কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন না করেই প্রকল্পের কাজ শুরু, কৃষকের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত

‘ভিটেবাড়ি ছাড়া কোনও জায়গাজমি নেই। মানুষের বাড়িতে কাজ করে জমানো ৩৫ হাজার টাকায় ১৫০ শতক জমি বর্গা নিয়েছিলাম। ৭০ হাজার টাকা ধার করে জমিতে আমন ধান লাগিয়েছি, পাশাপাশি কয়েক জাতের সবজি আবাদ করেছি। মাসখানেকের মধ্যে ধান ঘরে তোলা যাবে। সবজি তোলা শুরু করেছি। আশা ছিল, ধান ও সবজি বিক্রি করে ধার পরিশোধের পর যা থাকবে, তা দিয়ে সংসার এবং ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালাবো। কিন্তু এখন ধানক্ষেত থেকে মাটি নিয়ে ফসল নষ্ট করে ফেলা হচ্ছে। ধান ও সবজি ঘরে তুলতে না পারলে কীভাবে ধার পরিশোধ করবো আর সংসার চালাবো।’

কান্নাজড়িত কণ্ঠে ধানক্ষেতের আইলে বসে কথাগুলো বলেছেন ময়মনসিংহ সদরের সিরতা ইউনিয়নের কোনাপাড়া গ্রামের হাশেম আলীর স্ত্রী সেলিনা বেগম। স্বামী কোনও কাজকর্ম করতে না পারায় নিজেই কৃষিকাজ করছেন। তার সেই ফসলি জমিতে শুরু হয়েছে ‘বিভাগীয় সদর দফতর’ স্থাপন প্রকল্পের নির্মাণকাজ। ভেকু মেশিন দিয়ে এক জমি থেকে আরেক জমিতে ফেলা হচ্ছে মাটি। এতে নষ্ট হচ্ছে জমিগুলোর ফসল। অথচ এখনও অধিগ্রহণের টাকা পাননি জমির মালিকরা। শেষ হয়নি পুনর্বাসনের কাজও।

সেলিনা বেগম বলেন, ‘ধারের টাকা পরিশোধ করতে না পারলে ছেলেমেয়েকে নিয়ে পথে বসতে হবে। একটা মাস সময় দিলে ধান ঘরে তুলতে পারতাম। এখন বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।’  

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সদর দফতর স্থাপনের লক্ষ্যে ভূমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসন কাজ শীর্ষক প্রকল্পটি গত বছরের আগস্টে একনেকে পাস হয়েছিল। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১ হাজার ২২৪ কোটি ৮০ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের পূর্ব পাশে চরাঞ্চলে ৮৪৫ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করেছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের পুনর্বাসনের জন্য কোনাপাড়া গ্রামে বেড়িবাঁধের পাশে ২৫ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। তবে জমির মালিকদের এখনও ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হয়নি। জমিও বুঝে নেননি প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। এরই মধ্যে হঠাৎ ২৩ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে প্রকল্পের কাজ। অথচ কাজ শুরুর বিষয়ে স্থানীয় কৃষক এবং জমির মালিকদের কিছুই জানানো হয়নি। ফলে ওসব জমিতে থাকা ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন