কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


সাংবাদিকতা বাঁচাতে পারে কে?

গতকাল ৮ এপ্রিল দৈনিক প্রথম আলোয় ‘সাংবাদিকেরাই কেবল সাংবাদিকতাকে বাঁচাতে পারেন’ শিরোনামে মাহফুজ আনামের লেখা একটি নিবন্ধ ছাপা হয়েছে। কাক কাকের মাংস খায় না, এই আপ্তবাক্য মিথ্যা করে দিয়ে এ দেশে সম্প্রতি যারা স্বজাতিমাংসভক্ষণের কার্নিভাল জমিয়ে তুলেছে, তারাই যে ডেইলি স্টার সম্পাদকের নিবন্ধটির লক্ষ্যবস্তু তা বুঝতে কষ্ট হয় না। নিবন্ধের এক জায়গায় তিনি লিখেছেন: ‘কেউ চায় না আমরা স্বাধীন থাকি, বস্তুনিষ্ঠ থাকি এবং সত্য বলি। এখানেই আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ এবং এ কারণেই চিন্তা ও চেতনার পার্থক্য থাকলেও আমাদের সবাইকে একসঙ্গে থাকতে হবে।’

বিষয়টি যেন এমন যে সাংবাদিকদের মধ্যেকার ঐক্যহীনতা বা বিভেদই বাংলাদেশের সাংবাদিকতার জীবনমরণ সমস্যা। তারা ঐক্যবদ্ধ হলেই সে সমস্যা কেটে যাবে, তখন সাংবাদিকতাকে বাঁচানোর জন্য আর কাউকে প্রয়োজন হবে না। মাহফুজ আনাম শিরোনামে ‘কেবল’ শব্দটা ব্যবহার করেছেন এবং নিবন্ধজুড়েই কেবল বা শুধুর সুরই ধ্বনিত হয়েছে। এর ফলে তাঁর বক্তব্য খণ্ডিত বা অসম্পূর্ণ বলে আমার মনে হয়েছে। অবশ্য বুঝতে কষ্ট হয়নি যে তিনি কথাগুলো লিখেছেন পেশাগত আপনজনদের আরও আপন করে পাওয়ার মনোবাঞ্ছা থেকে এবং সম্ভবত সে কারণে খেয়াল করেননি যে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়াকে এই পেশাজীবীদের ‘মূল চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে নির্ধারণ করার মধ্য দিয়ে একটা সংকীর্ণ দৃষ্টিকোণের প্রকাশ ঘটেছে। সেখানে আর কাউকেই গুরুত্বপূর্ণ ভাবা হচ্ছে না, এমনকি সংবাদমাধ্যমের পাঠক-দর্শক-শ্রোতাকেও নয়। যেহেতু অনেকেই চায় না আমরা সাংবাদিকেরা স্বাধীন থাকি, তাই কাউকেই আমাদের প্রয়োজন হবে না যদি আমরা নিজেরা ঐক্যবদ্ধ হই এবং ঐক্যবদ্ধ থাকি; আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ আমাদের কিছু করতে পারবে না– এ রকম দৃষ্টিভঙ্গি ঠিক নয় বলে আমি মনে করি।

তার মানে এটা নয় যে আমি বলতে চাচ্ছি সাংবাদিকদের মধ্যে ঐক্যের প্রয়োজন নেই। সে প্রয়োজন অবশ্যই আছে, কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতা এমন যে সাংবাদিকতা রক্ষা করার জন্য পর্যাপ্ত ক্ষমতা বা শক্তি ‘সাংবাদিক’ নামক পেশাজীবী সম্প্রদায়ের হাতে এককভাবে নেই। প্রায়োগিক ও নৈতিক উভয় ক্ষেত্রে এই কথা প্রযোজ্য। এই সম্প্রদায় কী বিষময়রূপে বিভক্ত, তা তো খালি চোখেই দেখা যাচ্ছে, এবং সে কারণেই তো মাহফুজ আনামের এই সনির্বন্ধ আহ্বান। কিন্তু যদি কখনও এই দেশের সব মত ও পথের সব সাংবাদিক ঐক্যবদ্ধ হনও (এটা একটি শুভকামনা, বাস্তবে সম্ভবপর বলে প্রতীয়মান হয় না), তবু তাদের পক্ষে দমনপীড়নমুক্ত স্বাধীন সাংবাদিকতা চর্চার অধিকার সুরক্ষিত করার পর্যাপ্ত ক্ষমতা অর্জন করা কঠিন হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন