কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

একুশে ফেব্রুয়ারি: বাংলা ভাষার মহিমা

www.ajkerpatrika.com মামুনুর রশীদ প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০৮

বসন্তকালের নয়া উৎসবের শহর কলকাতায় এসেছি ১৯ ফেব্রুয়ারি। এবারের আগমনের উদ্দেশ্য একুশে ফেব্রুয়ারি পালন। আমন্ত্রণ করেছে ভাষা ও চেতনা সমিতি, কর্ণধার হচ্ছেন লেখক-অধ্যাপক ইমান-উল-হক। একাডেমি অব ফাইন আর্টসের সামনে মুক্তমঞ্চে এই অনুষ্ঠান হয়ে আসছে ২৫ বছর ধরে। ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সেই সঙ্গে বাংলা ভাষার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা এখানে সমবেত হন। এবারের উদ্বোধনের দায়িত্ব পালন করেছি আমি।


অন্যান্য বছরে শুধু ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা থেকে একুশের ভোরে প্রভাতফেরি করে অনুষ্ঠান শেষ হতো। এবারে তা তিন দিন করা হয়েছে। ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে আলোচনা অনুষ্ঠান, সংগীত, আবৃত্তি, নাটক, নৃত্যানুষ্ঠান শেষ হয় রাত ১২টায়। আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনজনই নাটকের মানুষ। মনোজ মিত্র, দেবাশীষ মজুমদার এবং আমি। ২০ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন বিকেল সোয়া ৫টায়। উদ্বোধনী আলোচনায় ভাষার শক্তি, ভাষার প্রতি দায়িত্ব এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য নিয়ে মূলত একটিই বক্তৃতা হলো। আমার বক্তৃতার পরই শুরু হয় একুশের গান। প্রখ্যাত গণসংগীতশিল্পীরা সংগীতানুষ্ঠানে অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়, যাঁর ‘আমি বাংলায় গান গাই’ বাংলা ভাষাভাষী মানুষকে অনেক দিন ধরেই মাতিয়ে রেখেছে। বেশ কটি গান গাইলেন প্রতুল। গানের ফাঁকে ফাঁকে কথাও বললেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো তিনি কবিয়াল রমেশ শীলের গানের পুনঃ সুরারোপ করেও গাইলেন। এরপর গানে, নৃত্যে, আবৃত্তিতে অনুষ্ঠান চলতে লাগল। এভাবেই রাত গভীর হলো, ভোরের প্রভাতফেরিতে আবার ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি...’ গেয়ে শেষ হলো।


কলকাতায় তখন ভোরের আলো। ঢাকার একুশে ফেব্রুয়ারি উদ্‌যাপনের তুলনায় কলকাতায় এই আয়োজন ছোট হলেও নানা দিক থেকেই তা তাৎপর্যপূর্ণ। দেশভাগের সেই করুণ এবং নারকীয় অধ্যায়ের পর এক বাংলা যখন দ্বিখণ্ডিত হলো, তখন মানুষ ভিটেমাটি হারিয়ে দুটি রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল। নিঃসঙ্গ, বাস্তুচ্যুত মানুষগুলোর সঙ্গে রইল মাতৃভাষা বাংলা। ভারতের রাষ্ট্রভাষা হিন্দি। অন্য অনেক ভাষার সঙ্গে বাংলা রইল মাতৃভাষা হিসেবে। ইংরেজি প্রবল দাপটে রাজত্ব করে চলল। অদ্ভুত এক রাষ্ট্রের দুটি ডানা। একটির সঙ্গে আরেকটির দূরত্ব বারো শ মাইল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও