কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


সবল ও দুর্বল ব্যাংক একীভূত করা সহজ নয়

প্রথম আলো: ব্যাংকিং খাতের বর্তমান অবস্থা কী? কেন এমনটি হলো?

সালেহউদ্দিন আহমেদ: ব্যাংকিং খাতের বর্তমান যে সমস্যাসংকুল অবস্থা, তার মূল কারণ সুশাসনের অভাব। এরপর রয়েছে সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কিছু ভুল সিদ্ধান্ত। তৃতীয়ত, বাংলাদেশ ব্যাংকের নমনীয় অবস্থান।

প্রথম আলো: আপনি যখন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন, তখনো তো ব্যাংকিং খাতে সমস্যা ছিল। কীভাবে বিষয়গুলো সামাল দিতেন?
সালেহউদ্দিন আহমেদ: বিভিন্ন সময় ব্যাংকিং খাতের সমস্যাগুলোর জন্য বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ কমিটি ও কমিশন তাদের সুপারিশ দিয়েছিল। সেটার ওপর ভিত্তি করেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কতগুলো আর্থিক নীতিমালা ও নির্দেশিকা তৈরি করা হয়। আমার সময় বিভিন্ন সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে সেগুলো পরিমার্জন করে ব্যাংকিং আইনের আওতায় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এ ক্ষেত্রে একটি বিশেষ দিক ছিল—সব ব্যাংককে এগুলো পরিপালন করার জন্য বাধ্য করা হতো। যারা করতে পারত না, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হতো। আরেকটা বিশেষ দিক ছিল—রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক হস্তক্ষেপ কিছু থাকলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে আমি আলাপ-আলোচনা করে সেগুলোকে প্রশমন করতাম। সম্পূর্ণ পেশাদারত্বের ভিত্তিতেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যক্রম চালানো হতো।

প্রথম আলো: অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি মনে করেন, ঋণ নিলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। পরিস্থিতি এমন একটি জায়গায় এসে ঠেকল কীভাবে?

সালেহউদ্দিন আহমেদ: ঋণ নেওয়ার পর ঋণ ফেরত না দেওয়ার একটা সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে, সেটার মূল কারণ খেলাপি ঋণ আদায়ের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নমনীয় হয়ে অনেক ছাড় দিয়েছে, সময় বাড়িয়েছে—এগুলোর কোনো ইতিবাচক ফল মেলেনি। বিশেষ করে আমাদের দেশের ব্যাংকঋণগুলো বড় ও সীমিতসংখ্যক ক্ষমতাবান ব্যবসায়ীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ।

উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, আমার সময় প্রথমবার ঋণ পুনঃ তফসিলীকরণের ক্ষেত্রে বকেয়া ঋণের ১০ শতাংশ শোধ করতে হতো। দ্বিতীয়বার পুনঃ তফসিলীকরণের সময় ২০ শতাংশ এবং তৃতীয়বার পুনঃ তফসিলীকরণের সময় ৩০ শতাংশ শোধ করতে হতো। এটা এখন এসে ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে বিভিন্ন কৌশলে অযৌক্তিক ক্ষেত্রে ঋণ নেওয়া, ঋণ নিয়ে সেটা অন্যত্র ব্যবহার করা এবং অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংকের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া।

প্রথম আলো: সম্প্রতি আর্থিকভাবে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ দিয়ে টিকিয়ে রাখছে, যার মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের মতো একদা সবল ও বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাংকও আছে। কেন এমনটি হলো?

সালেহউদ্দিন আহমেদ: সম্প্রতি কতগুলো ব্যাংক, কিছু কিছু দুর্বল এবং ভালো ব্যাংকও নানা রকম সমস্যায় পতিত হয়েছে। বিশেষ করে তাদের তারল্যসংকট দেখা দিয়েছে। এর মূল কারণ হলো খেলাপি ঋণ আদায় কম এবং সার্বিকভাবে ব্যাংকিং খাতের ওপর গ্রাহকের আস্থার কিছুটা ঘাটতির ফলে আমানত কমে যাওয়া। এ সময় আপৎকালীন পদক্ষেপ হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাধারণত ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন