কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


একটি আনন্দ সংবাদ

গভীর রাতে মাইকিং-এর শব্দে ঘুম ভেঙে গেল। গ্রামে দিন-রাত যখন-তখন মাইকিং করতে কোন বিধি নিষেধ নেই। ঘুমানোর এক ঘণ্টা পূর্বে ঈদের ছুটিতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ক্লান্ত শরীরে খুব দ্রুত শুয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ মাইকের শব্দে জেগে শুনতে চেষ্টা করলাম আসলে কি বলা হচ্ছে। সিনেমার বিজ্ঞাপণের মতো দু’থেকে তিনবার করে বলা হচ্ছিল- ‘একটি আনন্দ সংবাদ’। ভাবলাম কিসের আনন্দ সংবাদ এত রাতে?

কোথায় ঘুমিয়েছি এটা বুঝে উঠতে একটু সময় লাগলো। বিছানায় উঠে বসলাম। মনযোগ দিয়ে যা শুনলাম তা হলো- ‘একটি বিশাল আড়িয়া গরু জবাই হবে। স্থানীয় ওকড়াবাড়ি হাটের পাশের মাঠে, ভোর পাঁচটায়। আগেভাগে না আসলে মাংস শেষ হয়ে যাবে।’

বলতে বলতে বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে অটোরিকশায় বয়ে নেওয়া মাইকের শব্দ দূরে গিয়ে মিলিয়ে গেল। আমি আবার ঘুমানোর চেষ্ট করলাম। বিদ্যুৎ চলে গেল। আইপিএস সংযোগ নিয়ে ফ্যানটা ক্যাঁ ক্যাঁ শব্দ করে ঘুরতে থাকলো। এই বাড়ির আগন্তুক প্রায় সবাই শহুরে। বাড়িতে আসে কালেভদ্রে, ঈদ বা কোন অনুষ্ঠানে। মানুষ কম থাকায় এ ঘরে দীর্ঘদিন কেউ ঘুমায়নি। তাই আইপিএসের ব্যাটারিতে পানি-চার্জ নেই। দু’পাশের জানালা খুলে দিলাম। বাইরের বাতাস বেশ শীতল। ফজরের আযান হয়ে যাওয়ায় তাৎক্ষণিক আর ঘুমানো হলো না। নামাজ শেষে আমার পিতা, দাদি ও পাশাপাশি থাকা স্থানীয়দের কবর জিয়ারত করলাম। আমার উপস্থিতি টের পেয়ে পাশে অনেকে এসে জড়ো হতে থাকলো।

মনে হলো আর কোন ক্লান্তি নেই। ঘুমের চেয়ে আজ গল্পই ভাল। কথা প্রসঙ্গে রাতের মাইকিং উঠে আসলো। বললাম, আগামীকাল ঈদ। তোমরা কেউ ‘আড়িয়া গরুর মাংস’কিনবে না? একজন বলল, এখন দু’একদিন পর পর বড় বড় আড়িয়া জবাই করা হয়। আমার কেনার ইচ্ছা আছে। তবে আজ নয়, ঈদের চাঁদ উঠলে সেইরাত ভোরে আরও বড়, আরও মোটাতাজা গরু জবাই হবে। তখন কিনবো। রোজার ঈদের সময় এটাই স্বাভাবিক। বাইরে চাকরি করা বহু লোক গ্রামে আসে ঈদ করতে। তাই এসময় বিক্রিও হয় প্রচুর। তবে কোরবানির ঈদে এটা নেই।

বুঝলাম, এটা এখন গ্রামের কৃষ্টিতে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। ছোট্ট হাট অনেক বড় হয়েছে। অজো পাড়াগাঁয়ের রাস্তায় দিনরাত অসংখ্য অটোরিকশা চলাচল করে। আমাদের ছোটবেলায় এই হাট সপ্তাহ দু’দিন বসলেও কখনও গরু-মহিষ জবাই করতে শুনিনি। আজকাল সপ্তাহে কমপক্ষে দু’টি গরু জবাই হয়। সব মাংস ফুরিয়ে যায়। কোন কোন দোকানে ডিপফ্রিজে সংরক্ষণ করে সার্বক্ষণিক বিক্রির ব্যবস্থা আছে। তবে গ্রামের মানুষ তাজা কিনে খেতে ভালোবাসে। তাই ক্রেতা আকর্ষণের জন্য ঘন ঘন গরু জবাই করার মাইকিং চলে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন