কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


চাই পরিকল্পিত নগর বিস্তৃতি ও উন্নয়ন

সিনেমার নামটি মনে নেই, তবে গানটির প্রথম কলি আবছা মনে আছে—‘ঢাকা শহর আইসা আমার আশা ফুরাইছে’; চিত্রে দেখা যায় নায়ক-নায়িকা ঢাকায় এসে আনন্দে উদ্বেলিত, সাততলার ওপরে ঘর বানাবেন, রেশমি চুরি কিনবেন ইত্যাদি, নেচেগেয়ে তোলপাড়। ঠিক তাই, একসময় ঢাকায় ‘আশা ছিল, ভালোবাসা ছিল আজ আশা নেই ভালোবাসা নেই...। ’ তখনকার ঢাকা অনেকটাই ছিল ফাঁকা; অমর্ত্য সেন তাঁর শৈশবে ঢাকা দেখেছিলেন অপেক্ষাকৃত শান্ত এবং ছোট জায়গা, যেখানে জীবন ছিল মধুর ও ধীর।,

আজ থেকে ৫০ বছর আগে অর্থাৎ স্বাধীনতার শুভলগ্নে ঢাকা ছিল গাছগাছালিতে ঢাকা, মোটামুটি মধ্যম আকারের ছিমছাম একটা শহর। কার্জন হলসংলগ্ন দোয়েল চত্বর থেকে তেজগাঁও পুরনো বিমানবন্দর হয়ে মহাখালী পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে বড় বড় গাছের পল্লবিত শাখার ছায়া পথিকের প্রশান্তি এনে দিত।  অন্য জায়গায়ও এর ব্যতিক্রম ছিল না। খাল ছিল বেশ কয়েকটা, সহনীয় মাত্রায় নালা-নর্দমা, বুড়িগঙ্গায় পরিষ্কার পানির প্রবাহ। তখনকার ১৬ লাখ মানুষের এই শহরটিতে রিকশা ছিল অপেক্ষাকৃত অনেক কম, তবে সাইকেল নেহাত কম নয়। বাস বলতে ‘মুড়ির টিন’, ঘোড়ার গাড়ির শব্দ নবাবি আমলের নিদর্শন; অক্সিজেনের প্রবাহ অবারিত। এ ছাড়া আফসান চৌধুরীর বর্ণনায়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র মাত্র পাঁচ টাকায় দিনাতিপাত করতে পারতেন। এক টাকার বাস টিকিটে প্রায় সব জায়গায় যাওয়া-আসা, এক প্যাকেট স্টার সিগারেট দেড় টাকা, এক প্যাকেট বিরিয়ানি এক টাকা, এক কাপ চা ৫০ পয়সা। বাকি টাকায় বাসায় ফেরা এবং এর মধ্যে রাজনীতি এবং স্বপ্ন দিয়ে উদরপূর্তি’ (আফসান চৌধুরী, সত্তরের ঢাকা)।,

দুই.,

গেল ৫০ বছরে বাংলাদেশে যেমন অভাবনীয় পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করা যায়, তেমনি পরিবর্তন এসেছে এর রাজধানী ঢাকার বেলায়। বাংলাদেশের রাজধানী এখন পৃথিবীর দ্রুততম গড়ে ওঠা মেগাসিটি। জনসংখ্যা দুই কোটি ছুঁই ছুঁই, প্রতিবছর বাড়ছে প্রায় ৪ শতাংশ হারে, এখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ বাস করে! গাছ কেটে, নালা, নদী-খাল দখলে নিয়ে প্রবৃদ্ধির প্রমত্ত জোয়ারে গা ভাসায় ঢাকা শহর। রুডইয়ার্ড কিপলিং কলকাতা শহরকে ‘ভয়ংকর রাত্রির শহর’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। বর্তমান ঢাকা শহরকে তিনি কিভাবে দেখতেন তা অজানা হলেও অকল্পনীয় নয়।

কথায় বলে, ‘মুখে শেখ ফরিদ, বগলে ইট’—বটম-আপ প্ল্যানিং মুখে মুখে কিন্তু তলে তলে টপডাউন পদ্ধতিতে প্রশাসন চলে আসছে অনাদিকাল থেকে। যেমনি অল রোডস লিড টু রোম, বাংলাদেশে ঠিক তেমনি অল রোডস লিড টু ঢাকা। বিশ্ব বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ মাইকেল লিপটনের ভাষায় একে বলে ‘আরবান বায়াস ডেভেলপমেন্ট’। প্রতিদিন নাকি দুই হাজার মানুষ ঢাকায় ঢুকে সুখের সন্ধানে। কুড়িল বস্তির এক মহিলার কথায়, ‘ঢাকা ভালো লাগে না, তবে স্বপ্ন আছে গ্রামে গিয়া এক খণ্ড জমি কিনবাম। ’ ঢাকা অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, দক্ষিণ এশিয়ার বড় শহরগুলোর একটি, পূর্ব-দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বড়। বিশ্বব্যাংক বলছে, মেগাসিটিগুলোর মধ্যে দেড় কোটি মানুষসমেত ঢাকার বিশেষত্ব হচ্ছে দ্রুততম বর্ধনশীল। ১৯৯০ ও ২০০৫ সালের মধ্যে শহরের জনসংখ্যা দ্বিগুণ অর্থাৎ ছয় থেকে ১২ মিলিয়ন হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে দুই কোটিরও বেশি মানুষ নিয়ে ঢাকা মেক্সিকো, বেইজিং কিংবা সাংহাইয়ের চেয়ে বড় হবে।,

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন