কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

জেনারেল বাজওয়ার ভুল বয়ান ও পাকিস্তানিদের ক্ষমা চাওয়া

প্রথম আলো সোহরাব হাসান প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০২২, ১৯:৫৬

পাকিস্তানের সাবেক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া তাঁর বিদায়ী ভাষণে সেনাসদস্যদের উদ্দেশে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি কেবল অভ্যন্তরীণ বিষয় ছিল না। তিনি পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর এ হস্তক্ষেপকে অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেছেন। গত বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ অব্যাহত ছিল মন্তব্য করে এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, সামরিক বাহিনী পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে রাজনীতি থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভবিষ্যতেও সেনাবাহিনী পাকিস্তানের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না।


বাজওয়ার এই ভবিষ্যদ্বাণী কাজে দেবে কি না, সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় এখনো আসেনি। পাকিস্তানের ৭৫ বছরের ইতিহাসে অর্ধেকের বেশি সময় সেনাশাসনের অধীন ছিল। নির্বাচিত কোনো প্রধানমন্ত্রীই মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, তঁার ক্ষমতা হারানোর পেছনে সেনাপ্রধান বাজওয়া ও আমেরিকার হস্তক্ষেপ ছিল। আইএসআই–প্রধান নিয়োগ নিয়ে সেনাপ্রধানের সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধে জড়িয়েছিলেন তিনি।


এসব পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু পাকিস্তানের অতীত রাজনীতি ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সাবেক সেনাপ্রধান যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিষয়টি টেনে এনেছেন, তা আমাদের জন্য কৌতূহলের বিষয়। বাজওয়া বলেছেন, এমন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চান, যা পাকিস্তানের মানুষ সাধারণত এড়িয়ে যান। আর তা হলো ১৯৭১ সালে সাবেক পূর্ব পাকিস্তানে (বাংলাদেশ) সেনাদের (পশ্চিম পাকিস্তানের) আত্মসমর্পণ। পূর্ব পাকিস্তান (বাংলাদেশ) হাতছাড়া হওয়া সামরিক নয়, ছিল রাজনৈতিক ব্যর্থতা। সাবেক সেনাপ্রধানের দাবি, ‘একাত্তরে বাংলাদেশে লড়াইরত পাকিস্তানি সেনার সংখ্যা ৯২ হাজার ছিল না, ছিল ৩৪ হাজার। বাকিরা ছিলেন সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের লোকজন। এই ৩৪ হাজার সেনা ভারতীয় সেনাবাহিনীর আড়াই লাখ সেনা ও মুক্তিবাহিনীর প্রশিক্ষিত দু লাখ যোদ্ধার বিরুদ্ধে লড়েছিলেন। সব প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তাঁরা (পাকিস্তানি সেনারা) সাহসের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন এবং নজিরবিহীন ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও