কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


সঞ্চয়পত্রের ঋণ কমছে, বাড়ছে ব্যাংক খাতের

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেওয়ার অঙ্ক কমিয়ে আনছে সরকার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ঘাটতি বাজেট মেটাতে চলতি বছরের তুলনায় কমপক্ষে ৭ হাজার কোটি টাকা কম ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। অর্থ বিভাগের বিশ্লেষণ হলো-সঞ্চয়পত্রের ঋণের সুদ উচ্চহারে পরিশোধে অস্বাভাবিক ব্যয় বেড়েছে। ব্যয় কমিয়ে আনতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আইএমএফ’ও এক্ষেত্রে সুদ ব্যয় কমিয়ে আনতে শর্ত দিয়েছে। তবে ঘাটতি পূরণে ব্যাংক খাত থেকে ঋণ বেশি নেওয়া হবে।

অর্থনীতিবিদদের অভিমত, সঞ্চয়পত্র বিক্রির রেশ টানা হলে নিু ও মধ্যবিত্তরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সঞ্চয়পত্র কিনে যারা সংসার পরিচালনা করছেন, তারা বিপদে পড়বেন। অপরদিকে, ব্যাংক খাত থেকে বেশি ঋণ নেওয়া হলে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সংকটের মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর এটি হলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আর এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারকে আগামী দিনে টাকা ছাপিয়ে চলতে হতে পারে বলে আশঙ্কার কথাও শুনিয়েছেন তারা।

সম্প্রতি অর্থনৈতিক সংক্রান্ত কো-অর্ডিনেন্স কাউন্সিল বৈঠকে সরকারের ঋণ পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে মোট অভ্যন্তরীণ ঋণের ২০ শতাংশ সঞ্চয়পত্র থেকে এবং বাকি ৮০ শতাংশ ব্যাংক থেকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত অর্থ বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা যুগান্তরকে জানান, সঞ্চয়পত্র নিয়ে আইএমএফ-এর শর্ত ও আমাদের চিন্তা একই। কারণ, সঞ্চয়পত্রকে সামাজিক নিরাপত্তা টুলস হিসাবে সরকার বিবেচনা করে। কিন্তু পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সঞ্চয়পত্র ক্রেতাদের ৯৭ শতাংশের বিনিয়োগের পরিমাণ ৫ লাখ টাকার ওপরে। সঞ্চয়পত্র এখন আর নিু-আয়ের মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। অনেক মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তরা এ খাতে বিনিয়োগ করছেন। এখন প্রশ্ন-সরকার উচ্চহারে সঞ্চয়পত্রের সুদ কাদের দিচ্ছে? কারা এই সুদের সুবিধাভোগী। এখানে আইএমএফও একই প্রশ্ন তুলছে। যে কারণে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেওয়ার অঙ্ক পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনবে সরকার। সাধারণত প্রতিবছর ঘাটতি রেখে বাজেট ঘোষণা হয়। ঘাটতি পূরণে দুটি উৎস থেকে ঋণ নেওয়া হয়। প্রথমত বৈদেশিক এবং দ্বিতীয়ত অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেওয়া হয়। অর্থ বিভাগের হিসাবে আগামী অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি মেটাতে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেওয়ার প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা হলো ২৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থবছরে এ ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ৩২ হাজার কোটি টাকা। সে হিসাবে নতুন বাজেটে কমপক্ষে ৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ কম নেওয়া হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন