কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বিদ্যুৎ বিপ্লবের দাম, দেনা ও দায়

সমকাল ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব প্রকাশিত: ০৭ মে ২০২৩, ০১:৩০

দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ২৪ হাজার মেগাওয়াট, অথচ গ্রীষ্মের তাপদাহে চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন দেড় থেকে দুই হাজার মেগাওয়াট কম। ২০২২ সালের ১ নভেম্বর বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু সংসদকে জানিয়েছিলেন, ‘২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতে ২ হাজার ৮৩০ কোটি ডলার (২৮ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার) বিনিয়োগ হয়েছে। এর মধ্যে বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৯৭৩ কোটি ডলার বিনিয়োগ হয়েছে।’ পুরোটাই হয়েছে এই সরকারের আমলে। প্রশ্ন হচ্ছে, ২৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেও কেন মানুষকে দুঃসহ লোডশেডিং থেকে বাঁচানো গেল না? কেন সক্ষমতার চাইতে প্রায় ১০ হাজার মেগাওয়াট কম বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে? গত এপ্রিল মাসেও যখন সর্বোচ্চ ১৪-১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে, তখনও ঘাটতি থেকেছে ১-২ হাজার মেগাওয়াট।


প্রশ্ন হচ্ছে, সক্ষমতার ধারেকাছেও উৎপাদন করা যাচ্ছে না কেন? যেমন গত ১২ এপ্রিল জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মোট উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ২৩ হাজার ৩৩২ মেগাওয়াট। সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১৫ হাজার ১৫৪ মেগাওয়াট, অর্থাৎ সক্ষমতার তুলনায় ৮ হাজার ১৭৮ মেগাওয়াট কম। তারপরও সেদিন ৭৭৬ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হয়েছে। কারণ সেদিন ১৫৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র সক্রিয় ছিল, যার মধ্যে ৪৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের (৩১.৪%) ইঞ্জিন-যন্ত্রপাতির সমস্যা ছিল, ৩৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র (২২.২%) জ্বালানি সংকটে ভুগেছে এবং ১২টি বিদ্যুৎকেন্দ্রে (৭.৮%) মেরামতের কাজ চলছিল। অর্থাৎ ৯৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র (৬১.৪%) ঠিকমতো চলেনি, মাত্র ৩৫ শতাংশ বিদ্যুৎকেন্দ্র ঠিকঠাক চলেছে।


ওদিকে তেল আমদানির বকেয়া জমেছে ৪ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা। এ অবস্থায় বিপিসিকে তেল সরবরাহ না করার কথা জানিয়েছে সাত বিদেশি প্রতিষ্ঠান। মূলত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ডলার সংকটের কারণে এলসির বকেয়া পরিশোধ করা যাচ্ছে না। জ্বালানি তেল সরবরাহ বাবদ বিপিসির কাছে পাওনাদার প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সিঙ্গাপুরভিত্তিক ভিটল এশিয়া, চীনা প্রতিষ্ঠান ইউনিপেক, সংযুক্ত আরব আমিরাতের এমিরেটস ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি (ইএনওসি), ভারতীয় আইওসিএল, ভারতীয় নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল), সিঙ্গাপুরের পেট্রো চায়না ও ইন্দোনেশিয়ার বুমি সিয়াক পুসাকো (বিএসপি) উল্লেখযোগ্য। সর্বশেষ ইন্ডিয়ান অয়েল কোম্পানি লিমিটেড (আইওসিএল) পাওনা আদায়ে ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও