কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


কত নাজিয়া-কান্তার প্রাণ গেলে ঘুম ভাঙবে

করোনার আতঙ্ক কমেছে; নতুন আতঙ্ক নিয়ে এসেছে ডেঙ্গু। অব্যবস্থাপনা তখনও ছিল, এখনও আছে। এর শেষ কোথায়! দেশে করোনার বিস্তৃতিকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিদেশে ‘বেড়াতে’ গিয়েছিলেন। ডেঙ্গু মহামারির সংকটকালে ঢাকার দুই নগরপিতার একজন সপরিবারে ১৭ দিনের জন্য বিদেশ সফরে। মেয়রের এই ভ্রমণ নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটির নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৪ থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত পারিবারিক ও ব্যক্তিগত প্রয়োজনে যুক্তরাজ্য, স্পেন, ডেনমার্ক ও সেনজেনভুক্ত দেশ ভ্রমণ করবেন। ডেঙ্গু পরিস্থিতি যখন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে, তখন এ সফর কতটা নৈতিক? নগর পুড়লে দেবালয় কি এড়ায়?

সবাই যখন ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বিগ্ন, প্রতি ২৪ ঘণ্টায় প্রাণহানির সংখ্যা যখন এক থেকে দুই অঙ্কে প্রবেশ করেছে, তখন রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি থাকলেও এমন পরিস্থিতিতে মেয়রের বিদেশ সফর বাতিল করাই উচিত ছিল।

এদিকে বাসস্থান থেকে কর্মস্থল– সর্বত্র মশার সরব উপস্থিতি। মশা মারতে সিটি করপোরেশনের বরাদ্দ বাড়ছে। মশা তো মরছে না। ২০১৮ সালে তৎকালীন কাউন্সিলর আলেয়া সারোয়ার ডেইজির মশা মারতে কামান দাগানোর দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। তা নিয়ে অনেক কৌতুক হয়েছিল। এখন যেন কৌতুক করার উপলক্ষও মিলছে না। ডেঙ্গু মোকাবিলার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন পক্ষ একে অপরকে দুষলেও ব্যর্থতার দায় নিতে সবাই নারাজ। তাহলে দায়ী কি জনসাধারণ?

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু যে হারে বাড়ছে, তা দেখে মাঝেমধ্যে শঙ্কা হয়– আমিও কি টিকে থাকতে পারব? এমন ভাবনা শুধু একার নয়; ঢাকা মহানগরীর দুটি সিটি করপোরেশনের ৯৮টি ওয়ার্ডের বাসিন্দার। ফেসবুক খুললেই চোখে পড়ে পরিচিত-অপরিচিত মানুষের মৃত্যু সংবাদ। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন মায়ের বুক খালি হচ্ছে। অকালে সন্তান হারিয়ে বাবার হাহাকার বাড়ছে। প্রিয়তমা স্ত্রী হারিয়ে স্বামী পাগলপ্রায়।

২৬ জুলাই সমকালের প্রথম পাতায় প্রকাশিত একটি সংবাদের শিরোনাম– ‘ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ৫৭% নারী’। এ সংবাদে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে আছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এস এম নাজিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক কান্তা বিশ্বাস ও রাজধানীর আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী সৈয়দা সাদিয়া ইয়াসমিন রাইসা। এ তিনজনই প্রতিষ্ঠিত, সচেতন ও অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল। তারা সময়মতো হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং সর্বোচ্চ সেবা পেয়েছেন। এর পরও অকালে নিভে গেছে জীবনপ্রদীপ। আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা নাজিয়ার সঙ্গে পরপারের বাসিন্দা হয়ে গেল তাঁর অনাগত সন্তান। একই অবস্থা কান্তার। নাজিয়া সিনিয়র সহকারী সচিব; স্বামী অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব। এ কারণে তাদের পক্ষে ভালো একটি হাসপাতালে চিকিৎসা পাওয়া যতটা সহজ, আমজনতার পক্ষে ততটাই কঠিন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন