কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে মার্কিন প্রত্যাশার ইতি-নেতি

গণতন্ত্র একটি পরীক্ষা-নিরীক্ষানির্ভর পদ্ধতি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র রয়েছে। তারা তাদের মতো করে গণতন্ত্র চর্চা করে। গণতন্ত্রে যে কোনো ঘাটতি নেই– এ কথা বলা যায় না। সম্ভবত এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সম্প্রতি আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী আমেরিকার গণতন্ত্র সম্পর্কে কিছু কথা বলেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কয়েক বছর আগে একটি বই লিখেছিলেন। আমেরিকার হয়ে দুই মেয়াদে আট বছর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ওবামা সেখানে বলেছেন, ইউনাইটেড স্টেটস ইজ দ্য লার্জেস্ট এক্সপেরিমেন্ট ইন ডেমোক্রেসি। তিনিও দাবি করেননি যে তাঁরা গন্তব্যে পৌঁছে গেছেন। তার মানে, তাঁরাও দাবি করেননি তাঁদের দেশ গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ আসনে আছে কিংবা তাঁদের গণতন্ত্রে কোনো ঘাটতি নেই। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই আমাদের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যটি ব্যাখ্যা করতে হবে। যেহেতু গণতন্ত্র একটি মনুষ্যসৃষ্ট বিষয় বা পদ্ধতি, তাই এতে ঘাটতি থাকবে– এটা স্বাভাবিক। যাঁরা গণতান্ত্রিক এই ব্যবস্থাটি আবিষ্কার করেছেন, তাঁরাও বলতে পারেন না– এটি কোনো প্রকার ত্রুটিমুক্ত পদ্ধতি। তবে এখন পর্যন্ত মানুষ যতগুলো শাসনপদ্ধতি আবিষ্কার করেছে, তার মধ্যে গণতন্ত্র সবচেয়ে ভালো একটি পদ্ধতি।

আমরা যদি আমেরিকা-বাংলাদেশ সম্পর্কের দিকে তাকাই, তবে দেখতে পাব– মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক শুধু দ্বিপক্ষীয় নয়। এই সম্পর্কের বহুমাত্রিক স্তর রয়েছে। এ ছাড়া আছে কৌশলগত দিক। একটা বিষয় মনে রাখা দরকার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের জন্য নির্ভরযোগ্য, শক্তিশালী বন্ধু। আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও বাংলাদেশ নির্ভরযোগ্য বন্ধু।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭২ সালের ৪ এপ্রিল আমাদের দেশকে স্বীকৃতি দেয়। অনেকে বলেন, এটা কি দেরি হয়ে গেল? আমিও মনে করি, আগেই দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু অপরপক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি বৈশ্বিক শক্তি, পরাশক্তি হিসেবে তার বৈশ্বিক অগ্রাধিকার আছে। সেই অগ্রাধিকারের কারণেই যুদ্ধের সময় যে দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছিল, সেটা থেকে সরে এসে আমাদের স্বীকৃতি দিতে হয়েছে। নব্বই দশকে এসে সেই সম্পর্কের গুণগত উন্নয়ন লক্ষ্য করলাম। তৈরি পোশাক রপ্তানি করা শুরু করলাম। এরপর ১০ থেকে ১৫ বছর এভাবেই গেল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের মধ্যে বড় মুক্তবাজার। কিন্তু তৈরি পোশাক যেটা আমরা পাঠাই, সেটার শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়নি।

আবার ২০০১ সাল থেকে সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকাণ্ডে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। ২০০৬-০৭ সালে যখন আমাদের গণতান্ত্রিক কাঠামো একটি প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়ে তখন গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তনের জন্য দেশটি জোরালো ভূমিকা পালন করেছে।

একই সময়ে আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতি হতে থাকল। এতে তারাও মনে করল, এখন আমাদের সঙ্গে ব্যবসা করা যায়। তারাও জানে, এভাবে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে গেলে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে চলে যাবে। কিন্তু তখন বর্তমানে প্রাপ্ত অনেক সুবিধা দেশটির জন্য মিলবে না। তাই বাংলাদেশের সক্ষমতা অনেক বাড়াতে হবে। এ প্রক্রিয়ার অন্যতম অংশ হলো স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা। এটা না হলে বাইরে থেকে বিনিয়োগ আসবে না। বিনিয়োগ না এলে উন্নয়নের ধারা ধরে রাখা যাবে না। এসব কারণে ২০১২ সাল থেকে সম্পর্কটাকে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক জায়গায় নিয়ে গেছি। এখন পার্টনারশিপ, ইকোনমিক, সিকিউরিটি ডায়ালগসহ আরও কিছু ডায়ালগ হয়। এতে সম্পর্কটা একটি কাঠামোতে আসে। তবে এই কাঠামো খুব শক্তিশালী হয়েছে, তা মনে করি না। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে হলে আমাদের এগুলোতে আরও মনোযোগী হতে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন