কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


শিশুদের মনের বোঝা বাড়ছে, বড়রা বুঝবে কবে?

ভিড়ের মধ্যে আমি যাঁকে খুঁজছিলাম, সে লাবিব নয়। তারপরও লাবিব এগিয়ে এসে বলে, ‘যাকে খুঁজছেন, আমি তাঁর ফার্স্ট কাজিন, অলমোস্ট লাইক ওউন ব্রাদার। আমাকে বলতে পারেন।’ নারী-পুরুষ আলাদা বসার ব্যবস্থা। যে-ই ঢুকছে, তাকেই দোয়া-দরুদের তালিকা ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। লাবিব চট করে আমার সমস্যা বুঝে ফেলে কোথা থেকে একটা পানির বোতল নিয়ে এসে বলে, ‘হ্যাব ইট, দিস ইজ ইয়োরস।’ আমি পিপাসায় কাতর; ইংলিশ মিডিয়ামের ছেলেটি বুঝল ক্যামনে?

এ দেশে শিশুদের কথা ভেবে বড়রা কোনো আয়োজন সাজায় না। বড়দের প্রয়োজনের কথা ভেবে গোছানো হয়। শিশুরা আসবে, সেটা সবাই জানে, কিন্তু তাদের জন্য কোনো বিশেষ ব্যবস্থা নেই। বড়দের উঁচু চেয়ারেই পা ঝুলিয়ে বসতে হয়, বড়দের পছন্দের খাবার খেতে হয়। আন্তরিক বড়দের (!) কেউ কেউ আবার একান্তই বড়দের জন্য নির্দিষ্ট খাবার পান-জর্দা শিশুদের সাধেন। আসলে মসকরা করেন! এসবের সঙ্গে আপস করে চলতে হয় ছোটদের। তারপরও বড়দের মন পাওয়া কঠিন এসব ‘বাই দ্য অ্যাডাল্ট, ফর দ্য অ্যাডাল্ট, অব দ্য অ্যাডাল্ট’ সামাজিক অনুষ্ঠানে।

বড়রা চান, শিশুরা তাঁদের মতোই আচরণ করুক। বসে থাকুক গম্ভীর হয়ে। শিশুসুলভ চপলতা, ছোটাছুটি একেবারেই নয়। বড়রা প্রশ্ন করলে উত্তর দেবে; নিজেরা কোনো প্রশ্ন করবে না। এত সব আচরণের ঘেরাটোপের মধ্যেও লাবিবের সঙ্গে আমার জমে যায়। পড়াশোনা, নম্বর, এ প্লাস, বি প্লাস, অ্যাম্বিশন এসব নিয়ে প্রশ্ন না করে আমরা আড্ডায় মেতে উঠি। ফুল, পাখি, ঠান্ডা, গরম, ঝড়, বৃষ্টি, চাঁদ, পূর্ণিমা, আইসক্রিম, পায়েস, খাওয়াদাওয়া, দেশ, পরদেশ, ভ্রমণ, পার্ক, বাগান, গাছপালা নিয়ে আমাদের আড্ডা এগিয়ে চলে। মাঝেমধ্যে লাবিবের অভিভাবকেরা উঁকিঝুঁকি দিয়ে দেখে যায় তার গতি ও অবস্থান। ঠাওর করতে পারে না, যে লাবিব বাড়িতে চুপচাপ, সে একজন প্রায় অপরিচিত বুড়ার সঙ্গে কী এত কথা বলছে হেসে হেসে! কেউ কেউ গলা নামিয়ে বলেন, ‘আঙ্কেলকে বিরক্ত করছ না তো?’ আড্ডার মধ্যেই লাবিব উঠে গিয়ে জামবাটিতে রাখা খুরমা আর টিস্যু পেপার নিয়ে আসে আমার জন্য। বড়রা যখন খুরমা খেয়ে বীজ আর টিস্যু এদিক-ওদিক ফেলছেন, তখন লাবিব জাপানিদের মতো দূরে রাখা বিনের মধ্যে ফেলে আসে সেগুলো। আমি বলি, ‘আরিগাতোগুজাইমাস’। ‘তুমি জাপানি জানো?’ আমি বলি, ‘ওইটুকুই জানি।’ লাবিবদের স্কুলে একজন জাপানি মিস আছেন, বিজ্ঞান টিচার। তাঁর কাছ থেকে নিজের গরজে লাবিবের শেখা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন