পায়খানা-প্রস্রাবের নিয়ম-কানুন
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘প্রস্রাবের ছিটেফোঁটা থেকে বেঁচে থাকো, কারণ সাধারণত প্রস্রাবের কারণেই কবরের আজাব হয়ে থাকে। ’ তাই প্রস্রাব-পায়খানায় গমনকারী ব্যক্তির জন্য নিম্নে বর্ণিত আদবগুলোর প্রতি খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরি। তাহলো-
১. এমন স্থানে পায়খানা- প্রস্রাব করা, যেখানে বসলে মানুষ দেখে না, আওয়াজ শোনে না এবং দুর্গন্ধ আসে না। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পায়খানার উদ্দেশে দূরে চলে যেতেন, যেন তাঁকে কেউ দেখতে না পায়। (তিরমিজি ২০; আবু দাউদ ২)
২. নরম ও নিচু স্থান বেছে নেওয়া, যাতে প্রস্রাবের ছিটা শরীরে না লাগে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রস্রাব করার ইচ্ছা করলেন। অতঃপর তিনি একটি দেয়ালের গোড়ার নরম মাটিতে গিয়ে প্রস্রাব করলেন। এরপর তিনি বললেন, ’তোমাদের কেউ প্রস্রাব করতে চাইলে যেন নীচু নরম জায়গা অনুসন্ধান করে নেয়। (আবু দাউদ ৩)
৩. পায়খানা প্রস্রাবের সময় ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল খুবসি ওয়াল খাবাইস’ পাঠ করা। (বুখারি, হাদিস : ১৩৯)
৪. নিজের বাঁ পায়ের ওপর ভর দিয়ে বসা। এতে মল বের হওয়া সহজ। (বায়হাকি ৪৬৬; মজমাউজ জাওয়ায়েদ ১০২০)
৫. পায়খানা-প্রস্রাব করতে যাওয়ার সময় বাঁ পা দিয়ে প্রবেশ করা এবং ডান পা দিয়ে বের হওয়া। (নাসাঈ ১১১; মুসনাদে আহমাদ ২৬৩২৬)
৬. পায়খানা-প্রস্রাবের সময় মাথা ঢেকে রাখা। (বায়হাকি ৪৬৪)
৭. কোনো গর্তে প্রস্রাব না করা। কারণ ভেতরে পোকামাকড়-সাপ থাকলে ক্ষতি করার আশঙ্কা প্রবল। (আবু দাউদ ২৭)
৮. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা তিনটি অভিশপ্ত কাজ থেকে বিরত থাকবে। সেগুলো হচ্ছে- মানুষের অবতরণ স্থল, চলাচলের পথ ও জলাশয়ে চলাচলের পথে ছায়াবিশিষ্ট জায়গায় পায়খানা করা।’ (আবু দাউদ ২৬)
১০. নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমরা দু’টি অভিশপ্ত কাজ থেকে দূরে থাকবে। সাহাবিগণ জিজ্ঞাসা করলেন, অভিশপ্ত কাজ দু’টি কি হে আল্লাহর রাসুল? তিনি বলেন-
‘মানুষের যাতায়াতের পথে অথবা (বিশ্রাম নেয়ার) ছায়া বিশিষ্ট জায়গায় প্রস্রাব পায়খানা করা। এমন ছায়ায় বসে প্রস্রাব-পায়খানা করবে না, যেখানে বসে মানুষ কথা বলে। (আবু দাউদ ২৫)
- ট্যাগ:
- ইসলাম
- প্রস্রাব
- ইসলামের বিধান
- মল ত্যাগ