কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


জোট সম্প্রসারণের ১৪ দলীয় সংকট

২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পরপর ১৪ দলীয় জোটের প্রধান শরিক আওয়ামী লীগের সঙ্গে অন্য শরিকদের যে টানাপোড়েন শুরু হয়; এক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে জোট নেতাদের বৈঠকের মধ্য দিয়ে তার সমাপ্তি ঘটেছে বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় মনে হচ্ছে, ওই সংকট আসলে কাটেনি। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জোটসঙ্গীদের আশ্বস্ত করেন– দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন তাঁরা একসঙ্গেই করবেন। কিন্তু গত ১৩ মার্চ ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর বাসায় ১৪ দলের বৈঠকে শরিকদের পক্ষ থেকে আবারও অভিযোগ করা হয়– আওয়ামী লীগ ‘একলা চলো’ নীতিতেই অটল।

এ প্রসঙ্গে একটি ইংরেজি দৈনিকের অনলাইন সংস্করণে বলা হয়েছে– সভায় জোটের অন্যতম শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন প্রশ্ন তুলেছেন, “আওয়ামী লীগ এরই মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে এবং ‘নৌকা’ প্রতীকের জন্য ভোট চাইছে। তাহলে আমরা কোথায়? আমাদেরও কি নিজেদের মতো করে প্রচারণা শুরু করা উচিত? আমাদের নির্বাচনী প্রতীকে ভোট চাওয়া শুরু করা উচিত?” একই সভায় বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়াও আগামী জাতীয় নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ছেলেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার সমালোচনা করেন। তাঁর প্রশ্ন ছিল, ‘মোশাররফ হোসেনের ছেলে কেন প্রার্থী হবেন? আমাকে কেন মনোনয়ন দেওয়া হবে না?’ বৈঠকে যদিও আমু এটা স্পষ্ট করেন– আওয়ামী লীগ ১৪ দলীয় জোট নিয়েই পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এবং শরিকদের নিয়ে বৈঠক করেই আসন ভাগাভাগি করা হবে; তাতে শরিকরা কতটুকু আস্বস্ত হয়েছেন– সন্দেহ।

স্মরণ করা যেতে পারে, বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ছয় সংসদীয় আসনে গত ১ ফেব্রুয়ারি যে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাতে ওয়ার্কার্স পার্টিকে আওয়ামী লীগ ঠাকুরগাঁও-৩ আসনটি ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু রাশেদ খান মেননের অভিযোগ অনুসারে শাসক দলের অসহযোগিতার কারণে দলটি সেখানে পরাজিত হয়। ফলে জোট চর্চায় আওয়ামী লীগের আন্তরিকতা নিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির অভিযোগ নিছক কথার কথা নয়।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর ১৪ দলে সৃষ্ট টানাপোড়েনের কারণটাও এ প্রসঙ্গে মনে রাখা দরকার। একসঙ্গে নির্বাচন করলেও নির্বাচনের পর খোদ প্রধানমন্ত্রী ১৪ দল শরিকদের ‘নিজের পায়ে দাঁড়ানো’র পরামর্শ দিয়ে শুধু নিজ দলের লোকদের নিয়ে সরকার গঠন করেন। এমনকি তখন আওয়ামী লীগ যে বিজয় সমাবেশ করে, তাতেও জোট শরিকদের কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই এতে শরিক দলগুলোর নেতারা প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এমনকি তাঁরা ২০০৪ সালে ১৪ দল গঠনকালে ‘একসঙ্গে আন্দালন, একসঙ্গে নির্বাচন ও একসঙ্গে সরকার গঠন’-এর প্রতিশ্রুতি ভঙ্গেরও অভিযোগ আনেন শাসক দলের বিরুদ্ধে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন