অধিকাংশ ভ্রমণকারীই অতিরিক্ত জিনিসপত্র নিয়ে ভ্রমণে বের হন, যার অর্ধেকও ব্যবহার করতে দেখা যায় না। অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ভ্রমণকালে বহন করা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ভ্রমণটাও বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। তাই ভ্রমণের স্মার্ট প্যাকিং সম্পর্কে জেনে নিন...
যান্ত্রিক জীবনে ব্যস্ততার ভিড়ে সুযোগ পেলে অনেকেই কোথাও বেড়াতে বেরিয়ে পড়েন। ভ্রমণে কী কী এবং কতটা প্রয়োজন, তা নিয়ে অনেকেই চিন্তায় থাকেন। গন্তব্য দূরে বা কাছে যেখানেই হোক না কেন অন্যতম কাজ ব্যাগ গোছানো। এ প্রসঙ্গে ‘হাউ টু প্যাক : ট্রাভেল স্মার্ট ফর এভরি ট্রিপ’ বইয়ের লেখক হিথা পালেপু বলেন, ‘অধিকাংশ ভ্রমণকারীই অতিরিক্ত জিনিসপত্র নিয়ে ভ্রমণে বের হন, যার অর্ধেকও ব্যবহার করতে দেখা যায় না। অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ভ্রমণকালে বহন করা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ভ্রমণটাও বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। তাই ভ্রমণের স্মার্ট প্যাকিং সম্পর্কে জেনে নিন।
রোল করে কাপড় প্যাক: অল্প জায়গায় বেশি কাপড় গোছানোর সর্বোত্তম উপায় হতে পারে রোল পদ্ধতি। ওপরের দিকে মুখ নিচু করে স্লিভগুলো নিচে থেকে ওপরের দিকে রোল করুন। প্যান্টের ক্ষেত্রে পা একসঙ্গে রেখে কোমর থেকে নিচে রোল করুন। জুতাসহ আনুষঙ্গিক জিনিস স্যুটকেসের একপাশে রাখুন।
ভ্রমণবান্ধব কাপড়: ঋতু বা আবহাওয়া অনুযায়ী ভ্রমণের কাপড়চোপড় বাছাই করুন। পোশাকে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করলে ভ্রমণ আনন্দদায়ক হবে না। তাই ভ্রমণে আরামদায়ক লিনেন বা সুতির কাপড় বেছে দিন।
প্রথম পরার পোশাকটি ওপরে রাখুন: পরিকল্পনা যদি থাকে গন্তব্যে পৌঁছেই ঘুরতে বেরিয়ে পড়বেন, তাহলে কোন পোশাকটি তখন পরবেন সেটি ভাবুন। সে অনুযায়ী অবশ্যই পোশাকটি ব্যাগ বা স্যুটকেসে সবকিছুর ওপরে রাখুন।
ভারী জিনিসপত্র : স্যুটকেস বা ব্যাগ যদি চাকাযুক্ত হয়, তবে ভারী জিনিসপত্র (যেমন– জুতা, বই ইত্যাদি) নিচের দিকে রাখুন। জায়গাটা ব্যাগটিকে সোজা, স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি জিনিসপত্র এলোমেলো করা থেকে বিরত রাখবে।
শুকনো ক্লিনিং ব্যাগ: ঝরনা বা সাগরে ঝাঁপাঝাঁপির পর প্রায় সময়ই কাপড়চোপড় শুকানোর সুযোগ থাকে না। তাই শুকনো পলিথিন বা প্লাস্টিকের ব্যাগ সঙ্গে রাখুন। এতে ভেজা বা অপরিষ্কার কাপড়গুলো সহজে বহন করতে পারবেন। এমনকি পরিষ্কার ও অন্যান্য জিনিসপত্র থেকেও আলাদাভাবে রাখতে পারবেন। ব্যাগ ঝাঁকুনি দিলে বা ওলটপালট হলেও পরিষ্কার-অপরিষ্কার মিশবে না। অতিরিক্ত প্যাকিং এড়িয়ে চলুন।