কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


এ পরিস্থিতিতে অর্থনীতি ভালো করার সুযোগ আছে কি?

আমাদের অর্থনীতির অনেকটাই নির্ভরশীল ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মার্কেটের ওপর। ভারত ও চীনে আমাদের মালপত্র খুব একটা যায় না। রাশিয়াতেও খুব সামান্য পণ্য রপ্তানি হয়। বরং চায়না এবং ভারত থেকে পণ্য রপ্তানির চেয়ে আমদানি করতে হয় বেশি।

ভারতে আমাদের পণ্য রপ্তানি হয় মাত্র ২ বিলিয়ন ডলার। অথচ ভারত আমাদের দেশে পণ্য বিক্রি করে ১৪ বিলিয়ন ডলার। ভারতের মতো চীনেও আমাদের পণ্য রপ্তানিতে বৈষম্য রয়েছে। চীন আমাদের থেকে পণ্য নেওয়ার চেয়ে রপ্তানি করে অনেক বেশি। এ বৈষম্য কোনোভাবেই কাটিয়ে উঠতে পারছে না বাংলাদেশ। ফলে আমাদের রিজার্ভের ওপর একটা টান পড়ছে।

এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশের অর্থনীতির ওপর একটা বিপর্যয় নেমে আসার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের বাজার ধরতে হবে। অবশ্য ইদানীং কিছু পণ্য জাপানেও যাচ্ছে। তবে জাপানের বাজার আমরা কতটা ধরে রাখতে পারব, সেটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। কেননা পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে জাপানও অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মেলাবে এবং এটাই স্বাভাবিক।

আরেকটি বিষয় নিয়েও আমাদের যথেষ্ট দুশ্চিন্তা রয়েছে, সেটা হচ্ছে খাদ্য মূল্যস্ফীতি। গত এক বছর থেকে অন্যান্য পণ্যের মূল্যস্ফীতির চেয়ে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। মানে ফুড আইটেমবেইজড পণ্যগুলোর দাম খুব দ্রুত বাড়ছে। যার ফলে নিুমধ্যবিত্ত এবং গরিব লোকদের খাদ্যপণ্য ক্রয়সীমার বাইরে চলে যাচ্ছে। নিুবিত্ত ও গরিব লোকদের খাদ্য তালিকা থেকে অনেক কিছুই বাদ পড়ে যাচ্ছে।

যেটি দেশের জন্য কখনোই সুখকর হতে পারে না। দেশের ইনফ্লেশন বা মূল্যস্ফীতি, যেটা সাড়ে ৯ থেকে ১০ শতাংশে রয়েছে, সেটাকে যদি সাড়ে ৭ বা ৮ শতাংশেও আনতে পারে, তাহলে সেটা হবে দেশের জন্য একটা বিরাট অর্জন। অবশ্য সেটা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক চেষ্টা করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কন্ট্রাকশনারি মানি উইথড্র করে মূল্যস্ফীতি কমানোর চেষ্টা করছে। এর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের রেট বাড়িয়ে দিয়েছে। যেমন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কিছু কিনতে হলে বেশি দরে কিনতে হবে, যাতে করে টাকার প্রবাহ না বাড়ে।

টাকার প্রবাহ যদি কমে যায়, তাহলে বিনিয়োগও কমবে। সেই সঙ্গে ভোগও কমবে। তাহলে দেশের ইকোনমি মোটামুটি একটা স্লো-ডাউনের দিকে চলে যাবে। মন্দাক্রান্ত যদি না-ও হয়, সাড়ে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হার, যেটা দুই বছর আগে হয়েছিল, সেখান থেকে সেটা সাড়ে ৫ শতাংশে নেমে আসতে পারে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের এ চেষ্টাও সফল হবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। কারণ, এটা নির্ভর করছে দেশের এফডিআই (ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট) এবং বিদেশি নিষেধাজ্ঞার ওপর।

আরেকটি বিষয় না বললেই নয়, সেটা হচ্ছে অর্থ পাচার। বিদেশে অর্থ পাচারের কারণে আমাদের ডলারের রেমিট্যান্স প্রবাহ কম হয়েছে এবং বিনিময় হারও বিপক্ষে চলে গেছে। আমাদের অর্থনীতির চাঙা ভাবকে ম্লান করে দেওয়ার বড় একটা কারণ হলো অর্থ পাচার। এটি বন্ধ না করতে পারলে আমরা বেশি দূর এগোতে পারব না। তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এটি বন্ধ হবে না। ব্যাংক লুট, দুর্নীতি বা সহজ ব্যবসা থেকে সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে বিপুল পরিমাণ অর্থ কিছু লোকের হাতে কেন্দ্রীভূত হচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন