কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


সমঅধিকারের পথে মানসিকতার বাধা

আন্তর্জাতিক নারী দিবস জাতিসংঘের উদ্যোগে বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ, এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ’। সমান অধিকার ও সমান সুযোগ নারীর এগিয়ে যাওয়ার জন্য জরুরি। নিবন্ধটি শুরু করার আগে বিশেষভাবে ফিলিস্তিনের নারীদের কথা স্মরণ করতে চাই। ইসরায়েলের হামলায় সেখানে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নারী। গাজায় ৭ অক্টোবর থেকে হামলায় প্রাণ হারানো ৩০ হাজারের বেশি মানুষের মধ্যে ২৫ হাজারই নারী ও শিশু। সেখানে বেঁচে থাকা নারীরা কী অবর্ণনীয় দুর্দশায় দিনাতিপাত করছে, তা বলা বাহুল্য। আমরা চাই, বিশ্ব সেখানে যুদ্ধ বন্ধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আসা যাক। আমাদের নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে ছাত্রীর সংখ্যা বেশি এবং উচ্চশিক্ষায়ও তাদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে দরিদ্র পরিবারগুলোও নারীদের শিক্ষায় জোর দিচ্ছে। মানুষের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গিগত পরিবর্তন এসেছে। অর্থাৎ তারা বুঝতে শিখেছে, মেয়েরা বৃদ্ধ বয়সে মা-বাবাকে বেশি দেখছে।

আমরা অনেক এগিয়েছি, এটা সত্য। কিন্তু সব জায়গায় নারীকে সম্পূর্ণভাবে সমান দেখার বিষয়ে এখনও পিছিয়ে। আমাদের বিদেশি মুদ্রা আয়ে নারীর বড় ভূমিকা আছে। পোশাকশিল্পে অধিকাংশ শ্রমিকই নারী। আবার কাজের জন্য প্রতিবছর নারীদের বড় সংখ্যা প্রবাসে যায়। তারা যে রেমিট্যান্স পাঠায়, সেটি আমাদের অর্থনীতির অন্যতম ভিত রচনা করেছে। কিন্তু পোশাকশিল্পে নারীরা সে অর্থে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করছে না। সুপারভাইজারসহ নীতিনির্ধারণী কিংবা ওপরের দিকের পদে বা উন্নতমানের মেশিনে নারী নেই বললেই চলে। নারীকে যে প্রশিক্ষণ দিয়ে এসব পদে নিয়ে যাবে, আয় বেশি করবে– সে কাজটি কিন্তু হচ্ছে না। এখানে দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই নারীকে পেছনে রাখা হয়েছে। 

বাংলাদেশে অর্ধেক সংখ্যক যদি নারী হয়ে থাকে, হিসাবে তো সব পদে নারীর অন্তত ৩০/৪০ শতাংশ হওয়ার কথা। অথচ তাদের সংখ্যা অনেক কম। আগে অবশ্য ছিল না। এখনও প্রত্যাশিত মাত্রায় তাদের অংশগ্রহণ নেই। সংসদেও একই অবস্থা। সংসদে নারীদের সংরক্ষিত আসন আছে। আমি মনে করি, সংরক্ষণের মধ্যে আটকে না থেকে নারীদের আরও বেশি প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা দরকার। রাজনৈতিক দলে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধি নিশ্চিত করা দরকার। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে সদিচ্ছার অভাবে এটি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। কেউ কেউ বলেন, যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না যাওয়ায় এটি বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। আমি তো দেখি, পুরুষের তুলনায় কোনো কোনো নারী ভালো করছেন। স্থানীয় সরকারে জনপ্রতিনিধি হিসেবে এমন অনেক নারী নির্বাচিত হয়েছেন, যারা কোনো কোনো সংসদ সদস্যের চেয়ে বেশি যোগ্যতাসম্পন্ন ও সক্রিয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন