কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


এ কেমন মৃত্যু ইয়াছিন!

ছবি দুটির দিকে তাকানো যাচ্ছে না। তৃতীয় ছবিটা দেখিনি; দেখা কি সম্ভব? পড়ে যাওয়ার ১৬ ঘণ্টা পরে আবর্জনায় ভরা নালা থেকে তুলে আনা হলো দেড় বছরের শিশু ইয়াছিনের লাশ। এমন মাসুম শিশুর লাশ কি দেখা সম্ভব? সম্ভব না। তাই মায়ের কান্নার মাতমের ছবি দেখতে পারছি, নিস্তেজ পিতার বোবা চাহনির ছবিও দেখা হলো। এমনকি জীবিত ইয়াছিনের সুন্দর ফুটফুটে মুখটার দিকে তাকিয়েও বলতে পারছি, ‘আহা! আহা রে জীবন!’

কিন্তু হে জীবন-মৃত্যুর ম্যানেজার, হে নাগরিকের বেঁচে থাকার অধিকারের পাহারাদার, হে মহান কর্তৃপক্ষ, হে নগরপিতাগণ এবং আপনাদের ভাইবেরাদর কমিশনার ও কাউন্সিলরগণ, হে সভাসদ– আপনারা কি পারবেন এই দুই মাতা-পিতার চোখে চোখ রেখে তাকাতে? তাদের শোক যন্ত্রণার ভয়াবহতা কোনো সাউন্ডট্র্যাকে বাজিয়ে শুনতে? কয়েকটি ঘণ্টা তাদের পাশে বসে থাকতে?

বর্ষার স্বাভাবিক বৃষ্টিতে একটা মহানগর তলিয়ে গেল। চট্টগ্রামের অবহেলায় তৈরি হওয়া বন্যায় প্রাণও গেল বিশের অধিক আদম সন্তানের। যে ভুল অবকাঠামোর শিকার এরা হলেন, এসব মৃত্যুকে কেন কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড বলা হবে না? যখন সিস্টেমের ভুল কিংবা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় কারও মৃত্যু হয়, তাকে বলা হয় কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড– স্ট্রাকচারাল কিলিং। ইয়াছিনের মতো দুধের শিশু কিংবা নিপা পালিতের মতো স্বপ্নে টগবগ করা ছাত্রীর নালায় পড়ে মৃত্যুর আর কী নাম হতে পারে?

ইয়াছিনের মা নাসরিনকে সব দেখতে হয়েছে। তাঁর চোখে নিশ্চয়ই ভাসছে এক দিন আগের সুস্থ-স্বাভাবিক প্রাণশক্তিতে ভরপুর ইয়াছিনের মুখচ্ছবি, তার দুষ্টুমি, তার ‘মা’ ডাক, তার আহ্লাদ। কিন্তু নালায় পড়ার ১৬ ঘণ্টা পরে যাকে উদ্ধার করে আনা হলো, সে কে? এই মৃত, নালার আবর্জনা মাখা, অস্বাভাবিক মৃতদেহটি কী করে তাঁর আদরের জানবাচ্চা হবে? দুটি ছবি তো মিলবার নয়!

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন