কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কেন মিয়ানমারের ফাঁদে পা দিল

সম্প্রতি মিয়ানমারের সামরিক জান্তার একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে এসে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছে। এক হাজার রোহিঙ্গা ফেরত নেওয়ার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তারা প্রায় সাত শ জনকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করেছে। এর আগে মিয়ানমার সরকারের তরফে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে পর্যায়ক্রমে প্রত্যাবাসনের ইচ্ছা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল।

সেখানে বলা হয়েছিল এ পদক্ষেপের পেছনে চীনের কূটনৈতিক মধ্যস্থতা কাজ করছে। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তৎপর হয়ে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশীদার হয়েছে এবং সে কারণেই মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফর ও ক্যাম্পে বাছাই করার মতো ঘটনা ঘটেছে। অবশ্য আন্তর্জাতিক পর্যায় ও রোহিঙ্গাদের জোর আপত্তির কারণে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ এ প্রক্রিয়া থেকে সরে এসেছে।

এর আগে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঢল নামার তিন মাসের মাথায় মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্বাক্ষরের পর আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোয় আশাবাদী হয়ে উঠেছিল। কিন্তু মিয়ানমার গত পাঁচ বছরে শরণার্থীদের ফেরত নেওয়ার উদ্যোগ নেয়নি। সেই পুরোনো সমঝোতাকাঠামোর আওতাতেই এবারের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। তবে এখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলছেন অন্য কথা। তিনি বলেছেন, জাতিসংঘ বা আসিয়ানের মতো সংস্থা এ প্রক্রিয়ায় সমর্থন দেয়নি এবং যেহেতু তাদের মধ্যস্থতার প্রয়োজন, তাই এ পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে জাতিসংঘ বলেছে, এ ধরনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংস্থাটি যুক্ত নয়। কারণ, তাদের মতে রাখাইন অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার মতো পরিবেশ তৈরি হয়নি।

এখন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের এই নতুন দ্বিপক্ষীয় পদক্ষেপে সম্মতি দিল কেন? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন বা সমর্থন না থাকলে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার প্রতিনিধিরা ঘটা করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ঘোষণা দিয়ে শরণার্থীশিবির পরিদর্শন করেন কীভাবে? এ পদক্ষেপ যে মিয়ানমারের একধরনের ফাঁদ, তা আমাদের বুঝতে এত দেরি হলো কেন? মিয়ানমারের এ পদক্ষেপ যে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে) এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনের চোখে ধুলা দেওয়ার চেষ্টা, তা বুঝতে তো বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কি বিষয়টি বুঝেও বুঝতে চায়নি, নাকি অন্য কোনো কারণে ‘ঢোঁক গিলতে’ হয়েছিল।

মিয়ানমারের বর্তমান সামরিক সরকারকে বিশ্বাস করার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, এমন বলা যাবে না। তাদের হাতেই ২০১৫-১৭ সালে রোহিঙ্গারা নির্যাতন ও নিধনযজ্ঞের শিকার হয়ে রাখাইন রাজ্য থেকে বিতাড়িত হয়েছিল। এই জান্তাপ্রধানের তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের বসতবাড়িগুলো জমিনের সঙ্গে মিশিয়ে ওই সব জায়গায় এখন পুলিশ আর সেনাছাউনি তৈরি করা হয়েছে। মিয়ানমার সরকার যদি রোহিঙ্গাদের অধিকার ফিরিয়ে পুনর্বাসন করতে সত্যিই আগ্রহী হতো, তাহলে দক্ষিণ রাখাইন অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ ক্যাম্পে মানবেতর জীবন যাপন করা প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গাকে তারা আগে পুনর্বাসনের পদক্ষেপ নিত। সেটা না করে তারা যখন হঠাৎ বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে উদ্যোগী হয়ে ওঠে, তখন বুঝতে হবে এর পেছনে নানা কিছু কাজ করছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন