কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


ডাক্তার যখন পুলিশ ও প্রধানমন্ত্রীর আক্ষেপ

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি এক সভায় অকপটে মন্তব্য করেছেন, আমাদের মধ্যে যাঁরা ডাক্তার হন, তাঁরা হয় পুলিশের চাকরিতে চলে যান অথবা রাজনীতিবিদ হয়ে যান। তাঁরা ডাক্তারিও করেন না, গবেষণাও করেন না। তাঁর মতে, বিজ্ঞান ও কৃষিতে কিছু গবেষণা হচ্ছে, কিন্তু স্বাস্থ্য খাতে তা নেই বললেই চলে।

তিনি আরও যুক্ত করেন, আরেক শ্রেণির ডাক্তার শুধু টাকা কামাই করতে ব্যস্ত, তাঁরা সরকারি চাকরিও করবেন, আবার প্রাইভেট প্র্যাকটিসও করবেন। প্রধানমন্ত্রীর এ মন্তব্যের তিনটি দিক ভেসে উঠেছে। সেগুলো হলো, স্বাস্থ্য খাতে গবেষণার আকাল, সরকারি চাকরিতে পেশাদারির নৈরাজ্য এবং সমাজ মনস্তত্ত্বে ক্ষমতা খাটিয়ে দ্রুত পয়সা করার বাতিক ও সুযোগের উপস্থিতি।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর স্বভাবসুলভ স্বাচ্ছন্দ্য থেকে এই উক্তি করলেও এখানে সমাজ মনস্তত্ত্বে যে দ্রুত ধনী হওয়ার দর্শন আমাদের গ্রাস করে ফেলেছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। আমাদের কৈশোর শিক্ষার মধ্যেও আমরা তা সযতনে লালন করে যাচ্ছি। ছোটবেলায় ‘আমার জীবনের লক্ষ্য’ রচনা পড়ে মনে হয়েছে ইহজগতে ডাক্তার হওয়া ছাড়া আর কোনো লক্ষ্য থাকা সম্ভব নয়। মানবসেবার জন্য ওটাই একমাত্র পথ। মাদার তেরেসার সেবালয়, পথকলিদের ইশকুল কিংবা বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের মডেল কোনো সমাজসেবা নয়। আমি লিখেছিলাম, ‘কবি হব।’ স্যার নম্বর ভালো দিলেও উৎকণ্ঠিত হয়ে ডেকে বললেন, ‘কবি হলে খাবে কী করে?’ স্যারও বিশ্বাস করতেন শিক্ষা মানে আলো। কিন্তু আলোর পাশাপাশি যে আলু কেনার পয়সাও থাকতে হবে, সেটা সতর্ক করে দিতেই স্যার তাঁর শিষ্যকে কাছে ডেকেছিলেন।

ডাক্তার হওয়ার পেছনে সেবাদানের মহান বাণীর চেয়ে পাহাড়তুল্য সম্পদ সঞ্চয়নের বাসনা যে কোনো অংশে কম নয়, তা ঠাহর করলাম বিদেশে এসে। এখানে ডাক্তার আর আইনজীবী হতে পারলে ইহকাল তো রমরমাই, এমনকি পরকালের জন্যও ফ্ল্যাট কিনে রাখা যায়। ছেলে বা মেয়ে ডাক্তারিতে চান্স পেলে বাঙালির আড্ডায় সংবাদ শিরোনাম হয়ে যায়। সামান্য ভালো ফলাফল করার পরও আমার ছেলেমেয়েকে কেন ডাক্তারি পড়ালাম না, এই দুশ্চিন্তায় কয়েক ঘর বাঙালি চার রাত ঘুমাতে পারেনি। অবশেষে আমাকে ‘বুদ্ধিনাশা’ ভেবে ওরা মনে সান্ত্বনা নিয়েছে এবং আমার সঙ্গে কথাবার্তা কমিয়ে দিয়েছে।

বাংলাদেশে ডাক্তারদের আয়–উপার্জন বিদেশের মতো না হলেও মোটামুটি বেশ ভালো। এর কারণ উচ্চ চাহিদার বিপরীতে ডাক্তারের সংখ্যাস্বল্পতা এবং বাংলাদেশিদের আয় বৃদ্ধি। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী পাকিস্তানে এক লাখ মানুষের জন্য ডাক্তারের সংখ্যা ১১২, ভারতে ৯৩ আর বাংলাদেশে তা মাত্র ৬৪। দারিদ্র্য কমলে ডাক্তারের আয় বাড়ে। ১৯৯১ সালে এ দেশের দারিদ্র্য ছিল ৫৭ শতাংশ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন