কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


উড়োজাহাজে বা পাহাড়ে উঠলে কেন কানে তালা লাগে

উড়োজাহাজে বা পাহাড়ের উঁচুতে উঠলে অনেকেরই কানে তালা লেগে যায় বা কান বন্ধ হয়ে যায়। অনেকের কানে ব্যথাও করে। এ কারণে উড়োজাহাজ উঁচুতে ওঠার সময় অনেক শিশু কাঁদে, কিন্তু মুখ ফুটে বিষয়টা বলতে পারে না। এটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া হলেও পুরোপুরি অবহেলা করা ঠিক নয়, ২৪ ঘণ্টা অবধি কানের তালা না খুললে তা দুশ্চিন্তার বিষয়।

কেন কানে তালা লাগে

আমাদের কানের একটি অংশকে ‘মধ্যকর্ণ’ বলা হয়। এই মধ্যকর্ণে বাতাস থাকে। নাক ও মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়ার সময় মধ্যকর্ণের ভেতরে থাকা বায়ু নিয়ন্ত্রিত হয়। ইউসটেকিয়ান টিউবের (মধ্যকর্ণ থেকে গলবিল পর্যন্ত নালি) মাধ্যমে বাতাস মধ্যকর্ণে প্রবেশ করে। মধ্যকর্ণের বাতাস ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকে বলেই আমাদের কানে তালা পড়ে না, আমরা ঠিকভাবে শুনতে পাই এবং আমাদের কান স্বাভাবিকভাবে কাজ করে। আমরা যখন সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অনেকটা উঁচুতে উঠি কিংবা হঠাৎ করে নিচে নামি, তখন এই বাতাসের ভারসাম্যের তারতম্য ঘটে। এর ফলেই সমস্যাটা হয়।

কতটা উচ্চতায় উঠলে কানে তালা লাগবে, তা একেকজনের বেলায় একেক রকম। এমন অনেক মানুষ আছেন, যাঁরা আট কিংবা দশতলার ওপর গেলেই কানে তালা লেগে যায়। আবার মাটির নিচে গেলেও (যেমন সাবমেরিন বা গুহায়) তা–ই ঘটে। খুব উঁচুতে বা মাটি থেকে খুব নিচে নামলে বায়ুর চাপের পরিবর্তনের ফলে কানে তালা লাগার সঙ্গে সঙ্গে কানে তীব্র যন্ত্রণা হতে পারে। অনেক সময় কান থেকে অল্প পানির সঙ্গে রক্তও বেরোতে পারে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে কানের ভেতরে পানি জমে কানের পর্দা ফুটা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ফলে কানের পর্দার স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। শ্রবণশক্তি কমে যেতে পারে।

কী করবেন

সাধারণ কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই এ সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন।

  • যাঁদের এই প্রবণতা আছে, তাঁরা প্লেনে ওঠার আগে জাইলোমেটাজোলিন–জাতীয় ওষুধ দুই নাকে চার ফোঁটা করে দিন। বিমানে ওঠার ঘণ্টাখানেক আগে এই ড্রপটি ব্যবহার করুন। বিমানে উঠে যদি অসুবিধা হয়, তাহলে আবার দুই নাকে চার ফোঁটা করে দিন।
  • চুইংগাম চিবোতে থাকুন বা একটু লজেন্স মুখে রেখে ক্রমাগত চুষতে থাকুন। এর ফলে নাকের টিউবটি খোলে এবং বন্ধ হয়। কান বন্ধভাব দূর করার খুব দ্রুত ও সহজতম উপায় এটি।
  • এ ছাড়া মাঝেমধ্যে নাক ও মুখ বন্ধ করে হালকা করে ঢোক গিলতে হবে। তবে খুব জোরে ঢোক গিলতে যাবেন না।
  • যে শিশুরা কথা বলতে শেখেনি, তারা সমস্যাটি প্রকাশ করতে পারে না। তখন শিশুটি হয়তো কান্নাকাটি করে, অভিভাবকেরা ভাবেন শিশুর হয়তো খিদে পেয়েছে কিংবা অন্য কোনো সমস্যা হচ্ছে। আসলে হয়তো তার কান বন্ধ হয়ে গেছে বা ব্যথায় অস্বস্তি হচ্ছে। শিশুদের ক্ষেত্রে নাক, কান ও গলাবিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে নাকের ড্রপ সঙ্গে রাখুন। প্রয়োজনে বিমানে ওঠার আগে ড্রপটি দুই ফোঁটা করে শিশুর প্রতি নাকে দিয়ে দিন।
  • বিমানযাত্রা শেষ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরও যদি সমস্যাটি রয়ে যায়, তবে সেই ক্ষেত্রে দেরি না করে নাক–কান–গলা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।সাধারণ কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই এ সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন।
  • যাঁদের এই প্রবণতা আছে, তাঁরা প্লেনে ওঠার আগে জাইলোমেটাজোলিন–জাতীয় ওষুধ দুই নাকে চার ফোঁটা করে দিন। বিমানে ওঠার ঘণ্টাখানেক আগে এই ড্রপটি ব্যবহার করুন। বিমানে উঠে যদি অসুবিধা হয়, তাহলে আবার দুই নাকে চার ফোঁটা করে দিন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন