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত তিনি পাঁচ দিন কারাগারে ছিলেন। এরপর পাকিস্তানের শাসনামলের ২৩ বছরে তিনি প্রায় এক যুগ কারাগারের ভেতরেই কাটান। আর স্বাভাবিকভাবেই তাঁর কারাগারের বাইরের দিন ছিল সংগ্রামমুখর জীবন। 

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কথা যখন আমরা ভাবি তখন অবধারিতভাবেই একাত্তরের মার্চের কথা চিন্তা করি। অগ্নিঝরা সেই একাত্তরের ১৭ মার্চ দিনটি কেমন ছিল? বঙ্গবন্ধু সেদিন ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠক করে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসভবনে আসেন। সেদিন অনেক সাংবাদিক তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন চিন্তাক্লিষ্ট। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করলে পরিবেশ হালকা করার জন্য তিনি বলেন, জাহান্নামে বসিয়া আমি হাসি পুষ্পের হাসি। তখন সবার মধ্যে হাসি ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় এক বিদেশি তাঁকে বলেছিলেন, আজ তো আপনার জন্মদিন। বঙ্গবন্ধু তখন বললেন, এই দুখিনী বাংলায় আমার জন্মদিন কী আর মৃত্যুদিনই বা কী। বঙ্গবন্ধু যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে জন্মদিন উদযাপন করেননি, তবে তিনি দিনটিতে শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, শিশুরাই আগামী দিনের বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে। সে জন্য শিশুদের তিনি উজ্জীবিত করতেন।  

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন